ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে নেওয়া ১৯০ মিলিয়ন ডলারের সমন্বিত বিদেশি প্রকল্প ঋণ পুরোপুরি পরিশোধ করেছে সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (এসএমপিসিএল)। নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর থেকে নির্ধারিত সময়ে কোনো বিলম্ব ছাড়াই গত ১৫ অক্টোবরের মধ্যে পুরো ঋণ পরিশোধ করা হয়। সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি এ অর্জনকে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে দেখছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে এই তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের দাবি, এই সাফল্য বাংলাদেশকে অবকাঠামো অর্থায়নে নির্ভরযোগ্য বৈশ্বিক অংশীদার হিসেবে আরও শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছে।
সামিট জানায়, দেশের ব্যাংক খাতের ওপর চাপ না বাড়িয়ে বিদেশি উৎস থেকে অর্থায়ন করায় ঋণ ব্যয় কমেছে এবং পরিশোধের মেয়াদও বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সামগ্রিক অর্থনীতিকে উপকৃত করেছে এবং স্থানীয় ব্যাংকগুলোর ওপর চাপ কমিয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদি এই ঋণটি অর্থায়ন করেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা। এর মধ্যে ছিল স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (যুক্তরাজ্য), ডিইজি (জার্মানি), এফএমও (নেদারল্যান্ডস), ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (অস্ট্রিয়া) ও ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট (যুক্তরাজ্য)। বাংলাদেশ থেকে যুক্ত ছিল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (আইডিকল)। ঋণের সুদের হার ছিল ৭ দশমিক ২৮ থেকে ৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান বলেন, ‘এই সফল পরিশোধ সামিটের স্বচ্ছতা, দক্ষ পরিচালনা এবং আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের সঙ্গে দায়িত্বশীল অংশীদারত্বের প্রতিফলন। এটি প্রমাণ করে, আন্তর্জাতিক অর্থায়নে বড় প্রকল্পগুলো দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে পরিচালনায় বাংলাদেশের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।’ সামিট আরও জানায়, এক দশক ধরে প্লান্টের নির্ভরযোগ্য ও দক্ষ পরিচালনা নিশ্চিত করায় প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলী ও পেশাজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।
দেশের বিদ্যুৎ খাতে আড়াই দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে সামিট গ্রুপ। তারা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) আইপিপি হিসেবে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মোট স্থাপিত সক্ষমতার ১৮ শতাংশের বেশি প্রতিনিধিত্ব করে সামিট। বর্তমানে তাদের ১৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থাপিত সক্ষমতা ২ হাজার ৩৬ মেগাওয়াট। বিপিডিবির মোট ইনস্টল ক্যাপাসিটিতে সামিটের অংশ ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে সামিটের গ্যাসভিত্তিক উচ্চ সক্ষমতার বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বিদ্যুৎ খাতের পাশাপাশি গ্যাস খাতেও সামিটের অবদান রয়েছে। মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে স্থাপিত ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে ২০১৯ সাল থেকে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে তারা। পেট্রোবাংলার সঙ্গে এই সরবরাহের জন্য ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তি রয়েছে। এছাড়া দেশের টেলিযোগাযোগ খাতেও সামিটের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
আন্তর্জাতিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে নেওয়া ১৯০ মিলিয়ন ডলারের সমন্বিত বিদেশি প্রকল্প ঋণ পুরোপুরি পরিশোধ করেছে সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (এসএমপিসিএল)। নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর থেকে নির্ধারিত সময়ে কোনো বিলম্ব ছাড়াই গত ১৫ অক্টোবরের মধ্যে পুরো ঋণ পরিশোধ করা হয়। সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি এ অর্জনকে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে দেখছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে এই তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের দাবি, এই সাফল্য বাংলাদেশকে অবকাঠামো অর্থায়নে নির্ভরযোগ্য বৈশ্বিক অংশীদার হিসেবে আরও শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছে।
সামিট জানায়, দেশের ব্যাংক খাতের ওপর চাপ না বাড়িয়ে বিদেশি উৎস থেকে অর্থায়ন করায় ঋণ ব্যয় কমেছে এবং পরিশোধের মেয়াদও বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সামগ্রিক অর্থনীতিকে উপকৃত করেছে এবং স্থানীয় ব্যাংকগুলোর ওপর চাপ কমিয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদি এই ঋণটি অর্থায়ন করেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা। এর মধ্যে ছিল স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (যুক্তরাজ্য), ডিইজি (জার্মানি), এফএমও (নেদারল্যান্ডস), ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (অস্ট্রিয়া) ও ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট (যুক্তরাজ্য)। বাংলাদেশ থেকে যুক্ত ছিল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (আইডিকল)। ঋণের সুদের হার ছিল ৭ দশমিক ২৮ থেকে ৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান বলেন, ‘এই সফল পরিশোধ সামিটের স্বচ্ছতা, দক্ষ পরিচালনা এবং আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের সঙ্গে দায়িত্বশীল অংশীদারত্বের প্রতিফলন। এটি প্রমাণ করে, আন্তর্জাতিক অর্থায়নে বড় প্রকল্পগুলো দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে পরিচালনায় বাংলাদেশের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।’ সামিট আরও জানায়, এক দশক ধরে প্লান্টের নির্ভরযোগ্য ও দক্ষ পরিচালনা নিশ্চিত করায় প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলী ও পেশাজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।
দেশের বিদ্যুৎ খাতে আড়াই দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে সামিট গ্রুপ। তারা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) আইপিপি হিসেবে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মোট স্থাপিত সক্ষমতার ১৮ শতাংশের বেশি প্রতিনিধিত্ব করে সামিট। বর্তমানে তাদের ১৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থাপিত সক্ষমতা ২ হাজার ৩৬ মেগাওয়াট। বিপিডিবির মোট ইনস্টল ক্যাপাসিটিতে সামিটের অংশ ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে সামিটের গ্যাসভিত্তিক উচ্চ সক্ষমতার বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বিদ্যুৎ খাতের পাশাপাশি গ্যাস খাতেও সামিটের অবদান রয়েছে। মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে স্থাপিত ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে ২০১৯ সাল থেকে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে তারা। পেট্রোবাংলার সঙ্গে এই সরবরাহের জন্য ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তি রয়েছে। এছাড়া দেশের টেলিযোগাযোগ খাতেও সামিটের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে।