গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হয়েছে। এতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার সাড়ে ৮ গুণ বেশি প্রতিষ্ঠানের। এমন দরপতনের ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার ওপরে কমে গেছে। সেই সঙ্গে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। তবে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৪০টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৪০টির। আর ৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় ৮ দশমিক ৫০ গুণ বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
দরপতনের তালিকা এমন বড় হওয়ায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ২৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ৫ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের পতনে বাজার মূলধন ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি কমে গেছে।
বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচকও কমেছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহজুড়ে কমেছে ১৫৪ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ২৭ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৪ শতাংশ।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৪৩ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক শূন্য শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৫ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৪ শতাংশ।
আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৪৭ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১০ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৫২ শতাংশ।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের গতি কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৮৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৫৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ, প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ২৭ কোটি ৭ লাখ টাকা বা ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সামিট এলায়েন্স পোর্টের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ২০ কোটি ১৮ লাখ টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন।
এছাড়া, লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, মনোস্পুল পেপার, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং সোনালী পেপার।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হয়েছে। এতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার সাড়ে ৮ গুণ বেশি প্রতিষ্ঠানের। এমন দরপতনের ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার ওপরে কমে গেছে। সেই সঙ্গে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। তবে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৪০টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৪০টির। আর ৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় ৮ দশমিক ৫০ গুণ বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
দরপতনের তালিকা এমন বড় হওয়ায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ২৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ৫ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের পতনে বাজার মূলধন ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি কমে গেছে।
বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচকও কমেছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহজুড়ে কমেছে ১৫৪ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ২৭ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৪ শতাংশ।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৪৩ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক শূন্য শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৫ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৪ শতাংশ।
আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৪৭ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১০ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৫২ শতাংশ।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের গতি কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৮৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৫৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ, প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ২৭ কোটি ৭ লাখ টাকা বা ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সামিট এলায়েন্স পোর্টের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ২০ কোটি ১৮ লাখ টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন।
এছাড়া, লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, মনোস্পুল পেপার, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং সোনালী পেপার।