alt

যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বছরে পোশাক রপ্তানিতে আয় বেড়েছে ৩৬ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

গত ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রফতানিতে আয় বেড়েছে ৩৬ শতাংশ। ২০১৫ সালে দেশটিতে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি আয় যেখানে ৫ হাজার ৪০৪ মিলিয়ন ডলার ছিল, ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৪২ মিলিয়ন ডলারে।

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানির পরিমাণও বেড়েছে। গত ১০ বছরে দেশটিতে পোশাক রফতানির পরিমাণ বেড়েছে সাড়ে ২৬ শতাংশ ও পোশাকের মূল্য বেড়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ।

গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের অধীন ইউএস অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) এক পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ওটেক্সার তথ্যমতে, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি থেকে আয় ছিল ৫ হাজার ৪০৪ মিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৪২ মিলিয়ন ডলার। ১০ বছরের ব্যবধানে আয় বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

ওটেক্সার তথ্য থেকে জানা গেছে, বিশ্ব থেকে ১০ বছরের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিতে অর্থ ব্যয় কমেছে ৭ শতাংশ। আর ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে চীনের আয় কমেছে ৪৬ শতাংশ। এই সময়ে সবচেয়ে আয় বেড়েছে কম্বোডিয়ার ৫৩ শতাংশ। পরের অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান, দেশটির আয় বেড়েছে ৫১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের আয় বেড়েছে ৪২ শতাংশ।

ওটেক্সার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ১ হাজার ৮৭১ মিলিয়ন স্কয়ার মিটার পোশাক রফতানি করে। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৬৯ মিলিয়ন স্কয়ার মিটার। অর্থাৎ ১০ বছরে পরিমাণের দিক থেকে দেশটিতে পোশাক রফতানি বেড়েছে ২৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।

ওটেক্সার তথ্য থেকে আরও জানা গেছে, ২০১৫ সালে যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাকের স্কয়ার মিটারের দাম ছিল ২ দশমিক ৮৯ ডলার, ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ১০ ডলার। অর্থাৎ ১০ বছরের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পোশাকের দাম প্রতি স্কয়ার মিটারে বেড়েছে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ।

এ বিষয়ে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘গত ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে আমরা একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছেছি। চীনের খারাপ অবস্থানও এর একটি কারণ। রফতানি আয়, রফতানির পরিমাণ ও দাম- তিন ক্ষেত্রেই আমাদের উন্নতি হয়েছে। বিশ্ব থেকে যেভাবে আমদানি করে, যে রকম দাম দেয়, সেক্ষেত্রে আমরা খারাপ করিনি। তবে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের একটি দুর্বলতা রয়েছে। দামি পণ্যে প্রতিযোগী দেশগুলো বেশি এগিয়ে আছে, আমরা সেক্ষেত্রে তেমন ভালো করতে পারছি না। আমরা এখনো কম দামে বা কম দামি পণ্য রফতানি করছি। আমরা যদি আরও বেশি দামি পণ্য রফতানি করি, তাহলে রফতানিতে আমরা ভালো অবস্থান করতে পারব।’

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে ১৫ অক্টোবর থেকে আদায় হবে বর্ধিত ট্যারিফ

ছবি

টেকসই উন্নয়নে এনভয় টেক্সটাইলকে ৩ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি

ছবি

৯ মাসে পুঁজিবাজার বিমুখ ৬২ হাজার বিনিয়োগকারী

ছবি

বিদেশি বিনিয়োগ হিসাব খোলার নিয়ম সহজ করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

ডিএসই পরিচালক বললেন, অর্থপাচার রোধ ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে

ছবি

ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলা কমেছে ১১ শতাংশ

ছবি

মার্কিন শাটডাউন: ডলারের দর ২২ বছরে সর্বোচ্চ বার্ষিক পতনের পথে

ছবি

ব্যবসা মন্দা, রাজস্বে ঘাটতি চাপ বাড়াবে আইএমএফ

ছবি

পনের বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের রেকর্ড ও মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তারিখ নির্ধারণ

ছবি

এনআরবি ব্যাংকের ২টি নতুন পণ্য চালু

ছবি

ডিসেম্বরে চালু হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

ছবি

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কত হওয়া উচিত, মতামত দিতে পারবেন নাগরিকেরা

ছবি

কর্মানুমতির বিপরীতে নিরাপত্তা ছাড়পত্র এখন সম্পূর্ণ ডিজিটাল

ছবি

ইউসিবির ৮০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

ছবি

সরকারি কেনাকাটায় অনলাইনে দরপত্র বাধ্যতামূলক

ছবি

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপোতে ডিসিসিআই প্রতিনিধি দল

ছবি

বাংলাদেশ সফরে টেলিনর সিইও

ছবি

ব্যবসায়ীদের দুশ্চিন্তা ব্যবসা-বিনিয়োগে

ছবি

শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির সুযোগ বাড়লো

ছবি

২ লাখ ১০ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত

ছবি

৬৩ কোটি টাকা মুনাফা ইবনে সিনার, বিনিয়োগকারীরা পাবেন ২০ কোটি

ছবি

গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক বিএলএফসিএ নেতাদের

ছবি

৫২ হাজার টন গম নিয়ে রুশ জাহাজ কুতুবদিয়ায় ভিড়লো

ছবি

ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাচার হওয়া কিছু অর্থ ফিরবে: উপদেষ্টা

