বর্তমানে আমাদের কাছে যে পরিমাণ ডলার আছে তা বাংলাদেশের আপৎকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার,(২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডলারের ডিমান্ড তো কমে যাচ্ছে, সে হিসেবে ডলারের দামও কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে দুই মিলিয়ন ডলার নিয়ে নিয়েছে দাম একই পর্যায়ে রাখার জন্য। তা আমদানিকারকদের জন্য চাপ হয়ে যাচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ডলারের দাম কিছুটা যদি স্থিতিশীল না রাখি তাহলে খারাপ প্রভাব পড়বে। যারা রেমিট করে তাদের বিষয়টাও দেখতে হবে। কারণ তারাই তো আমাদের চালিকা শক্তি।’
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা ডলার কিনছি সেটা ঠিক। কিন্তু এখন আমাদের কাছে যে ডলার আছে তা বাংলাদেশের আপৎকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত নয়। ধরুন দেশে বড় ধরনের কোনো একটা কিছু হলো। তখন দ্রুত যদি কিছু আনতে হয়, তখন কী হবে। ফরেন এক্সচেঞ্জ শুধু আমদানির জন্য ব্যবহার করা হয় সেটা আপনাদের ভুল ধারণা। সেভ কিছু না থাকলে বিপদ হবে। এটা আমি টের পেয়েছি যখন আমি ২০০৭/০৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলাম তখন। সেসময় সিডর, আইলা হলো, তখন অনেক ঝামেলা হয়েছে। যাই হোক সেসময় আমরা সেটা সামাল দিয়েছিলাম। সুতরাং এসবের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ঠিক করেছে রিজার্ভটা বিল্ডআপ করা দরকার।’
সম্প্রতি পিপিআরসি বলেছে বর্তমানে জিনিসপত্রের দামের জন্য ৭০ শতাংশ মানুষ অস্বস্তিতে আছে। এ বিষয়ে আপনি কী মনে করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা শুধু বলেন, ‘পিপিআরসির প্রতিবেদন আমি দেখেছি।’ তিনি এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাননি।
বৈঠকের বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আজকের বৈঠকে কিছু বৈচিত্র্য ছিল। আমরা সার, কিছু খাদ্যপণ্য আমদানি করি। কিন্তু এবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন- চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমান বন্দরকে আপগ্রেড করার জন্য সেখানকার রানওয়ে আপগ্রেড করার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুম আরও আধুনিকায়ন করার জন্য একটা প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছি। এ ছাড়া অকটেন আনার অনুমোদন দিয়েছি। বর্তমানে অকটেনের কিছুটা ঘাটতি আছে। দেশের অভ্যন্তরে অকটেনের চাহিদা আছে। তাই আমরা চাই না যে দেশে কোনো রকমের জ্বালানির সংকট হোক।’
চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরের মান উন্নয়নে কী করা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়েটা গ্রেড-১। সেটার স্পেস বাড়ানো দরকার।
বিশেষ করে বড় বিমান ওঠানামা করতে হলে রানওয়েটা গ্রেড-২ তে উন্নীত করতে হবে। একইসঙ্গে ঢাকার কন্ট্রোল রুমটা আরও আধুনিক করা হবে।’
পুলিশের জন্য ৪০ হাজার ‘বডি ক্যামেরা’ কেনা হচ্ছে: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে পুলিশের জন্য ৪০ হাজার ‘বডি ক্যামেরা’ কেনা হচ্ছে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পুলিশের এই ক্যামেরা লাগবে। এ প্রস্তাব আমরা অনুমোদন করেছি। দ্রুত এসব যন্ত্রপাতি আনতে হবে।’
এই বডি ক্যামেরা আনতে কত টাকা খরচ হবে, তা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘খরচের বিষয়টি এখন নাই বললাম। নির্দিষ্ট করে এখন বলতে পারব না। এটা সংগ্রহ করা হবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মাধ্যমে। দরপত্র আহ্বান করে আনতে গেলে মান ও দামের বিষয় থাকে। এখন ইউএনডিপি মান ও দামের নিশ্চয়তা দেবে।’
এসব বডি ক্যামেরা কিনতে অর্থায়ন কে করছে, তা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের টাকায় এই ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা আনা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা করবে। নির্বাচন খাতের ব্যয় থেকে এটা মেটানো হবে। আমরা পুলিশকে দিচ্ছি, নির্বাচন কমিশনকে নয়। নির্বাচনের জন্য যা যা দরকার, সেটার কোনো কমতি হবে না।’
টাকা দেবে সরকার, তাহলে ইউএনডিপির মাধ্যমে কেন কেনা হবে? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘টাকা দেবে সরকার, কিন্তু কিনতে হবে বেসরকারি খাত থেকে। স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য ইউএনডিপির মাধ্যমে কেনা হবে।’
