ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের জন্য ঋণ শ্রেণীকরণ নীতিমালা শিথিলকরণ, কোনো ঋণ টানা এক বছর খেলাপি থাকলে তা অবলোপন, ব্যাংক মাশুলের হার পুনর্র্নিধারণ, গৃহঋণের সীমা বাড়ানোসহ আটটি দাবি জানিয়েছেন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা। তাঁরা গৃহঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৫ কোটি টাকায় উন্নীত করা ও ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ বিতরণের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) প্রতিনিধিরা এসব দাবি তুলে ধরেন। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস ধরেই ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে এবিবি নানা দাবি তুলে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়ে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবিবির অনুরোধে আজকের সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ কিছু বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়। আবার অনেক বিষয় গ্রাহকের স্বার্থ বিবেচনা করে এড়িয়ে যাওয়া হয়। সভার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে প্রথম আলোকে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা।
এবিবির দাবিগুলো, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে আগের নিয়মে অর্থ জমা করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২-৭ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। এ জন্য সব লেনদেন ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন করা। ব্যাংকগুলোর টিয়ার-২ বন্ডের মূলধন সংগ্রহ কাঠামো নমনীয় করা। ঋণ শ্রেণীকরণ ও নিরাপত্তা সঞ্চিতি নীতিমালায় অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতে ছাড় দেওয়া। কোনো ঋণ টানা এক বছর খেলাপি থাকলে তা অবলোপনের সুযোগ প্রদান। চলমান ঋণ নবায়নের ক্ষেত্রে সীমার অতিরিক্ত অংশ সমন্বয়ে ৯০ দিনের অতিরিক্ত সময় ও ডিসেম্বর পর্যন্ত নবায়নের অনুমতি প্রদান। ব্যাংকিং সেবার নির্ধারিত মাশুল বাতিল করে নিজ নিজ ব্যাংককে সেই দায়িত্ব দেওয়া। ব্যাংক হিসাব খোলার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাইকরণে পূর্ণ স্থায়ী ঠিকানা দেখার সুযোগ। গৃহঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৫ কোটি টাকায় উন্নীত করা ও ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সুযোগ প্রদান। হাইব্রিড গাড়ির ঋণে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণের সুযোগ এবং ঋণসীমা অপসারণ। ব্যক্তিগত ঋণের সীমা ৪০ লাখ টাকায় নির্ধারণ। জামানতবিহীন ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ সীমা ৫০ লাখ টাকায় নির্ধারণ করা।
সভায় এবিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এবিবির চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মো. শিরিন, পূবালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ আলী, প্রাইম ব্যাংকের এমডি হাসান ও. রশীদ, ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ব্যাংক এশিয়ার এমডি সোহেল আর কে হুসেইন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাসের এজাজ বিজয়।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের জন্য ঋণ শ্রেণীকরণ নীতিমালা শিথিলকরণ, কোনো ঋণ টানা এক বছর খেলাপি থাকলে তা অবলোপন, ব্যাংক মাশুলের হার পুনর্র্নিধারণ, গৃহঋণের সীমা বাড়ানোসহ আটটি দাবি জানিয়েছেন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা। তাঁরা গৃহঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৫ কোটি টাকায় উন্নীত করা ও ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ বিতরণের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) প্রতিনিধিরা এসব দাবি তুলে ধরেন। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস ধরেই ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে এবিবি নানা দাবি তুলে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়ে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবিবির অনুরোধে আজকের সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ কিছু বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়। আবার অনেক বিষয় গ্রাহকের স্বার্থ বিবেচনা করে এড়িয়ে যাওয়া হয়। সভার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে প্রথম আলোকে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা।
এবিবির দাবিগুলো, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে আগের নিয়মে অর্থ জমা করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২-৭ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। এ জন্য সব লেনদেন ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন করা। ব্যাংকগুলোর টিয়ার-২ বন্ডের মূলধন সংগ্রহ কাঠামো নমনীয় করা। ঋণ শ্রেণীকরণ ও নিরাপত্তা সঞ্চিতি নীতিমালায় অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতে ছাড় দেওয়া। কোনো ঋণ টানা এক বছর খেলাপি থাকলে তা অবলোপনের সুযোগ প্রদান। চলমান ঋণ নবায়নের ক্ষেত্রে সীমার অতিরিক্ত অংশ সমন্বয়ে ৯০ দিনের অতিরিক্ত সময় ও ডিসেম্বর পর্যন্ত নবায়নের অনুমতি প্রদান। ব্যাংকিং সেবার নির্ধারিত মাশুল বাতিল করে নিজ নিজ ব্যাংককে সেই দায়িত্ব দেওয়া। ব্যাংক হিসাব খোলার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাইকরণে পূর্ণ স্থায়ী ঠিকানা দেখার সুযোগ। গৃহঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৫ কোটি টাকায় উন্নীত করা ও ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সুযোগ প্রদান। হাইব্রিড গাড়ির ঋণে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণের সুযোগ এবং ঋণসীমা অপসারণ। ব্যক্তিগত ঋণের সীমা ৪০ লাখ টাকায় নির্ধারণ। জামানতবিহীন ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ সীমা ৫০ লাখ টাকায় নির্ধারণ করা।
সভায় এবিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এবিবির চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মো. শিরিন, পূবালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ আলী, প্রাইম ব্যাংকের এমডি হাসান ও. রশীদ, ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ব্যাংক এশিয়ার এমডি সোহেল আর কে হুসেইন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাসের এজাজ বিজয়।