বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যে বেড়েছে, তা প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি এ-ও বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে, সেগুলো দেশের বিনিময় হার ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা তারা মূল্যায়ন করবে।
গত শুক্রবার হংকং থেকে আইএমএফের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের উপপরিচালক টমাস হেলব্লিং সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নবিষয়ক এ সংবাদ সম্মেলনে টমাস হেলব্লিং বলেন, সংস্থাটির একটি দল চলতি মাসে বাংলাদেশ সফরে আসবে। এ সময় সংস্থাটির সঙ্গে চলমান ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির পঞ্চম পর্যালোচনা করবে তারা।
হেলব্লিং বলেন, আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল রিজার্ভ বৃদ্ধি। এ লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবেই চলমান বৈদেশিক লেনদেন ঘাটতির পরিপ্রেক্ষিতে রিজার্ভ বেড়েছে বাংলাদেশের। তিনি বলেন, বৈদেশিক লেনদেনের ঝুঁকি কমাতে রিজার্ভ বৃদ্ধি করা ঋণ কর্মসূচির একটি মূল লক্ষ্য। সুতরাং রিজার্ভ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাফল্য প্রশংসনীয়।
আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী, ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে এ রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। এ বৃদ্ধি ঘটেছে মুদ্রা প্রবাহ বাড়ার কারণে, ব্যয় তুলনামূলক কম থাকায় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বাজার থেকে ডলার কেনার ফলে।
২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে আমদানি বৃদ্ধির কারণে রিজার্ভ হ্রাসের চাপে পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সময় থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে।
এক বছরের বেশি সময় ধরে ক্রলিং পেগ (একটি সীমার মধ্যে ওঠানামা) বিনিময় হার ব্যবস্থা বজায় রাখার পর, ২০২৫ সালের মে মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিময় হার ব্যবস্থায় নমনীয়তা চালু করে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত টাকার মান কমেছে ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত। বর্তমান অর্থবছরের শুরু থেকে বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহ, বিশেষ করে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যে বেড়েছে, তা প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি এ-ও বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে, সেগুলো দেশের বিনিময় হার ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা তারা মূল্যায়ন করবে।
গত শুক্রবার হংকং থেকে আইএমএফের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের উপপরিচালক টমাস হেলব্লিং সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নবিষয়ক এ সংবাদ সম্মেলনে টমাস হেলব্লিং বলেন, সংস্থাটির একটি দল চলতি মাসে বাংলাদেশ সফরে আসবে। এ সময় সংস্থাটির সঙ্গে চলমান ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির পঞ্চম পর্যালোচনা করবে তারা।
হেলব্লিং বলেন, আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল রিজার্ভ বৃদ্ধি। এ লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবেই চলমান বৈদেশিক লেনদেন ঘাটতির পরিপ্রেক্ষিতে রিজার্ভ বেড়েছে বাংলাদেশের। তিনি বলেন, বৈদেশিক লেনদেনের ঝুঁকি কমাতে রিজার্ভ বৃদ্ধি করা ঋণ কর্মসূচির একটি মূল লক্ষ্য। সুতরাং রিজার্ভ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাফল্য প্রশংসনীয়।
আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী, ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে এ রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। এ বৃদ্ধি ঘটেছে মুদ্রা প্রবাহ বাড়ার কারণে, ব্যয় তুলনামূলক কম থাকায় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বাজার থেকে ডলার কেনার ফলে।
২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে আমদানি বৃদ্ধির কারণে রিজার্ভ হ্রাসের চাপে পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সময় থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে।
এক বছরের বেশি সময় ধরে ক্রলিং পেগ (একটি সীমার মধ্যে ওঠানামা) বিনিময় হার ব্যবস্থা বজায় রাখার পর, ২০২৫ সালের মে মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিময় হার ব্যবস্থায় নমনীয়তা চালু করে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত টাকার মান কমেছে ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত। বর্তমান অর্থবছরের শুরু থেকে বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহ, বিশেষ করে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে।