ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
যেসব কোম্পানি শতভাগ রপ্তানিমুখী নয়, সেসব কারখানাকেও ব্যাংক গ্যারান্টি দাখিলের বিপরীতে শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির সুযোগ দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রপ্তানি বাণিজ্যের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে’ এনবিআর এই সুবিধা চালু করেছে। এর ফলে, বিদ্যমান বন্ড ব্যবস্থাপনার শর্ত মেনে যেসব রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স নেওযা সম্ভব হয়ে ওঠে না, তাদের জন্য শুল্ক-কর পরিশোধ না করে কাঁচামাল বা পণ্য আমদানি করার সুযোগ তৈরি হল। এতদিন কেবল বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সপ্রাপ্ত শতাভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা এ ধরনের সুবিধা পেত। নতুন নিয়মে ‘শতাভাগ রপ্তানিমুখী’ হওয়ার শর্ত থাকল না। অর্থাৎ, রপ্তানি করলেই এ সুবিধা পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুল্কমুক্ত এ সুবিধা পেতে আমদানিকারক কোম্পানিকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিরূপিত ‘শুল্ক করাদির সমপরিমান ব্যাংক গ্যারান্টি’ জমা দিতে হবে।
এনবিআর আশা করছে, বন্ড লাইসেন্স না থাকার পরও শুল্কমুক্ত সুবিধায় পণ্য আমদানির সুযোগ দেওয়ার ফলে রপ্তানিকারক কোম্পানির ‘উৎপাদন সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের বৈচিত্র্য বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে’।
বন্ডেড ওয়্যারহাউসের শর্ত মেনে লাইসেন্স পাওয়া সাধারণত ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য কঠিন; কিন্তু এরকম অনেক কোম্পানিই রপ্তানিমুখী হচ্ছে। শুল্ক দিয়ে কাঁচামাল আমদানি করে পরে মূল্য সংযোজন করে রপ্তানি করতে গেলে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাতে হয়। একই সঙ্গে দেশীয় বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও তাদের অসম প্রতিযোগিতা করতে হয়।
সেজন্য এসব শিল্প থেকে বা এসএমই খাত থেকে বরাবরই আংশিক রপ্তানিকারকদের বন্ডের সুবিধায় আনার দাবি ছিল; অথবা শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির সুযোগ চাওয়া হচ্ছিল।
তবে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে কাঁচামাল আমদানি করে তা দেশের বাজারে বিক্রির অসংখ্য অভিযোগ থাকায় এনবিআর এতদিন বাড়তি কাউকে এ সুবিধা দিতে রাজি হয়নি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫
যেসব কোম্পানি শতভাগ রপ্তানিমুখী নয়, সেসব কারখানাকেও ব্যাংক গ্যারান্টি দাখিলের বিপরীতে শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির সুযোগ দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রপ্তানি বাণিজ্যের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে’ এনবিআর এই সুবিধা চালু করেছে। এর ফলে, বিদ্যমান বন্ড ব্যবস্থাপনার শর্ত মেনে যেসব রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স নেওযা সম্ভব হয়ে ওঠে না, তাদের জন্য শুল্ক-কর পরিশোধ না করে কাঁচামাল বা পণ্য আমদানি করার সুযোগ তৈরি হল। এতদিন কেবল বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সপ্রাপ্ত শতাভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা এ ধরনের সুবিধা পেত। নতুন নিয়মে ‘শতাভাগ রপ্তানিমুখী’ হওয়ার শর্ত থাকল না। অর্থাৎ, রপ্তানি করলেই এ সুবিধা পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুল্কমুক্ত এ সুবিধা পেতে আমদানিকারক কোম্পানিকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিরূপিত ‘শুল্ক করাদির সমপরিমান ব্যাংক গ্যারান্টি’ জমা দিতে হবে।
এনবিআর আশা করছে, বন্ড লাইসেন্স না থাকার পরও শুল্কমুক্ত সুবিধায় পণ্য আমদানির সুযোগ দেওয়ার ফলে রপ্তানিকারক কোম্পানির ‘উৎপাদন সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের বৈচিত্র্য বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে’।
বন্ডেড ওয়্যারহাউসের শর্ত মেনে লাইসেন্স পাওয়া সাধারণত ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য কঠিন; কিন্তু এরকম অনেক কোম্পানিই রপ্তানিমুখী হচ্ছে। শুল্ক দিয়ে কাঁচামাল আমদানি করে পরে মূল্য সংযোজন করে রপ্তানি করতে গেলে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাতে হয়। একই সঙ্গে দেশীয় বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও তাদের অসম প্রতিযোগিতা করতে হয়।
সেজন্য এসব শিল্প থেকে বা এসএমই খাত থেকে বরাবরই আংশিক রপ্তানিকারকদের বন্ডের সুবিধায় আনার দাবি ছিল; অথবা শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির সুযোগ চাওয়া হচ্ছিল।
তবে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে কাঁচামাল আমদানি করে তা দেশের বাজারে বিক্রির অসংখ্য অভিযোগ থাকায় এনবিআর এতদিন বাড়তি কাউকে এ সুবিধা দিতে রাজি হয়নি।