ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ–চীন গ্রিন টেক্সটাইল এক্সপো (বিসিজিটিএক্স)-২০২৫’। সবুজ রূপান্তর, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি এবং টেক্সটাইল খাতে উদ্ভাবনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার,(২৩ অক্টোবর ২০২৫) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছে সেভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, সহ-আয়োজক হিসেবে রয়েছে চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি)। সহযোগী অংশীদার হিসেবে যুক্ত রয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এবং শাংহাই ক্লাইমেট উইক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশনের (বিটিএমসি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস. এম. জাহিদ হাসান, বাংলাদেশ-চীন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) সভাপতি খোরশেদ আলম এবং চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের (সিইএবি) সভাপতি হান কুনসহ অন্যান্য অতিথিরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, এই প্রদর্শনী দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করবে এবং চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নত প্রযুক্তি, টেক্সটাইল উপকরণ ও যন্ত্রপাতির অগ্রগতি তুলে ধরার সুযোগ করে দেবে।
তিনি বলেন, “এই প্রদর্শনী একাডেমিক ও ব্যবসায়িক মহলের প্রতিনিধিদের একত্রে এনে টেক্সটাইল শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। চীন সবুজ রূপান্তরে বাংলাদেশসহ অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। এতে জ্বালানি দক্ষ প্রযুক্তি ও পরিবেশবান্ধব কাঁচামালের ব্যবহার বাড়িয়ে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব হবে। ”
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “চীন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার। গত পাঁচ দশকে দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমাগত উন্নতি লাভ করেছে এবং বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। ”
তিনি জানান, গত বছরের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ২০টিরও বেশি চীনা প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পর থেকে চীনের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ইয়াও ওয়েন আরও জানান, চীন বাংলাদেশের টেক্সটাইল পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশি পণ্যের শতভাগ টেক্সটাইল আইটেমের ওপর ইতোমধ্যেই শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে চীন। এই অংশীদারিত্বকে তিনি পারস্পরিক সমৃদ্ধির পথ হিসেবে অভিহিত করেন।
এক্সপোতে মোট ৮০টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে সেভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়জুল আলম বলেন, “এটি বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পে সবুজ রূপান্তরের এক নতুন সূচনা। আগামী বছরও আমরা এই উদ্যোগ অব্যাহত রাখব। ” প্রদর্শনীটি সকল দর্শনার্থীর জন্য উন্মুক্ত থাকবে ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবর প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ–চীন গ্রিন টেক্সটাইল এক্সপো (বিসিজিটিএক্স)-২০২৫’। সবুজ রূপান্তর, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি এবং টেক্সটাইল খাতে উদ্ভাবনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার,(২৩ অক্টোবর ২০২৫) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছে সেভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, সহ-আয়োজক হিসেবে রয়েছে চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি)। সহযোগী অংশীদার হিসেবে যুক্ত রয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এবং শাংহাই ক্লাইমেট উইক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশনের (বিটিএমসি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস. এম. জাহিদ হাসান, বাংলাদেশ-চীন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) সভাপতি খোরশেদ আলম এবং চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের (সিইএবি) সভাপতি হান কুনসহ অন্যান্য অতিথিরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, এই প্রদর্শনী দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করবে এবং চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নত প্রযুক্তি, টেক্সটাইল উপকরণ ও যন্ত্রপাতির অগ্রগতি তুলে ধরার সুযোগ করে দেবে।
তিনি বলেন, “এই প্রদর্শনী একাডেমিক ও ব্যবসায়িক মহলের প্রতিনিধিদের একত্রে এনে টেক্সটাইল শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। চীন সবুজ রূপান্তরে বাংলাদেশসহ অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। এতে জ্বালানি দক্ষ প্রযুক্তি ও পরিবেশবান্ধব কাঁচামালের ব্যবহার বাড়িয়ে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব হবে। ”
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “চীন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার। গত পাঁচ দশকে দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমাগত উন্নতি লাভ করেছে এবং বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। ”
তিনি জানান, গত বছরের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ২০টিরও বেশি চীনা প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পর থেকে চীনের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ইয়াও ওয়েন আরও জানান, চীন বাংলাদেশের টেক্সটাইল পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশি পণ্যের শতভাগ টেক্সটাইল আইটেমের ওপর ইতোমধ্যেই শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে চীন। এই অংশীদারিত্বকে তিনি পারস্পরিক সমৃদ্ধির পথ হিসেবে অভিহিত করেন।
এক্সপোতে মোট ৮০টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে সেভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়জুল আলম বলেন, “এটি বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পে সবুজ রূপান্তরের এক নতুন সূচনা। আগামী বছরও আমরা এই উদ্যোগ অব্যাহত রাখব। ” প্রদর্শনীটি সকল দর্শনার্থীর জন্য উন্মুক্ত থাকবে ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবর প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।