alt

ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলা কমেছে ১১ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

দেশে রপ্তানিকারকদের চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলা কমেছে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে রপ্তানিকারকরা মোট ১৭১ কোটি ডলারের ব্যাক টু ব্যাক এলসি খুলে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ১৯৩ কোটি ডলার। দুই মাসের ব্যবধানে প্রায় ২২ কোটি ডলার কমে গেছে। তবে এ খাতে আগে খোলা এলসির নিষ্পত্তি বেড়েছে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বৈদেশিক বাজারে চাহিদার উঠানামার কারণে এ ধরনের নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছে। তবে সার্বিকভাবে দেশের আমদানি বাণিজ্যে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে মোট এলসি খোলা হয়েছে ১ হাজার ১৪৮ কোটি ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে এলসির অঙ্ক ছিল ১ হাজার ৬০ কোটি ডলার। আর সার্বিকভাবে এলসি খোলা বেড়েছে ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। এ সময় এলসি নিষ্পত্তি বেড়েছে ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ।

খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, এলসি খোলার এই ভিন্নধর্মী প্রবণতা দেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থার প্রতিফলন। একদিকে ভোগ্যপণ্য, উৎপাদনশীল খাতের কাঁচামাল ও জ্বালানির আমদানি বেড়েছে। অন্যদিকে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে দেখা দিয়েছে উল্লেখযোগ্য পতন।

চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি বেড়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ। মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি হ্রাস পাওয়া নিয়ে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটি একটি উদ্বেগজনক সংকেত। মূলধনী যন্ত্রপাতি সাধারণত নতুন শিল্প স্থাপন, বিদ্যমান কারখানা সম্প্রসারণ কিংবা উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার হয়। অথচ এই খাতে আমদানি কমে যাওয়া মানে হচ্ছে দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ সীমিত হচ্ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে শিল্প ও উৎপাদন খাতের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে এক ধরনের রূপান্তর বা ‘ট্রানজেকশন পিরিয়ড’ চলছে। গত সরকারের আমলে যেসব আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক সক্রিয় ছিলেন, তাদের অনেকেই এখন ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন বা পালিয়ে গেছেন। ফলে বাজারে নতুন উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছেন। তারা ব্যবসা সচল রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই পরিবর্তনের প্রভাব আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে উঠানামা হিসেবে প্রতিফলিত হচ্ছে।

সূত্র আরো জানায়, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা ব্যবসার পরিবেশকে প্রভাবিত করছে। অনেক বিনিয়োগকারী অপেক্ষা করছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য। আর্থিক লেনদেন ও ব্যবসার সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্থিতিশীল পরিবেশ অপরিহার্য।

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে ১৫ অক্টোবর থেকে আদায় হবে বর্ধিত ট্যারিফ

ছবি

টেকসই উন্নয়নে এনভয় টেক্সটাইলকে ৩ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি

ছবি

৯ মাসে পুঁজিবাজার বিমুখ ৬২ হাজার বিনিয়োগকারী

ছবি

বিদেশি বিনিয়োগ হিসাব খোলার নিয়ম সহজ করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

ডিএসই পরিচালক বললেন, অর্থপাচার রোধ ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে

ছবি

মার্কিন শাটডাউন: ডলারের দর ২২ বছরে সর্বোচ্চ বার্ষিক পতনের পথে

ছবি

ব্যবসা মন্দা, রাজস্বে ঘাটতি চাপ বাড়াবে আইএমএফ

ছবি

পনের বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের রেকর্ড ও মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তারিখ নির্ধারণ

ছবি

এনআরবি ব্যাংকের ২টি নতুন পণ্য চালু

ছবি

ডিসেম্বরে চালু হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বছরে পোশাক রপ্তানিতে আয় বেড়েছে ৩৬ শতাংশ

ছবি

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কত হওয়া উচিত, মতামত দিতে পারবেন নাগরিকেরা

ছবি

কর্মানুমতির বিপরীতে নিরাপত্তা ছাড়পত্র এখন সম্পূর্ণ ডিজিটাল

ছবি

ইউসিবির ৮০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

ছবি

সরকারি কেনাকাটায় অনলাইনে দরপত্র বাধ্যতামূলক

ছবি

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপোতে ডিসিসিআই প্রতিনিধি দল

ছবি

বাংলাদেশ সফরে টেলিনর সিইও

ছবি

ব্যবসায়ীদের দুশ্চিন্তা ব্যবসা-বিনিয়োগে

ছবি

শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির সুযোগ বাড়লো

ছবি

২ লাখ ১০ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত

ছবি

৬৩ কোটি টাকা মুনাফা ইবনে সিনার, বিনিয়োগকারীরা পাবেন ২০ কোটি

ছবি

গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক বিএলএফসিএ নেতাদের

ছবি

৫২ হাজার টন গম নিয়ে রুশ জাহাজ কুতুবদিয়ায় ভিড়লো

ছবি

ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাচার হওয়া কিছু অর্থ ফিরবে: উপদেষ্টা

ছবি

দেশের ইস্ট ইন্ডিয়াকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে: ফরাসউদ্দিন

ছবি

সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় লেনদেন ৬৯৬ কোটি টাকা

ছবি

চীন-মরক্কো-সৌদি আরব থেকে ১৭১৪ কোটি টাকার সার আনবে সরকার

ছবি

বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণের তথ্য সিআইবিতে দেয়ার নির্দেশ

ছবি

তিন ব্যাংকের ২৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

ছবি

পরপর চারদিনের ছুটিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান

ছবি

শেয়ার দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় ডিএসইর সতর্কবার্তা

ছবি

কর্মকর্তার নামে অনৈতিক সুবিধা দাবি, সতর্ক করলো আইডিআরএ

ছবি

দেশে ১০-১৫টি ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’, সম্পদ জব্দই যথেষ্ট নয়: ফরাসউদ্দিন

ছবি

পাচারের কিছু অর্থ ফেব্রুয়ারিতে ফিরতে পারে: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

টিসিবির কার্ডে যুক্ত হচ্ছে সাবান, চা, লবণ

ছবি

বছরে ২ কোটি ১০ লাখ টন খাবার নষ্ট হয়: উপদেষ্টা

tab

ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলা কমেছে ১১ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

দেশে রপ্তানিকারকদের চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলা কমেছে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে রপ্তানিকারকরা মোট ১৭১ কোটি ডলারের ব্যাক টু ব্যাক এলসি খুলে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ১৯৩ কোটি ডলার। দুই মাসের ব্যবধানে প্রায় ২২ কোটি ডলার কমে গেছে। তবে এ খাতে আগে খোলা এলসির নিষ্পত্তি বেড়েছে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বৈদেশিক বাজারে চাহিদার উঠানামার কারণে এ ধরনের নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছে। তবে সার্বিকভাবে দেশের আমদানি বাণিজ্যে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে মোট এলসি খোলা হয়েছে ১ হাজার ১৪৮ কোটি ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে এলসির অঙ্ক ছিল ১ হাজার ৬০ কোটি ডলার। আর সার্বিকভাবে এলসি খোলা বেড়েছে ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। এ সময় এলসি নিষ্পত্তি বেড়েছে ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ।

খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, এলসি খোলার এই ভিন্নধর্মী প্রবণতা দেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থার প্রতিফলন। একদিকে ভোগ্যপণ্য, উৎপাদনশীল খাতের কাঁচামাল ও জ্বালানির আমদানি বেড়েছে। অন্যদিকে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে দেখা দিয়েছে উল্লেখযোগ্য পতন।

চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি বেড়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ। মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি হ্রাস পাওয়া নিয়ে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটি একটি উদ্বেগজনক সংকেত। মূলধনী যন্ত্রপাতি সাধারণত নতুন শিল্প স্থাপন, বিদ্যমান কারখানা সম্প্রসারণ কিংবা উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার হয়। অথচ এই খাতে আমদানি কমে যাওয়া মানে হচ্ছে দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ সীমিত হচ্ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে শিল্প ও উৎপাদন খাতের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে এক ধরনের রূপান্তর বা ‘ট্রানজেকশন পিরিয়ড’ চলছে। গত সরকারের আমলে যেসব আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক সক্রিয় ছিলেন, তাদের অনেকেই এখন ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন বা পালিয়ে গেছেন। ফলে বাজারে নতুন উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছেন। তারা ব্যবসা সচল রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই পরিবর্তনের প্রভাব আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে উঠানামা হিসেবে প্রতিফলিত হচ্ছে।

সূত্র আরো জানায়, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা ব্যবসার পরিবেশকে প্রভাবিত করছে। অনেক বিনিয়োগকারী অপেক্ষা করছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য। আর্থিক লেনদেন ও ব্যবসার সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্থিতিশীল পরিবেশ অপরিহার্য।

back to top