দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার, (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫)সবগুলো মূল্যসূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া তিন-চতুর্থাংশ সিকিউরিটিজের দরপতন হওয়ায় সার্বিকভাবে সবগুলো সূচক পয়েন্ট হারিয়েছে। আর এক্সচেঞ্জের লেনদেনেও এদিন ভাটা পড়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে রোববার মোট ৩৯৬টি শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭০টি। আর কমেছে ২৮২টির। বিপরীতে ৪৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। দরপতন হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ১৬০টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৬৬টি এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৪৫টি শেয়ার ও ইউনিট রয়েছে। এত বেশি সংখ্যক সিকিউরিটিজের দরপতন হওয়ায় এদিন এক্সচেঞ্জটির সবগুলো সূচক কমেছে।
ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৮০ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে সূচকটি ৫ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে ছিল। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৬৫ পয়েন্টে এবং ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৮৬ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আগের দিন এই সূচক দুটি যথাক্রমে ১ হাজার ১৭১ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ১০৩ পয়েন্টে ছিল।
রোববার ডিএসইতে মোট ৫৬৪ কোটি ১৮ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই লেনদেন হয়েছিল ৭০৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ দিনের ব্যবধনে এক্সচেঞ্জটির শেয়ার ও ইউনিটের হাতবদল বাবদ লেনদেন কমেছে ১৪০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
রোববার ঢাকার পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ২৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। বৃহস্পতিবারও ৩৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়ে লেনদেন তালিকায় শীর্ষে ছিল সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) রোববার সবগুলো মূল্যসূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। পাশাপাশি এক্সচেঞ্জটির লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ সিকিউরিটিজের দরপতন ও সার্বিক লেনদেনে ভাটা পড়েছে।
সিএসইর সার্বিক সূচক সিএসপিআই ৬৫ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ২৪ পয়েন্টে নেমেছে। আর সিএসসিএক্স সূচকটি ৩৬ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ২৪২ পয়েন্টে নেমেছে। সিএসইতে মোট ২০৬টি শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩টির দর বেড়েছে। কমেছে ১৩৫টির। আর ১৯টির দর দিন শেষে অপরিবর্তিত ছিল। রোববার এক্সচেঞ্জটিতে সার্বিক লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার এক্সচেঞ্জটিতে ২১ কোটি ৭১ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছিল।
রোববার ডিএসইতে লেনদেন শেষে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় ২০ পয়সা বা ১০.০০ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে কোম্পানিটি দর বৃদ্ধির তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে নেয়।
দর বৃদ্ধির এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল অ্যাপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলস লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৫ টাকা ৯০পয়সা বা ৯.৯৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭৫.৮০ টাকা। তৃতীয় স্থানে থাকা এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ পিএলসির শেয়ার দর বেড়েছে ৩০ পয়সা বা ৯.৬৮ শতাংশ, যার ফলে প্রতিটি শেয়ারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩.৪০ টাকা।
এছাড়াও, ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের ৯.৫৬ শতাংশ, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের ৯.০৯ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ৮.৮২ শতাংশ, অ্যাপেক্স ফুডস লিমিটেডের ৮.৫৭ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইনান্স ও ইনভেস্টমেন্ট লির ৮.৩৩ শতাংশ, প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্স পিএলসির ৭.২০ শতাংশ এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ৬.৬৭ শতাংশ বেড়েছে।
রোববার ডিএসইতে শেয়ার দর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৬ টাকা ২০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমেছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইনটেক লিমিটেডের শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমেছে। তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা মিথুন নিটিংয়ের শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমেছে।
তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান, নর্দার্ন ইসলামি ইন্স্যুরেন্স, জাহিন স্পিনিং, এটলাস্ট বাংলাদেশ, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার, (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫)সবগুলো মূল্যসূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া তিন-চতুর্থাংশ সিকিউরিটিজের দরপতন হওয়ায় সার্বিকভাবে সবগুলো সূচক পয়েন্ট হারিয়েছে। আর এক্সচেঞ্জের লেনদেনেও এদিন ভাটা পড়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে রোববার মোট ৩৯৬টি শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭০টি। আর কমেছে ২৮২টির। বিপরীতে ৪৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। দরপতন হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ১৬০টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৬৬টি এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৪৫টি শেয়ার ও ইউনিট রয়েছে। এত বেশি সংখ্যক সিকিউরিটিজের দরপতন হওয়ায় এদিন এক্সচেঞ্জটির সবগুলো সূচক কমেছে।
ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৮০ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে সূচকটি ৫ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে ছিল। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৬৫ পয়েন্টে এবং ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৮৬ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আগের দিন এই সূচক দুটি যথাক্রমে ১ হাজার ১৭১ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ১০৩ পয়েন্টে ছিল।
রোববার ডিএসইতে মোট ৫৬৪ কোটি ১৮ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই লেনদেন হয়েছিল ৭০৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ দিনের ব্যবধনে এক্সচেঞ্জটির শেয়ার ও ইউনিটের হাতবদল বাবদ লেনদেন কমেছে ১৪০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
রোববার ঢাকার পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটির মোট ২৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। বৃহস্পতিবারও ৩৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়ে লেনদেন তালিকায় শীর্ষে ছিল সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) রোববার সবগুলো মূল্যসূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। পাশাপাশি এক্সচেঞ্জটির লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ সিকিউরিটিজের দরপতন ও সার্বিক লেনদেনে ভাটা পড়েছে।
সিএসইর সার্বিক সূচক সিএসপিআই ৬৫ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ২৪ পয়েন্টে নেমেছে। আর সিএসসিএক্স সূচকটি ৩৬ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ২৪২ পয়েন্টে নেমেছে। সিএসইতে মোট ২০৬টি শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩টির দর বেড়েছে। কমেছে ১৩৫টির। আর ১৯টির দর দিন শেষে অপরিবর্তিত ছিল। রোববার এক্সচেঞ্জটিতে সার্বিক লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার এক্সচেঞ্জটিতে ২১ কোটি ৭১ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছিল।
রোববার ডিএসইতে লেনদেন শেষে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় ২০ পয়সা বা ১০.০০ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে কোম্পানিটি দর বৃদ্ধির তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে নেয়।
দর বৃদ্ধির এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল অ্যাপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলস লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৫ টাকা ৯০পয়সা বা ৯.৯৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭৫.৮০ টাকা। তৃতীয় স্থানে থাকা এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ পিএলসির শেয়ার দর বেড়েছে ৩০ পয়সা বা ৯.৬৮ শতাংশ, যার ফলে প্রতিটি শেয়ারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩.৪০ টাকা।
এছাড়াও, ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের ৯.৫৬ শতাংশ, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের ৯.০৯ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ৮.৮২ শতাংশ, অ্যাপেক্স ফুডস লিমিটেডের ৮.৫৭ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইনান্স ও ইনভেস্টমেন্ট লির ৮.৩৩ শতাংশ, প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্স পিএলসির ৭.২০ শতাংশ এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ৬.৬৭ শতাংশ বেড়েছে।
রোববার ডিএসইতে শেয়ার দর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৬ টাকা ২০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমেছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইনটেক লিমিটেডের শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমেছে। তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা মিথুন নিটিংয়ের শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমেছে।
তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান, নর্দার্ন ইসলামি ইন্স্যুরেন্স, জাহিন স্পিনিং, এটলাস্ট বাংলাদেশ, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।