ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বিদেশে পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। মঙ্গলবার,(৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এমন আশাবাদের কথা জানান। তবে কী পরিমাণ অর্থ ফেরত আসবে, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া কোনো
সরকার এড়িয়ে যেতে পারবে না
১১-১২টি অর্থ পাচারের কেস আমরা একেবারে উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেখছি
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘পাচারকারীরা সব বুদ্ধি জানেন। এটা আনতে গেলে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। তবে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। অনেক আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে হয় কিছু অর্থ আসতে পারে। বাকি অর্থের জন্য আমরা ক্ষেত্রে প্রস্তুত করছি।’
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘অর্থ ফেরত আনার আনুষ্ঠানিকতা কোনো সরকার এড়িয়ে থাকতে পারবে না। মনে করেন, আমি সুইস ব্যাংকে বলে দিলাম টাকা দিয়ে দাও। তারা দেবে না।
তাই আইনি পথে যেতে হবে। আপনারা জানেন, ১১-১২টি কেস আমরা একেবারে উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেখছি। আর বাকি কেসগুলোর মধ্যে যেগুলো ২০০ কোটি টাকার বেশি তাদেরও ধরা হচ্ছে।’
নতুন সরকার এ উদ্যোগের ধারাবাহিকতা রাখবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন বলেন, ‘তারা রাখতে বাধ্য।
কারণ, যে প্রক্রিয়া আমরা চালু করবো, তা চালু না থাকলে টাকা ফেরত আনা যাবে না। ওরা যদি বসে থাকে, তাহলে অর্থ ফেরত আসবে না। যদি অর্থ আনতে হয়, তাহলে প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করতে হবে। এটাই আন্তর্জাতিক চর্চা।’
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন যে ইতোমধ্যে কিছু সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। কোথায় ওদের টাকা আছে, কোথায় হিসাব আছে, কোন কোন দেশে ওদের পাসপোর্ট আছে, সেই তথ্যও আছে। এখন বাকি কাজ করতে যতটুকু সময় লাগে।’
কোনো কোনো উপদেষ্টা নিজের এলাকায় বেশি বরাদ্দ দিচ্ছেন, এমন অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘না, না। প্রকল্পগুলো অনেক আগের তৈরি করা।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) একটা প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ১০টি পরিবারের মধ্যে তিনটি পরিবারেই পুষ্টিহীনতায় বা খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কী? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের কিছুটা পুষ্টির ঘাটতি আছে, বিশেষ করে শিশু আর মায়েদের মধ্যে। আমরা চেষ্টা করছি যথাসম্ভব। আমাদের খাদ্য সুষম নয়। চালের ওপর বেশি নির্ভর করি। কিছু আমিষ দরকার। এজন্য ডিম সবচেয়ে বেশি দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটার জন্য আমরা চেষ্টা করছি যথাসম্ভব। আপনারা দেখবেন আমাদের ভিজিএফ এবং স্পেশাল ট্রাকে করে চাল-ডাল দিচ্ছিল। কাল-পরশু থেকে জেলেদের ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যাবে, তাদের জন্য তো আমরা ২০ কেজি করে দিচ্ছি। অতএব আমরা চেষ্টা করছি।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিদেশে পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। মঙ্গলবার,(৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এমন আশাবাদের কথা জানান। তবে কী পরিমাণ অর্থ ফেরত আসবে, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া কোনো
সরকার এড়িয়ে যেতে পারবে না
১১-১২টি অর্থ পাচারের কেস আমরা একেবারে উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেখছি
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘পাচারকারীরা সব বুদ্ধি জানেন। এটা আনতে গেলে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। তবে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। অনেক আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে হয় কিছু অর্থ আসতে পারে। বাকি অর্থের জন্য আমরা ক্ষেত্রে প্রস্তুত করছি।’
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘অর্থ ফেরত আনার আনুষ্ঠানিকতা কোনো সরকার এড়িয়ে থাকতে পারবে না। মনে করেন, আমি সুইস ব্যাংকে বলে দিলাম টাকা দিয়ে দাও। তারা দেবে না।
তাই আইনি পথে যেতে হবে। আপনারা জানেন, ১১-১২টি কেস আমরা একেবারে উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেখছি। আর বাকি কেসগুলোর মধ্যে যেগুলো ২০০ কোটি টাকার বেশি তাদেরও ধরা হচ্ছে।’
নতুন সরকার এ উদ্যোগের ধারাবাহিকতা রাখবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন বলেন, ‘তারা রাখতে বাধ্য।
কারণ, যে প্রক্রিয়া আমরা চালু করবো, তা চালু না থাকলে টাকা ফেরত আনা যাবে না। ওরা যদি বসে থাকে, তাহলে অর্থ ফেরত আসবে না। যদি অর্থ আনতে হয়, তাহলে প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করতে হবে। এটাই আন্তর্জাতিক চর্চা।’
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন যে ইতোমধ্যে কিছু সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। কোথায় ওদের টাকা আছে, কোথায় হিসাব আছে, কোন কোন দেশে ওদের পাসপোর্ট আছে, সেই তথ্যও আছে। এখন বাকি কাজ করতে যতটুকু সময় লাগে।’
কোনো কোনো উপদেষ্টা নিজের এলাকায় বেশি বরাদ্দ দিচ্ছেন, এমন অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘না, না। প্রকল্পগুলো অনেক আগের তৈরি করা।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) একটা প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ১০টি পরিবারের মধ্যে তিনটি পরিবারেই পুষ্টিহীনতায় বা খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কী? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের কিছুটা পুষ্টির ঘাটতি আছে, বিশেষ করে শিশু আর মায়েদের মধ্যে। আমরা চেষ্টা করছি যথাসম্ভব। আমাদের খাদ্য সুষম নয়। চালের ওপর বেশি নির্ভর করি। কিছু আমিষ দরকার। এজন্য ডিম সবচেয়ে বেশি দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটার জন্য আমরা চেষ্টা করছি যথাসম্ভব। আপনারা দেখবেন আমাদের ভিজিএফ এবং স্পেশাল ট্রাকে করে চাল-ডাল দিচ্ছিল। কাল-পরশু থেকে জেলেদের ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যাবে, তাদের জন্য তো আমরা ২০ কেজি করে দিচ্ছি। অতএব আমরা চেষ্টা করছি।’