alt

৯ মাসে পুঁজিবাজার বিমুখ ৬২ হাজার বিনিয়োগকারী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

দেশের পুঁজিবাজারে দীর্ঘ সময় ধরে মন্দাভাব বিরাজ করছে। করোনা মহামারির সময়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পুঁজিবাজার নিম্নমুখী থাকলেও, ওই সময়ে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছিল। এর ফলে বিনিয়োগকারীর বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্টের (বিও হিসাব) সংখ্যাও তখন পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায়।

২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে কমতে শুরু করে বিও হিসাব। এরপর দুই-একমাস সামান্য বাড়লেও প্রায় প্রতি মাসেই বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজার ছাড়তে দেখা গেছে। চলতি বছরের মাত্র ৯ মাসে পুঁজিবাজার ছেড়েছেন প্রায় ৩০ হাজার বিনিয়োগকারী। আলোচিত সময়ে আরও প্রায় ৩২ হাজার বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব শেয়ার শূন্য হয়েছে।

এ হিসাবে চলতি বছরের নয় মাসে মোট ৬২ হাজার বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে নিষ্ক্রিয় হয়েছেন।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পুঁজিবাজারে মোট বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৪৫২টি। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে যা কমে হয়েছে ১৬ লাখ ৩২ হাজার ২২৭টি। অর্থাৎ নয় মাসের ব্যবধানে বিও হিসাব কমেছে ৩০ হাজার ২২৫টি।

সেপ্টেম্বর শেষে মোট বিও হিসাবের মধ্যে শেয়ার রয়েছে, এমন বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৯ হাজার ২০৭টি। ওইসব হিসাবে মোট ১০ হাজার ২৫৭ কোটি শেয়ার ও ইউনিট রয়েছে। যার বাজার মূল্য ৩ লাখ ১৬ হাজার ৪২ কোটি টাকা। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে শেয়ার রয়েছে, এমন বিও হিসাব ছিল ১২ লাখ ৭১ হাজার ৭৫৯টি। ওইসব বিও হিসাবে মোট ১০ হাজার ১৫৬ কোটি শেয়ার ও ইউনিট রয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ৩ লাখ ৯ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা।

অন্যদিকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে শেয়ার শূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৮৫৯টি। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯৭৪টি। অর্থাৎ নয় মাসের মাসের ব্যবধানে শেয়ার শূন্য বিও হিসাব বেড়েছে ৩১ হাজার ৮৮৫টি। সেই হিসেবে গত নয় মাসে পুঁজিবাজার থেকে বিও হিসাব কমেছে ৩০ হাজার ২২৫টি এবং শেয়ার শূন্য বিও হিসাব বেড়েছে ৩১ হাজার ৮৮৫টি। অর্থাৎ মাত্র ৯ মাসে পুঁজিবাজারে নিষ্ক্রিয় হয়েছেন ৬২ হাজার ১১০ জন বিনিয়োগকারী।

এ বিষয়ে একটি ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি একটি আতঙ্ক বিরাজমান। তাছাড়া, বাজারে আস্থা বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থারও তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। দীর্ঘ সময় ধরে বাজারে নতুন কোনো প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আসেনি। এসব কারণে অনেক বিনিয়োগকারী বাজার বিমুখ হয়ে বেড়িয়ে গেছেন।’

তবে শিগগিরই বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদী ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের বার্ষিক ফি কমানো হয়েছে। এটি বিনিয়োগকারীদের ধরে রাখতে সহায়তা করবে। তাছাড়া বাজার দীর্ঘমেয়াদে ভালো করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এগুলোর প্রতিফলন আসতে শুরু করলে বিনিয়োগকারীদেরও আস্থা বৃদ্ধি পাবে।’

সিডিবিএলের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বর শেষে মোট ১৬ লাখ ৩২ হাজার ২২৭টি বিও হিসাবের মধ্যে পুরুষ বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৪১ হাজার ৪৭৬টি। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১২ লাখ ৬১ হাজার ১৯৮টি। অর্থাৎ নয় মাসের ব্যবধানে পুরুষ বিও হিসাব কমেছে ১৯ হাজার ৭২২টি।

আলোচিত এই নয় মাসে নারী বিও হিসাব সংখ্যা কমেছে ১০ হাজার ৭৩৫টি। গত ডিসেম্বর শেষে নারী বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৫৫টি। ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে যা কমে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২০টি হয়েছে। এদিকে সেপ্টেম্বর শেষে বাংলাদেশে থাকা বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৬৯৫টি। গত ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১৬ লাখ ১৮ হাজার ২৬২টি। অর্থাৎ নয় মাসে দেশি বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব কমেছে ২৭ হাজার ৫৬৭টি।

আলোচিত সময়ে বিদেশি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিও হিসাব কমেছে ২ হাজার ৮৯০টি। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে এই সংখ্যা কমে হয়েছে ৪৩ হাজার ৮০১টি। গত বছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ৪৬ হাজার ৬৯১টি।

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে ১৫ অক্টোবর থেকে আদায় হবে বর্ধিত ট্যারিফ

ছবি

টেকসই উন্নয়নে এনভয় টেক্সটাইলকে ৩ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি

ছবি

বিদেশি বিনিয়োগ হিসাব খোলার নিয়ম সহজ করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

ডিএসই পরিচালক বললেন, অর্থপাচার রোধ ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে

ছবি

ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলা কমেছে ১১ শতাংশ

ছবি

মার্কিন শাটডাউন: ডলারের দর ২২ বছরে সর্বোচ্চ বার্ষিক পতনের পথে

ছবি

ব্যবসা মন্দা, রাজস্বে ঘাটতি চাপ বাড়াবে আইএমএফ

ছবি

পনের বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের রেকর্ড ও মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তারিখ নির্ধারণ

ছবি

এনআরবি ব্যাংকের ২টি নতুন পণ্য চালু

ছবি

ডিসেম্বরে চালু হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বছরে পোশাক রপ্তানিতে আয় বেড়েছে ৩৬ শতাংশ

ছবি

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কত হওয়া উচিত, মতামত দিতে পারবেন নাগরিকেরা

ছবি

কর্মানুমতির বিপরীতে নিরাপত্তা ছাড়পত্র এখন সম্পূর্ণ ডিজিটাল

ছবি

ইউসিবির ৮০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

ছবি

সরকারি কেনাকাটায় অনলাইনে দরপত্র বাধ্যতামূলক

ছবি

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপোতে ডিসিসিআই প্রতিনিধি দল

ছবি

বাংলাদেশ সফরে টেলিনর সিইও

ছবি

ব্যবসায়ীদের দুশ্চিন্তা ব্যবসা-বিনিয়োগে

ছবি

শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির সুযোগ বাড়লো

ছবি

২ লাখ ১০ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত

ছবি

৬৩ কোটি টাকা মুনাফা ইবনে সিনার, বিনিয়োগকারীরা পাবেন ২০ কোটি

ছবি

গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক বিএলএফসিএ নেতাদের

ছবি

৫২ হাজার টন গম নিয়ে রুশ জাহাজ কুতুবদিয়ায় ভিড়লো

ছবি

ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাচার হওয়া কিছু অর্থ ফিরবে: উপদেষ্টা

ছবি

দেশের ইস্ট ইন্ডিয়াকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে: ফরাসউদ্দিন

ছবি

সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় লেনদেন ৬৯৬ কোটি টাকা

ছবি

চীন-মরক্কো-সৌদি আরব থেকে ১৭১৪ কোটি টাকার সার আনবে সরকার

ছবি

বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণের তথ্য সিআইবিতে দেয়ার নির্দেশ

ছবি

তিন ব্যাংকের ২৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

ছবি

পরপর চারদিনের ছুটিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান

ছবি

শেয়ার দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় ডিএসইর সতর্কবার্তা

ছবি

কর্মকর্তার নামে অনৈতিক সুবিধা দাবি, সতর্ক করলো আইডিআরএ

ছবি

দেশে ১০-১৫টি ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’, সম্পদ জব্দই যথেষ্ট নয়: ফরাসউদ্দিন

ছবি

পাচারের কিছু অর্থ ফেব্রুয়ারিতে ফিরতে পারে: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

টিসিবির কার্ডে যুক্ত হচ্ছে সাবান, চা, লবণ

ছবি

বছরে ২ কোটি ১০ লাখ টন খাবার নষ্ট হয়: উপদেষ্টা

tab

৯ মাসে পুঁজিবাজার বিমুখ ৬২ হাজার বিনিয়োগকারী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

দেশের পুঁজিবাজারে দীর্ঘ সময় ধরে মন্দাভাব বিরাজ করছে। করোনা মহামারির সময়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পুঁজিবাজার নিম্নমুখী থাকলেও, ওই সময়ে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছিল। এর ফলে বিনিয়োগকারীর বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্টের (বিও হিসাব) সংখ্যাও তখন পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায়।

