ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কোনো কারখানা বা প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকের সম্মতি থাকলেই ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে। এতদিন কোনো কারখানা বা প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন করতে গেলে ২০ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতি লাগতো। শ্রম আইন সংশোধন করে নতুন এই বিধান করা হয়েছে।
সর্বোচ্চ ৫ ইউনিয়ন এক প্রতিষ্ঠানে
শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্ত করা নিষেধ
মঙ্গলবার,(১৮ নভেম্বর ২০২৫) শ্রম আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরআগে গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সংশোধনের বিষয়টি নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদিত হয়।
সংশোধিত অধ্যাদেশের বিধান অনুযায়ী, এখন থেকে ২০ শতাংশ শতকরা হারটি থাকছে না। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনে কারখানার মোট শ্রমিকসংখ্যার বিপরীতে কতজনের সম্মতি লাগবে, সেটি বেঁধে দেয়া হয়েছে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানে ২০-৩০০ জন শ্রমিক থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে ২০ জনের সম্মতি লাগবে। এছাড়া ৩০১-৫০০ শ্রমিক রয়েছে- এমন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৪০ জন, ৫০১-১৫০০ শ্রমিকের প্রতিষ্ঠানে ১০০ জন, ১৫০১-৩০০০ শ্রমিকের কারখানায় ৩০০ জন এবং ৩১০০ থেকে তারও বেশি শ্রমিক থাকলে ৪০০ জনের সম্মতি লাগবে। একটি প্রতিষ্ঠানে ৫টির বেশি ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে না। এতদিন সর্বোচ্চ তিনটি করা যেত।
সাধারণত মজুরি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হন শ্রমিকেরা। তাদের আন্দোলন ঠেকাতে শিল্পমালিকরা অনেক সময় শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি তাদের কালো তালিকাভুক্ত করেন। তখন শ্রমিকদের নতুন কারখানায় চাকরি পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। সংশোধিত শ্রম আইন অধ্যাদেশে শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি নিষেধ করা হয়েছে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো শ্রমিক বা ইউনিয়নের কোনো সদস্যকে কোনো কারণে চাকরির অবসান হলে কালো তালিকাভুক্ত করে নোটিশ জারি বা তথ্যভা-ারে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। এছাড়া মালিক বা মালিকদের সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে শ্রমিক সংগঠন প্রতিষ্ঠাকে উদ্বুদ্ধ করা যাবে না। পক্ষপাতমূলকভাবে বিদ্যমান ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের বরখাস্ত এবং অন্য ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ করা যাবে না।
এতদিন শ্রম আইনে শ্রমিকদের সুবিধার জন্য ভবিষ্যৎ তহবিল গঠনের কথা বলা থাকলেও তা বাধ্যতামূলক ছিল না। তবে এবার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ১০০ স্থায়ী শ্রমিক থাকলেই মালিকপক্ষকে শ্রমিকের জন্য ভবিষ্যৎ তহবিল গঠন করতে হবে। তবে বিকল্প ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে।
কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রগতিতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করলে ভবিষ্যৎ তহবিল করা থেকে অব্যাহতি পাবে মালিকপক্ষ। এই স্কিমে মালিক ৫০ শতাংশ ও শ্রমিক ৫০ শতাংশ চাঁদা দেবেন। তবে কোনো সদস্য স্কিমে থাকতে না চাইলে লিখিতভাবে মালিকপক্ষকে জানাতে হবে। সে ক্ষেত্রে মালিকপক্ষের ৫০ শতাংশ চাঁদা দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
কোনো কারখানা বা প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকের সম্মতি থাকলেই ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে। এতদিন কোনো কারখানা বা প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন করতে গেলে ২০ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতি লাগতো। শ্রম আইন সংশোধন করে নতুন এই বিধান করা হয়েছে।
সর্বোচ্চ ৫ ইউনিয়ন এক প্রতিষ্ঠানে
শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্ত করা নিষেধ
মঙ্গলবার,(১৮ নভেম্বর ২০২৫) শ্রম আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরআগে গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সংশোধনের বিষয়টি নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদিত হয়।
সংশোধিত অধ্যাদেশের বিধান অনুযায়ী, এখন থেকে ২০ শতাংশ শতকরা হারটি থাকছে না। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনে কারখানার মোট শ্রমিকসংখ্যার বিপরীতে কতজনের সম্মতি লাগবে, সেটি বেঁধে দেয়া হয়েছে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানে ২০-৩০০ জন শ্রমিক থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে ২০ জনের সম্মতি লাগবে। এছাড়া ৩০১-৫০০ শ্রমিক রয়েছে- এমন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৪০ জন, ৫০১-১৫০০ শ্রমিকের প্রতিষ্ঠানে ১০০ জন, ১৫০১-৩০০০ শ্রমিকের কারখানায় ৩০০ জন এবং ৩১০০ থেকে তারও বেশি শ্রমিক থাকলে ৪০০ জনের সম্মতি লাগবে। একটি প্রতিষ্ঠানে ৫টির বেশি ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে না। এতদিন সর্বোচ্চ তিনটি করা যেত।
সাধারণত মজুরি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হন শ্রমিকেরা। তাদের আন্দোলন ঠেকাতে শিল্পমালিকরা অনেক সময় শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি তাদের কালো তালিকাভুক্ত করেন। তখন শ্রমিকদের নতুন কারখানায় চাকরি পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। সংশোধিত শ্রম আইন অধ্যাদেশে শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি নিষেধ করা হয়েছে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো শ্রমিক বা ইউনিয়নের কোনো সদস্যকে কোনো কারণে চাকরির অবসান হলে কালো তালিকাভুক্ত করে নোটিশ জারি বা তথ্যভা-ারে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। এছাড়া মালিক বা মালিকদের সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে শ্রমিক সংগঠন প্রতিষ্ঠাকে উদ্বুদ্ধ করা যাবে না। পক্ষপাতমূলকভাবে বিদ্যমান ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের বরখাস্ত এবং অন্য ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ করা যাবে না।
এতদিন শ্রম আইনে শ্রমিকদের সুবিধার জন্য ভবিষ্যৎ তহবিল গঠনের কথা বলা থাকলেও তা বাধ্যতামূলক ছিল না। তবে এবার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ১০০ স্থায়ী শ্রমিক থাকলেই মালিকপক্ষকে শ্রমিকের জন্য ভবিষ্যৎ তহবিল গঠন করতে হবে। তবে বিকল্প ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে।
কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রগতিতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করলে ভবিষ্যৎ তহবিল করা থেকে অব্যাহতি পাবে মালিকপক্ষ। এই স্কিমে মালিক ৫০ শতাংশ ও শ্রমিক ৫০ শতাংশ চাঁদা দেবেন। তবে কোনো সদস্য স্কিমে থাকতে না চাইলে লিখিতভাবে মালিকপক্ষকে জানাতে হবে। সে ক্ষেত্রে মালিকপক্ষের ৫০ শতাংশ চাঁদা দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকবে না।