ছবি

দেশের ইস্ট ইন্ডিয়াকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে: ফরাসউদ্দিন

ছবি

সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় লেনদেন ৬৯৬ কোটি টাকা

ছবি

চীন-মরক্কো-সৌদি আরব থেকে ১৭১৪ কোটি টাকার সার আনবে সরকার

ছবি

বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণের তথ্য সিআইবিতে দেয়ার নির্দেশ

ছবি

তিন ব্যাংকের ২৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

ছবি

পরপর চারদিনের ছুটিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান

ছবি

শেয়ার দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় ডিএসইর সতর্কবার্তা

ছবি

কর্মকর্তার নামে অনৈতিক সুবিধা দাবি, সতর্ক করলো আইডিআরএ

ছবি

দেশে ১০-১৫টি ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’, সম্পদ জব্দই যথেষ্ট নয়: ফরাসউদ্দিন

ছবি

পাচারের কিছু অর্থ ফেব্রুয়ারিতে ফিরতে পারে: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

টিসিবির কার্ডে যুক্ত হচ্ছে সাবান, চা, লবণ

ছবি

বছরে ২ কোটি ১০ লাখ টন খাবার নষ্ট হয়: উপদেষ্টা

tab

যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বছরে পোশাক রপ্তানিতে আয় বেড়েছে ৩৬ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

গত ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রফতানিতে আয় বেড়েছে ৩৬ শতাংশ। ২০১৫ সালে দেশটিতে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি আয় যেখানে ৫ হাজার ৪০৪ মিলিয়ন ডলার ছিল, ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৪২ মিলিয়ন ডলারে।

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানির পরিমাণও বেড়েছে। গত ১০ বছরে দেশটিতে পোশাক রফতানির পরিমাণ বেড়েছে সাড়ে ২৬ শতাংশ ও পোশাকের মূল্য বেড়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ।

গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের অধীন ইউএস অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) এক পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ওটেক্সার তথ্যমতে, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি থেকে আয় ছিল ৫ হাজার ৪০৪ মিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৪২ মিলিয়ন ডলার। ১০ বছরের ব্যবধানে আয় বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

ওটেক্সার তথ্য থেকে জানা গেছে, বিশ্ব থেকে ১০ বছরের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিতে অর্থ ব্যয় কমেছে ৭ শতাংশ। আর ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে চীনের আয় কমেছে ৪৬ শতাংশ। এই সময়ে সবচেয়ে আয় বেড়েছে কম্বোডিয়ার ৫৩ শতাংশ। পরের অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান, দেশটির আয় বেড়েছে ৫১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের আয় বেড়েছে ৪২ শতাংশ।

ওটেক্সার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ১ হাজার ৮৭১ মিলিয়ন স্কয়ার মিটার পোশাক রফতানি করে। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৬৯ মিলিয়ন স্কয়ার মিটার। অর্থাৎ ১০ বছরে পরিমাণের দিক থেকে দেশটিতে পোশাক রফতানি বেড়েছে ২৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।

ওটেক্সার তথ্য থেকে আরও জানা গেছে, ২০১৫ সালে যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাকের স্কয়ার মিটারের দাম ছিল ২ দশমিক ৮৯ ডলার, ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ১০ ডলার। অর্থাৎ ১০ বছরের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পোশাকের দাম প্রতি স্কয়ার মিটারে বেড়েছে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ।

এ বিষয়ে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘গত ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে আমরা একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছেছি। চীনের খারাপ অবস্থানও এর একটি কারণ। রফতানি আয়, রফতানির পরিমাণ ও দাম- তিন ক্ষেত্রেই আমাদের উন্নতি হয়েছে। বিশ্ব থেকে যেভাবে আমদানি করে, যে রকম দাম দেয়, সেক্ষেত্রে আমরা খারাপ করিনি। তবে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের একটি দুর্বলতা রয়েছে। দামি পণ্যে প্রতিযোগী দেশগুলো বেশি এগিয়ে আছে, আমরা সেক্ষেত্রে তেমন ভালো করতে পারছি না। আমরা এখনো কম দামে বা কম দামি পণ্য রফতানি করছি। আমরা যদি আরও বেশি দামি পণ্য রফতানি করি, তাহলে রফতানিতে আমরা ভালো অবস্থান করতে পারব।’

back to top