চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন হার গত বছরের রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্য দিয়ে যাওয়া একই সময়ের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।
গত জুলাই-সেপ্টেম্বরে এডিপির অর্থ ব্যয় হয়েছে বরাদ্দের ৫ দশমিক ০৯ শতাংশ যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
গত রোববার এডিপি বাস্তবায়নের সবশেষ তথ্য প্রকাশ করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, আইএমইডি। একক মাস হিসেবে গত সেপ্টেম্বরে বরাদ্দের ২ দশমিক ৭০ শতাংশ ব্যয় হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ দশমিক ১৮ শতাংশ। জুলাই-সেপ্টেম্বরে মোট ১২ হাজার ১৫৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৩ হাজার ২১৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
সাধারণত অর্থবছরের প্রথম দিকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অর্থছাড় কম হয়, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে।
গত জুলাইয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনের জন্য বাস্তবায়নের গতি অন্যান্যবারের তুলনায় কম ছিল। তখন আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি, কারফিউ জারি, কমপ্লিট শাটডাউনের মতো ঘটনায় উন্নয়ন কর্মকা- ব্যাহত হয়।
গেল বছরের অগাস্টে সরকার পতন হলে আওয়ামী লীগ ঘরানার ঠিকাদাররা অনেকে আত্মগোপনে চলে যান। এর মধ্যে নতুন সরকার এসে বিভিন্ন প্রকল্প খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিলে অর্থবছরের পুরো সময়টা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা দেখা যায়। অর্থ কাটছাঁট ও রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে দাবি করে অনেক প্রকল্প বন্ধও রাখে সরকার।
তার প্রভাব পড়ে এডিপিতে; দুই দশকের মধ্যে তলানিতে নামে বাস্তবায়ন হার।
২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে সংশোধিত এডিপির মোট বরাদ্দের ৬৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়। এ হার আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৩ শতাংশ পয়েন্ট কম।
আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এডিপির অর্থ ব্যয়ের হার ছিল ৮০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আইএমইডির ওয়েবসাইটে ২০০৪-০৫ অর্থবছর থেকে এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য দেওয়া আছে।
বিদায়ী অর্থবছরের মত এত কম বাস্তবায়ন হার আর কোনো বছরে হয়নি।
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন হার গত বছরের রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্য দিয়ে যাওয়া একই সময়ের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।
গত জুলাই-সেপ্টেম্বরে এডিপির অর্থ ব্যয় হয়েছে বরাদ্দের ৫ দশমিক ০৯ শতাংশ যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
গত রোববার এডিপি বাস্তবায়নের সবশেষ তথ্য প্রকাশ করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, আইএমইডি। একক মাস হিসেবে গত সেপ্টেম্বরে বরাদ্দের ২ দশমিক ৭০ শতাংশ ব্যয় হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ দশমিক ১৮ শতাংশ। জুলাই-সেপ্টেম্বরে মোট ১২ হাজার ১৫৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৩ হাজার ২১৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
সাধারণত অর্থবছরের প্রথম দিকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অর্থছাড় কম হয়, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে।
গত জুলাইয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনের জন্য বাস্তবায়নের গতি অন্যান্যবারের তুলনায় কম ছিল। তখন আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি, কারফিউ জারি, কমপ্লিট শাটডাউনের মতো ঘটনায় উন্নয়ন কর্মকা- ব্যাহত হয়।
গেল বছরের অগাস্টে সরকার পতন হলে আওয়ামী লীগ ঘরানার ঠিকাদাররা অনেকে আত্মগোপনে চলে যান। এর মধ্যে নতুন সরকার এসে বিভিন্ন প্রকল্প খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিলে অর্থবছরের পুরো সময়টা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা দেখা যায়। অর্থ কাটছাঁট ও রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে দাবি করে অনেক প্রকল্প বন্ধও রাখে সরকার।
তার প্রভাব পড়ে এডিপিতে; দুই দশকের মধ্যে তলানিতে নামে বাস্তবায়ন হার।
২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে সংশোধিত এডিপির মোট বরাদ্দের ৬৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়। এ হার আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৩ শতাংশ পয়েন্ট কম।
আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এডিপির অর্থ ব্যয়ের হার ছিল ৮০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আইএমইডির ওয়েবসাইটে ২০০৪-০৫ অর্থবছর থেকে এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য দেওয়া আছে।
বিদায়ী অর্থবছরের মত এত কম বাস্তবায়ন হার আর কোনো বছরে হয়নি।