ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দেশের অন্যতম প্রধান জাহাজ নির্মাতা ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড আবারও বড় রপ্তানিতে ফিরেছে। বৃহস্পতিবার, (২০ নভেম্বর ২০২৫) চট্টগ্রাম থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মারওয়ান অ্যান্ড ট্রেডিং কো. এলএলসির কাছে তিনটি ল্যান্ডিং ক্রাফ্ট- মায়া, এসএমএস এমি ও মুনা - হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
কর্ণফুলী নদীর তীরে জাহাজগুলো প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এই তিনটি জাহাজই সম্পূর্ণভাবে ইউএই-ভিত্তিক ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী নির্মিত এবং এগুলো অফশোর সাপ্লাই, মালবাহী পরিবহন এবং সমুদ্র-বাণিজ্যের বিভিন্ন কাজে ব্যবহারযোগ্য। আনুষ্ঠানিক হস্তান্তরের পর জাহাজগুলো আরব আমিরাতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে।
ল্যান্ডিং ক্রাফ্ট তিনটিরই দৈর্ঘ্য ৬৯ মিটার, প্রস্থ ১৬ মিটার এবং ড্রাফট ৩ মিটার। এগুলো আন্তর্জাতিক ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি বুরো ভেরিতাসের মানদ- অনুযায়ী নির্মিত এবং ১০ নটিকেল মাইল গতিতে চলতে সক্ষম। জাহাজগুলোতে প্রায় ৭০০ বর্গমিটার ক্লিয়ার ডেক স্পেস থাকায় এগুলো ভারী যন্ত্রপাতি ও বাল্ক কার্গো পরিবহনে উপযুক্ত।
এতে রয়েছে দুটি ইয়ানমার মূল ইঞ্জিন, ইলেকট্রো-হাইড্রোলিক র?্যাম্প উইঞ্চ, ২৪ মিলিমিটার স্টিল ওয়্যার রোপ, উন্নত অ্যাঙ্করিং ও হাইড্রোলিক স্টিয়ারিং ব্যবস্থা। নেভিগেশনের জন্য ইনস্টল করা হয়েছে সিমরাড এস৩০০৯ ইকো সাউন্ডার, ফুরুনো জিপি-৩৯ জিপিএস, নেভিট্রন এনটি-৮৮৮৬ অটোপাইলট, রাডার এবং আন্তর্জাতিক মানের কমিউনিকেশন সরঞ্জাম।
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি জাহাজের চাহিদা আবারও বাড়ছে।
তিনটি ল্যান্ডিং ক্রাফ্ট হস্তান্তর আমাদের জন্য শুধু ব্যবসায়িক সাফল্য নয়, পুরো দেশের জাহাজনির্মাণশিল্পের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা। প্রতিষ্ঠানটির হাতে ইতিমধ্যেই আরও কয়েকটি জাহাজ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে দুটি অয়েল ট্যাংকার এবং আরও কয়েকটি ল্যান্ডিং ক্রাফ্ট মারওয়ান শিপিংয়ের জন্য তৈরি করা হচ্ছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
দেশের অন্যতম প্রধান জাহাজ নির্মাতা ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড আবারও বড় রপ্তানিতে ফিরেছে। বৃহস্পতিবার, (২০ নভেম্বর ২০২৫) চট্টগ্রাম থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মারওয়ান অ্যান্ড ট্রেডিং কো. এলএলসির কাছে তিনটি ল্যান্ডিং ক্রাফ্ট- মায়া, এসএমএস এমি ও মুনা - হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
কর্ণফুলী নদীর তীরে জাহাজগুলো প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এই তিনটি জাহাজই সম্পূর্ণভাবে ইউএই-ভিত্তিক ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী নির্মিত এবং এগুলো অফশোর সাপ্লাই, মালবাহী পরিবহন এবং সমুদ্র-বাণিজ্যের বিভিন্ন কাজে ব্যবহারযোগ্য। আনুষ্ঠানিক হস্তান্তরের পর জাহাজগুলো আরব আমিরাতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে।
ল্যান্ডিং ক্রাফ্ট তিনটিরই দৈর্ঘ্য ৬৯ মিটার, প্রস্থ ১৬ মিটার এবং ড্রাফট ৩ মিটার। এগুলো আন্তর্জাতিক ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি বুরো ভেরিতাসের মানদ- অনুযায়ী নির্মিত এবং ১০ নটিকেল মাইল গতিতে চলতে সক্ষম। জাহাজগুলোতে প্রায় ৭০০ বর্গমিটার ক্লিয়ার ডেক স্পেস থাকায় এগুলো ভারী যন্ত্রপাতি ও বাল্ক কার্গো পরিবহনে উপযুক্ত।
এতে রয়েছে দুটি ইয়ানমার মূল ইঞ্জিন, ইলেকট্রো-হাইড্রোলিক র?্যাম্প উইঞ্চ, ২৪ মিলিমিটার স্টিল ওয়্যার রোপ, উন্নত অ্যাঙ্করিং ও হাইড্রোলিক স্টিয়ারিং ব্যবস্থা। নেভিগেশনের জন্য ইনস্টল করা হয়েছে সিমরাড এস৩০০৯ ইকো সাউন্ডার, ফুরুনো জিপি-৩৯ জিপিএস, নেভিট্রন এনটি-৮৮৮৬ অটোপাইলট, রাডার এবং আন্তর্জাতিক মানের কমিউনিকেশন সরঞ্জাম।
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি জাহাজের চাহিদা আবারও বাড়ছে।
তিনটি ল্যান্ডিং ক্রাফ্ট হস্তান্তর আমাদের জন্য শুধু ব্যবসায়িক সাফল্য নয়, পুরো দেশের জাহাজনির্মাণশিল্পের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা। প্রতিষ্ঠানটির হাতে ইতিমধ্যেই আরও কয়েকটি জাহাজ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে দুটি অয়েল ট্যাংকার এবং আরও কয়েকটি ল্যান্ডিং ক্রাফ্ট মারওয়ান শিপিংয়ের জন্য তৈরি করা হচ্ছে।