ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জাতীয় জীবনে, আঞ্চলিক পর্যায়ে ও বৈশ্বিক স্তরে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। সেই সঙ্গে সম্প্রতি শ্রম আইনে যেসব সংশোধনী আনা হয়েছেম, সে বিষয়েও কথা বলেন তিনি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার-সংক্রান্ত বৈশ্বিক জোটের দায়িত্বশীল অংশীদার হিসেবে বর্তমান সরকার জাতীয় জীবনে, আঞ্চলিক পর্যায়ে ও বৈশ্বিক স্তরে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ৩৫৫তম গভর্নিং বডির অধিবেশনে অংশগ্রহণ করে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিজ্ঞপ্তি।
সম্প্রতি বাংলাদেশের শ্রম আইনে যে সংশোধন আনা হয়েছে, সে বিষয়ে গভর্নিং বডির সদস্যদের অবহিত করেন শ্রম উপদেষ্টা। তিনি জানান, সংশোধিত আইনে গৃহকর্মী, কৃষিশ্রমিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শ্রম আইনের আওতায় আনা হয়েছে। সংশোধিত শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় শ্রমিকের সংখ্যা ২০ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে, আগে যেটা ছিল ২০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে সরকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে বলে তিনি জানান। এ ছাড়া ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন সহজীকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য কমিয়ে আনা, ব্যক্তিগত তথ্য প্রদানের শর্ত শিথিল করা, কালো তালিকাভুক্তি নিষিদ্ধকরণসহ কিছু বিধান সংশোধিত আইনে যুক্ত করা হয়েছে। শ্রম উপদেষ্টা আরও বলেন, সংশোধিত শ্রম আইনে কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ নিষিদ্ধ করা ছাড়াও সহিংসতা, হয়রানি ও শিশুশ্রম বন্ধে শাস্তি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। সংশোধনীতে ন্যূনতম মজুরি পুনর্র্নিধারণের সময়সীমা পাঁচ বছরের পরিবর্তে তিন বছর করার বিধানও রাখা হয়েছে বলে উপদেষ্টা জানান।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কনভেনশন ১৫৫, ১৮৭ ও ১৯০ অনুসমর্থন করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ আইএলওর সব মৌলিক কনভেনশনে সমর্থন জানাল। শ্রমিকনেতা ও ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের বিরুদ্ধে আগে করা সব মামলা গত এক বছরে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
জাতীয় জীবনে, আঞ্চলিক পর্যায়ে ও বৈশ্বিক স্তরে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। সেই সঙ্গে সম্প্রতি শ্রম আইনে যেসব সংশোধনী আনা হয়েছেম, সে বিষয়েও কথা বলেন তিনি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার-সংক্রান্ত বৈশ্বিক জোটের দায়িত্বশীল অংশীদার হিসেবে বর্তমান সরকার জাতীয় জীবনে, আঞ্চলিক পর্যায়ে ও বৈশ্বিক স্তরে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ৩৫৫তম গভর্নিং বডির অধিবেশনে অংশগ্রহণ করে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিজ্ঞপ্তি।
সম্প্রতি বাংলাদেশের শ্রম আইনে যে সংশোধন আনা হয়েছে, সে বিষয়ে গভর্নিং বডির সদস্যদের অবহিত করেন শ্রম উপদেষ্টা। তিনি জানান, সংশোধিত আইনে গৃহকর্মী, কৃষিশ্রমিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শ্রম আইনের আওতায় আনা হয়েছে। সংশোধিত শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় শ্রমিকের সংখ্যা ২০ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে, আগে যেটা ছিল ২০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে সরকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে বলে তিনি জানান। এ ছাড়া ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন সহজীকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য কমিয়ে আনা, ব্যক্তিগত তথ্য প্রদানের শর্ত শিথিল করা, কালো তালিকাভুক্তি নিষিদ্ধকরণসহ কিছু বিধান সংশোধিত আইনে যুক্ত করা হয়েছে। শ্রম উপদেষ্টা আরও বলেন, সংশোধিত শ্রম আইনে কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ নিষিদ্ধ করা ছাড়াও সহিংসতা, হয়রানি ও শিশুশ্রম বন্ধে শাস্তি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। সংশোধনীতে ন্যূনতম মজুরি পুনর্র্নিধারণের সময়সীমা পাঁচ বছরের পরিবর্তে তিন বছর করার বিধানও রাখা হয়েছে বলে উপদেষ্টা জানান।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কনভেনশন ১৫৫, ১৮৭ ও ১৯০ অনুসমর্থন করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ আইএলওর সব মৌলিক কনভেনশনে সমর্থন জানাল। শ্রমিকনেতা ও ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের বিরুদ্ধে আগে করা সব মামলা গত এক বছরে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।