খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে বেক্সিমকো গ্রুপের একাধিক সম্পদ নিলামে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক।
এক হাজার ৩২২ কোটি টাকার বেশি বকেয়া ঋণ আদায়ে গাজীপুর, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জের জমি-কারখানা এবং রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত কোম্পানির ১৫ তলা করপোরেট অফিস বেল টাওয়ার বিক্রির জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ব্যাংকটি।
সরকারের তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক লিজিং ব্যবস্থায় বেক্সিমকোর অচল টেক্সটাইল ইউনিটগুলো পুনরায় চালুর প্রক্রিয়া চলার মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত এসেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জনতা ব্যাংক জানায়, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সুদসহ বকেয়া ঋণ পরিশোধ না হওয়ায় এসব সম্পদ নিলামে তোলা হচ্ছে।
আগ্রহী ক্রেতাদের ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে দরপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ব্যাংকটি অ্যাসেস ফ্যাশনস লিমিটেডের সম্পদ নিলামের ঘোষণাও দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৩৩ কোটি টাকা।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বেক্সিমকোর যেসব সম্পদ নিলামে যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে— গাজীপুরে তিন হাজার ৫২৭ ডেসিমেল জমি ও কারখানা, আশুলিয়ায় ১৪৬.৬৫ ডেসিমেল জমি, নারায়ণগঞ্জে ৪৪০ ডেসিমেল জমি এবং ধানমন্ডির ১৫ তলা করপোরেট অফিস বেল টাওয়ার।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর জনতা ব্যাংক বেক্সিমকোর তিন প্রতিষ্ঠান— ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেল লিমিটেড (ইউনিট-১ ও ইউনিট-২), আরবান ফ্যাশনস এবং অ্যাপোলো অ্যাপারেলস এর মোট কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ নিলামে তোলার আরেকটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
এমন সময়ে নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে দুটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান— জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ রিভাইভাল এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রবাসী বাংলাদেশি পেশাজীবীদের সংগঠন ইকোমিলি।
সরকারের সঙ্গে লিজ চুক্তির মাধ্যমে বেক্সিমকো কারখানাগুলো পুনরুজ্জীবিত করতে তারা আলোচনায় ছিল।
বেঞ্চমার্ক পিআর-এর মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠান দুটি জানায়, দীর্ঘদিনের ঋণসংকটে বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলো পুনরায় চালু করতে তারা সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়, শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও বিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যাপক আলোচনা করেছে। সবাই দ্রুত কারখানা চালুর অপেক্ষায় ছিলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতীয় শিল্পসম্পদ নিলামে তোলা অত্যন্ত সংবেদনশীল সিদ্ধান্ত, যা বিশেষজ্ঞ, শ্রমিক, স্থানীয় অংশীজন ও শেয়ারহোল্ডারদের মতামত নিয়ে গ্রহণ করা উচিত।
জনতা ব্যাংকের আকস্মিক নিলাম পদক্ষেপ দক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশিদের নেতৃত্বে সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং বস্ত্র ও পোশাক খাতে সাম্প্রতিক সময়ে যে বৈশ্বিক বিনিয়োগ আগ্রহ তৈরি হয়েছে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে বেক্সিমকো গ্রুপের একাধিক সম্পদ নিলামে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক।
এক হাজার ৩২২ কোটি টাকার বেশি বকেয়া ঋণ আদায়ে গাজীপুর, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জের জমি-কারখানা এবং রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত কোম্পানির ১৫ তলা করপোরেট অফিস বেল টাওয়ার বিক্রির জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ব্যাংকটি।
সরকারের তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক লিজিং ব্যবস্থায় বেক্সিমকোর অচল টেক্সটাইল ইউনিটগুলো পুনরায় চালুর প্রক্রিয়া চলার মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত এসেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জনতা ব্যাংক জানায়, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সুদসহ বকেয়া ঋণ পরিশোধ না হওয়ায় এসব সম্পদ নিলামে তোলা হচ্ছে।
আগ্রহী ক্রেতাদের ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে দরপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ব্যাংকটি অ্যাসেস ফ্যাশনস লিমিটেডের সম্পদ নিলামের ঘোষণাও দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৩৩ কোটি টাকা।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বেক্সিমকোর যেসব সম্পদ নিলামে যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে— গাজীপুরে তিন হাজার ৫২৭ ডেসিমেল জমি ও কারখানা, আশুলিয়ায় ১৪৬.৬৫ ডেসিমেল জমি, নারায়ণগঞ্জে ৪৪০ ডেসিমেল জমি এবং ধানমন্ডির ১৫ তলা করপোরেট অফিস বেল টাওয়ার।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর জনতা ব্যাংক বেক্সিমকোর তিন প্রতিষ্ঠান— ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেল লিমিটেড (ইউনিট-১ ও ইউনিট-২), আরবান ফ্যাশনস এবং অ্যাপোলো অ্যাপারেলস এর মোট কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ নিলামে তোলার আরেকটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
এমন সময়ে নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে দুটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান— জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ রিভাইভাল এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রবাসী বাংলাদেশি পেশাজীবীদের সংগঠন ইকোমিলি।
সরকারের সঙ্গে লিজ চুক্তির মাধ্যমে বেক্সিমকো কারখানাগুলো পুনরুজ্জীবিত করতে তারা আলোচনায় ছিল।
বেঞ্চমার্ক পিআর-এর মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠান দুটি জানায়, দীর্ঘদিনের ঋণসংকটে বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলো পুনরায় চালু করতে তারা সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়, শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও বিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যাপক আলোচনা করেছে। সবাই দ্রুত কারখানা চালুর অপেক্ষায় ছিলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতীয় শিল্পসম্পদ নিলামে তোলা অত্যন্ত সংবেদনশীল সিদ্ধান্ত, যা বিশেষজ্ঞ, শ্রমিক, স্থানীয় অংশীজন ও শেয়ারহোল্ডারদের মতামত নিয়ে গ্রহণ করা উচিত।
জনতা ব্যাংকের আকস্মিক নিলাম পদক্ষেপ দক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশিদের নেতৃত্বে সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং বস্ত্র ও পোশাক খাতে সাম্প্রতিক সময়ে যে বৈশ্বিক বিনিয়োগ আগ্রহ তৈরি হয়েছে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে।