বাজারে তারল্য পরিস্থিতির উন্নতি হলেও অনেক ব্যাংক প্রত্যাশিত পরিমাণে আমানত সংগ্রহে ব্যর্থ হচ্ছে। আস্থার সংকটে ভুগছে কিছু ব্যাংক, ফলে তারা উচ্চ সুদ দিয়ে আমানত সংগ্রহের চেষ্টা করছে ব্যাংকগুলো। এদিকে সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদহার দ্রুত কমছে। এক সময় যেখানে এই সিকিউরিটিজে সুদহার ১২ শতাংশের ওপরে ছিল, এখন তা কমে ১০ শতাংশের ঘরে নেমে এসেছে। তবে একই সময়ে বেশ কিছু ব্যাংক আমানতের ওপর আগের তুলনায় বেশি সুদ দিচ্ছে।
সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৩০টিরও বেশি ব্যাংক এখনো দুই অঙ্কের সুদে আমানত নিচ্ছে। বিশেষ করে, কিছু বেসরকারি ব্যাংক ১২ শতাংশের বেশি সুদ অফার করছে। তবে কিছু ব্যাংকের আর্থিক সংকট ও সময়মতো অর্থ ফেরত না দেওয়ার খবর জানাজানি হওয়ায় আমানতকারীদের মধ্যে সতর্কতা বেড়েছে। ফলে অনেকেই তাদের অর্থ নিরাপদ বিবেচনায় সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করছেন। এই পরিস্থিতিতে সুদ বাড়িয়েও কিছু ব্যাংক আমানত টানতে পারছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৫ সালের আগস্টে এক বছরের বেশি মেয়াদি আমানতে ব্যাংকগুলো গড়ে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ সুদ দিয়েছে, যা জুলাইয়ে ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো আগস্টে গড়ে ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ সুদ দিয়েছে, আগের মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর সুদহার সামান্য কমে ৮ দশমিক ৪৮ থেকে ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশে নেমেছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলো আগস্টে গড়ে ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ সুদ দিয়েছে, যা জুলাইয়ে ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বিদেশি ব্যাংকগুলোর সুদহারও ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭ দশমিক ২৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, বিনিয়োগে স্থবিরতা এবং ঋণের চাহিদা কমে যাওয়ার পাশাপাশি রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক ঋণের প্রবাহ বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে বাড়তি ডলার কিনে টাকায় রূপান্তর করছে। চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত ১৭৪ কোটি ডলার কেনার মাধ্যমে বাজারে প্রায় ২১,৫০০ কোটি টাকা সরবরাহ করা হয়েছে। অতিরিক্ত তারল্য থাকায় ব্যাংকগুলো সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠেছে, ফলে প্রতি নিলামেই অতিরিক্ত আবেদন জমা পড়ছে। এই চাহিদা বৃদ্ধির ফলে সরকারের সুদ কমানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুনে ৯১ দিনের ট্রেজারি বিলে সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা আগস্টে নেমে এসেছে ১০ দশমিক ১৩ শতাংশে। ১৮২ দিনের বিলের হার ১১ দশমিক ৯৮ থেকে কমে ১০ দশমিক ৩২ শতাংশে এবং এক বছরের বিলে ১২ দশমিক ০১ শতাংশ থেকে কমে ১০ দশমিক ৩০ শতাংশে নেমেছে। একইভাবে দুই বছর মেয়াদি বন্ডের সুদহার জুনে ছিল ১২ দশমিক ২০ শতাংশ, আগস্টে তা কমে হয়েছে ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ। সর্বোচ্চ মেয়াদি বন্ডের হারও ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ থেকে কমে ১০ দশমিক ২১ শতাংশে নেমে এসেছে।
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাজারে তারল্য পরিস্থিতির উন্নতি হলেও অনেক ব্যাংক প্রত্যাশিত পরিমাণে আমানত সংগ্রহে ব্যর্থ হচ্ছে। আস্থার সংকটে ভুগছে কিছু ব্যাংক, ফলে তারা উচ্চ সুদ দিয়ে আমানত সংগ্রহের চেষ্টা করছে ব্যাংকগুলো। এদিকে সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদহার দ্রুত কমছে। এক সময় যেখানে এই সিকিউরিটিজে সুদহার ১২ শতাংশের ওপরে ছিল, এখন তা কমে ১০ শতাংশের ঘরে নেমে এসেছে। তবে একই সময়ে বেশ কিছু ব্যাংক আমানতের ওপর আগের তুলনায় বেশি সুদ দিচ্ছে।
সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৩০টিরও বেশি ব্যাংক এখনো দুই অঙ্কের সুদে আমানত নিচ্ছে। বিশেষ করে, কিছু বেসরকারি ব্যাংক ১২ শতাংশের বেশি সুদ অফার করছে। তবে কিছু ব্যাংকের আর্থিক সংকট ও সময়মতো অর্থ ফেরত না দেওয়ার খবর জানাজানি হওয়ায় আমানতকারীদের মধ্যে সতর্কতা বেড়েছে। ফলে অনেকেই তাদের অর্থ নিরাপদ বিবেচনায় সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করছেন। এই পরিস্থিতিতে সুদ বাড়িয়েও কিছু ব্যাংক আমানত টানতে পারছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৫ সালের আগস্টে এক বছরের বেশি মেয়াদি আমানতে ব্যাংকগুলো গড়ে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ সুদ দিয়েছে, যা জুলাইয়ে ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো আগস্টে গড়ে ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ সুদ দিয়েছে, আগের মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর সুদহার সামান্য কমে ৮ দশমিক ৪৮ থেকে ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশে নেমেছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলো আগস্টে গড়ে ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ সুদ দিয়েছে, যা জুলাইয়ে ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বিদেশি ব্যাংকগুলোর সুদহারও ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭ দশমিক ২৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, বিনিয়োগে স্থবিরতা এবং ঋণের চাহিদা কমে যাওয়ার পাশাপাশি রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক ঋণের প্রবাহ বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে বাড়তি ডলার কিনে টাকায় রূপান্তর করছে। চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত ১৭৪ কোটি ডলার কেনার মাধ্যমে বাজারে প্রায় ২১,৫০০ কোটি টাকা সরবরাহ করা হয়েছে। অতিরিক্ত তারল্য থাকায় ব্যাংকগুলো সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠেছে, ফলে প্রতি নিলামেই অতিরিক্ত আবেদন জমা পড়ছে। এই চাহিদা বৃদ্ধির ফলে সরকারের সুদ কমানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুনে ৯১ দিনের ট্রেজারি বিলে সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা আগস্টে নেমে এসেছে ১০ দশমিক ১৩ শতাংশে। ১৮২ দিনের বিলের হার ১১ দশমিক ৯৮ থেকে কমে ১০ দশমিক ৩২ শতাংশে এবং এক বছরের বিলে ১২ দশমিক ০১ শতাংশ থেকে কমে ১০ দশমিক ৩০ শতাংশে নেমেছে। একইভাবে দুই বছর মেয়াদি বন্ডের সুদহার জুনে ছিল ১২ দশমিক ২০ শতাংশ, আগস্টে তা কমে হয়েছে ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ। সর্বোচ্চ মেয়াদি বন্ডের হারও ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ থেকে কমে ১০ দশমিক ২১ শতাংশে নেমে এসেছে।