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বর্তমানে আমাদের কাছে যে পরিমাণ ডলার আছে তা বাংলাদেশের আপৎকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার,(২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডলারের ডিমান্ড তো কমে যাচ্ছে, সে হিসেবে ডলারের দামও কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে দুই মিলিয়ন ডলার নিয়ে নিয়েছে দাম একই পর্যায়ে রাখার জন্য। তা আমদানিকারকদের জন্য চাপ হয়ে যাচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ডলারের দাম কিছুটা যদি স্থিতিশীল না রাখি তাহলে খারাপ প্রভাব পড়বে। যারা রেমিট করে তাদের বিষয়টাও দেখতে হবে। কারণ তারাই তো আমাদের চালিকা শক্তি।’
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা ডলার কিনছি সেটা ঠিক। কিন্তু এখন আমাদের কাছে যে ডলার আছে তা বাংলাদেশের আপৎকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত নয়। ধরুন দেশে বড় ধরনের কোনো একটা কিছু হলো। তখন দ্রুত যদি কিছু আনতে হয়, তখন কী হবে। ফরেন এক্সচেঞ্জ শুধু আমদানির জন্য ব্যবহার করা হয় সেটা আপনাদের ভুল ধারণা। সেভ কিছু না থাকলে বিপদ হবে। এটা আমি টের পেয়েছি যখন আমি ২০০৭/০৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলাম তখন। সেসময় সিডর, আইলা হলো, তখন অনেক ঝামেলা হয়েছে। যাই হোক সেসময় আমরা সেটা সামাল দিয়েছিলাম। সুতরাং এসবের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ঠিক করেছে রিজার্ভটা বিল্ডআপ করা দরকার।’
সম্প্রতি পিপিআরসি বলেছে বর্তমানে জিনিসপত্রের দামের জন্য ৭০ শতাংশ মানুষ অস্বস্তিতে আছে। এ বিষয়ে আপনি কী মনে করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা শুধু বলেন, ‘পিপিআরসির প্রতিবেদন আমি দেখেছি।’ তিনি এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাননি।
বৈঠকের বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আজকের বৈঠকে কিছু বৈচিত্র্য ছিল। আমরা সার, কিছু খাদ্যপণ্য আমদানি করি। কিন্তু এবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন- চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমান বন্দরকে আপগ্রেড করার জন্য সেখানকার রানওয়ে আপগ্রেড করার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুম আরও আধুনিকায়ন করার জন্য একটা প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছি। এ ছাড়া অকটেন আনার অনুমোদন দিয়েছি। বর্তমানে অকটেনের কিছুটা ঘাটতি আছে। দেশের অভ্যন্তরে অকটেনের চাহিদা আছে। তাই আমরা চাই না যে দেশে কোনো রকমের জ্বালানির সংকট হোক।’
চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরের মান উন্নয়নে কী করা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়েটা গ্রেড-১। সেটার স্পেস বাড়ানো দরকার।
বিশেষ করে বড় বিমান ওঠানামা করতে হলে রানওয়েটা গ্রেড-২ তে উন্নীত করতে হবে। একইসঙ্গে ঢাকার কন্ট্রোল রুমটা আরও আধুনিক করা হবে।’
পুলিশের জন্য ৪০ হাজার ‘বডি ক্যামেরা’ কেনা হচ্ছে: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে পুলিশের জন্য ৪০ হাজার ‘বডি ক্যামেরা’ কেনা হচ্ছে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পুলিশের এই ক্যামেরা লাগবে। এ প্রস্তাব আমরা অনুমোদন করেছি। দ্রুত এসব যন্ত্রপাতি আনতে হবে।’
এই বডি ক্যামেরা আনতে কত টাকা খরচ হবে, তা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘খরচের বিষয়টি এখন নাই বললাম। নির্দিষ্ট করে এখন বলতে পারব না। এটা সংগ্রহ করা হবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মাধ্যমে। দরপত্র আহ্বান করে আনতে গেলে মান ও দামের বিষয় থাকে। এখন ইউএনডিপি মান ও দামের নিশ্চয়তা দেবে।’
এসব বডি ক্যামেরা কিনতে অর্থায়ন কে করছে, তা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের টাকায় এই ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা আনা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা করবে। নির্বাচন খাতের ব্যয় থেকে এটা মেটানো হবে। আমরা পুলিশকে দিচ্ছি, নির্বাচন কমিশনকে নয়। নির্বাচনের জন্য যা যা দরকার, সেটার কোনো কমতি হবে না।’
টাকা দেবে সরকার, তাহলে ইউএনডিপির মাধ্যমে কেন কেনা হবে? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘টাকা দেবে সরকার, কিন্তু কিনতে হবে বেসরকারি খাত থেকে। স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য ইউএনডিপির মাধ্যমে কেনা হবে।’