দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহের সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। আলোচ্য সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে ওষুধ ও রসায়ন এবং টেলিযোগাযোগ খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৬৬ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৪ হাজার ৭০৩ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ২৬ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৮৫১ পয়েন্ট। ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গত সপ্তাহে ৪১ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৯৭৭ পয়েন্ট।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৩৬৯টি কোম্পানি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও কর্পোরেট বন্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৪৭টির, কমেছে ১৮টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল চারটির। আর লেনদেন হয়নি ৪৪টির। গত সপ্তাহে সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ন্যাশনাল ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো ও আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার।
অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর বাড়ায় গত সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। বিদায়ি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮১ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ৭ হাজার ৮২০ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়েছে।
ডিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে দৈনিক গড়ে ৩৯৭ কোটি ৫৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৫৪ কোটি ৩৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সে হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ১২ দশমিক ১৯ শতাংশ।
খাতভিত্তিক লেনদেনে গত সপ্তাহে প্রকৌশল খাতের আধিপত্য ছিল। লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে প্রকৌশল খাত। ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। তৃতীয় অবস্থানে থাকা বস্ত্র খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ১১ দশমিক ২২ শতাংশ। ব্যাংক খাত ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তালিকার চতুর্থ অবস্থানে ছিল। আর ১০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তালিকার পঞ্চম অবস্থানে ছিল জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে দুটি খাত বাদে সব খাতের শেয়ারেই ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে কাগজ ও মুদ্রণ খাতে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ৯ দশমিক ৭১, সিরামিক খাতে ৮ দশমিক ২৮ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন ছিল। অপরদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে টেলিযোগাযোগ খাতে। এছাড়া ওষুধ ও রসায়ন খাতে দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন ছিল।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই গত সপ্তাহে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়ে ১৩ হাজার ৬৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসসিএক্স সূচকটি সপ্তাহের ব্যবধানে ১ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়ে ৮ হাজার ৪১৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সিএসইতে গত সপ্তাহে ৪৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৮০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৭৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৬টির, কমেছে ৬৮টির, আর দর অপরিবর্তিত ছিল ১১টির।
গত সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মাঝে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে লাভেলো আইসক্রিম লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৮২ লাখ টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। প্রতিষ্ঠানটির দৈনিক গড় লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া, সাপ্তাহিক শীর্ষ লেনদেন তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- সামিট অ্যালায়েন্স, স্কয়ার ফার্মা, সিমটেক্স, অরিয়ন ইনফিউশন, শাহাজিবাজার পাওয়ার, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার এবং রানার অটোমোবাইলস।
গত সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মাঝে দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকার প্রথম স্থানে উঠে এসেছে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৫১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৫০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিআইএফসি। এসময় কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এছাড়া তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- ন্যাশনাল ব্যাংক, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, পিপলস লিজিং, মতিন স্পিনিং, ম্যাকসন্স স্পিনিং, নূরানী ডাইং এবং হামিদ ফেব্রিক্স।
গত সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মাঝে দর পতনের শীর্ষ তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর সপ্তাহজুড়ে কমেছে ১৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। দর পতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফারইস্ট নিটিং। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে জিকিউ বলপেন। এতে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর কমেছে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এছাড়া, সাপ্তাহিক দর পতনের তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মতিন স্পিনিং, স্কয়ার ফার্মা, মেঘনা সিমেন্ট, পেনিনসুলা চিটাগাং, বাটা সু, স্কয়ার টেক্সটাইল এবং এসিআই লিমিটেড।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহের সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। আলোচ্য সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে ওষুধ ও রসায়ন এবং টেলিযোগাযোগ খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৬৬ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৪ হাজার ৭০৩ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ২৬ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৮৫১ পয়েন্ট। ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গত সপ্তাহে ৪১ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৯৭৭ পয়েন্ট।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৩৬৯টি কোম্পানি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও কর্পোরেট বন্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৪৭টির, কমেছে ১৮টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল চারটির। আর লেনদেন হয়নি ৪৪টির। গত সপ্তাহে সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ন্যাশনাল ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো ও আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার।
অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর বাড়ায় গত সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। বিদায়ি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮১ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ৭ হাজার ৮২০ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়েছে।
ডিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে দৈনিক গড়ে ৩৯৭ কোটি ৫৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৫৪ কোটি ৩৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সে হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ১২ দশমিক ১৯ শতাংশ।
খাতভিত্তিক লেনদেনে গত সপ্তাহে প্রকৌশল খাতের আধিপত্য ছিল। লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে প্রকৌশল খাত। ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। তৃতীয় অবস্থানে থাকা বস্ত্র খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ১১ দশমিক ২২ শতাংশ। ব্যাংক খাত ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তালিকার চতুর্থ অবস্থানে ছিল। আর ১০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তালিকার পঞ্চম অবস্থানে ছিল জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে দুটি খাত বাদে সব খাতের শেয়ারেই ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে কাগজ ও মুদ্রণ খাতে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ৯ দশমিক ৭১, সিরামিক খাতে ৮ দশমিক ২৮ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন ছিল। অপরদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে টেলিযোগাযোগ খাতে। এছাড়া ওষুধ ও রসায়ন খাতে দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন ছিল।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই গত সপ্তাহে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়ে ১৩ হাজার ৬৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসসিএক্স সূচকটি সপ্তাহের ব্যবধানে ১ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়ে ৮ হাজার ৪১৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সিএসইতে গত সপ্তাহে ৪৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৮০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৭৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৬টির, কমেছে ৬৮টির, আর দর অপরিবর্তিত ছিল ১১টির।
গত সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মাঝে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে লাভেলো আইসক্রিম লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৮২ লাখ টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। প্রতিষ্ঠানটির দৈনিক গড় লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া, সাপ্তাহিক শীর্ষ লেনদেন তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- সামিট অ্যালায়েন্স, স্কয়ার ফার্মা, সিমটেক্স, অরিয়ন ইনফিউশন, শাহাজিবাজার পাওয়ার, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার এবং রানার অটোমোবাইলস।
গত সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মাঝে দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকার প্রথম স্থানে উঠে এসেছে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৫১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৫০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিআইএফসি। এসময় কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এছাড়া তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- ন্যাশনাল ব্যাংক, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, পিপলস লিজিং, মতিন স্পিনিং, ম্যাকসন্স স্পিনিং, নূরানী ডাইং এবং হামিদ ফেব্রিক্স।
গত সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মাঝে দর পতনের শীর্ষ তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর সপ্তাহজুড়ে কমেছে ১৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। দর পতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফারইস্ট নিটিং। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে জিকিউ বলপেন। এতে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর কমেছে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এছাড়া, সাপ্তাহিক দর পতনের তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মতিন স্পিনিং, স্কয়ার ফার্মা, মেঘনা সিমেন্ট, পেনিনসুলা চিটাগাং, বাটা সু, স্কয়ার টেক্সটাইল এবং এসিআই লিমিটেড।