২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে কমতে শুরু করে বিও হিসাব। এরপর দুই-একমাস সামান্য বাড়লেও প্রায় প্রতি মাসেই বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজার ছাড়তে দেখা গেছে। চলতি বছরের মাত্র ৯ মাসে পুঁজিবাজার ছেড়েছেন প্রায় ৩০ হাজার বিনিয়োগকারী। আলোচিত সময়ে আরও প্রায় ৩২ হাজার বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব শেয়ার শূন্য হয়েছে।

এ হিসাবে চলতি বছরের নয় মাসে মোট ৬২ হাজার বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে নিষ্ক্রিয় হয়েছেন।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পুঁজিবাজারে মোট বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৪৫২টি। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে যা কমে হয়েছে ১৬ লাখ ৩২ হাজার ২২৭টি। অর্থাৎ নয় মাসের ব্যবধানে বিও হিসাব কমেছে ৩০ হাজার ২২৫টি।

সেপ্টেম্বর শেষে মোট বিও হিসাবের মধ্যে শেয়ার রয়েছে, এমন বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৯ হাজার ২০৭টি। ওইসব হিসাবে মোট ১০ হাজার ২৫৭ কোটি শেয়ার ও ইউনিট রয়েছে। যার বাজার মূল্য ৩ লাখ ১৬ হাজার ৪২ কোটি টাকা। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে শেয়ার রয়েছে, এমন বিও হিসাব ছিল ১২ লাখ ৭১ হাজার ৭৫৯টি। ওইসব বিও হিসাবে মোট ১০ হাজার ১৫৬ কোটি শেয়ার ও ইউনিট রয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ৩ লাখ ৯ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা।

অন্যদিকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে শেয়ার শূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৮৫৯টি। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯৭৪টি। অর্থাৎ নয় মাসের মাসের ব্যবধানে শেয়ার শূন্য বিও হিসাব বেড়েছে ৩১ হাজার ৮৮৫টি। সেই হিসেবে গত নয় মাসে পুঁজিবাজার থেকে বিও হিসাব কমেছে ৩০ হাজার ২২৫টি এবং শেয়ার শূন্য বিও হিসাব বেড়েছে ৩১ হাজার ৮৮৫টি। অর্থাৎ মাত্র ৯ মাসে পুঁজিবাজারে নিষ্ক্রিয় হয়েছেন ৬২ হাজার ১১০ জন বিনিয়োগকারী।

এ বিষয়ে একটি ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি একটি আতঙ্ক বিরাজমান। তাছাড়া, বাজারে আস্থা বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থারও তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। দীর্ঘ সময় ধরে বাজারে নতুন কোনো প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আসেনি। এসব কারণে অনেক বিনিয়োগকারী বাজার বিমুখ হয়ে বেড়িয়ে গেছেন।’

তবে শিগগিরই বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদী ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের বার্ষিক ফি কমানো হয়েছে। এটি বিনিয়োগকারীদের ধরে রাখতে সহায়তা করবে। তাছাড়া বাজার দীর্ঘমেয়াদে ভালো করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এগুলোর প্রতিফলন আসতে শুরু করলে বিনিয়োগকারীদেরও আস্থা বৃদ্ধি পাবে।’

সিডিবিএলের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বর শেষে মোট ১৬ লাখ ৩২ হাজার ২২৭টি বিও হিসাবের মধ্যে পুরুষ বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৪১ হাজার ৪৭৬টি। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১২ লাখ ৬১ হাজার ১৯৮টি। অর্থাৎ নয় মাসের ব্যবধানে পুরুষ বিও হিসাব কমেছে ১৯ হাজার ৭২২টি।

আলোচিত এই নয় মাসে নারী বিও হিসাব সংখ্যা কমেছে ১০ হাজার ৭৩৫টি। গত ডিসেম্বর শেষে নারী বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৫৫টি। ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে যা কমে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২০টি হয়েছে। এদিকে সেপ্টেম্বর শেষে বাংলাদেশে থাকা বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৬৯৫টি। গত ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১৬ লাখ ১৮ হাজার ২৬২টি। অর্থাৎ নয় মাসে দেশি বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব কমেছে ২৭ হাজার ৫৬৭টি।

আলোচিত সময়ে বিদেশি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিও হিসাব কমেছে ২ হাজার ৮৯০টি। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে এই সংখ্যা কমে হয়েছে ৪৩ হাজার ৮০১টি। গত বছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ৪৬ হাজার ৬৯১টি।

back to top