alt

সাগরে নতুন ৬৫ প্রজাতির মাছের সন্ধান

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

দেশের সমুদ্রসীমায় নতুন আরও ৬৫ প্রজাতির মাছের সন্ধান পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৫ প্রজাতির মাছ সারা বিশ্বের মধ্যে প্রথম দেখা গেছে। এত দিন সাগরে মোট ৪৭৫ প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত। আগের প্রজাতির সঙ্গে এখন নতুন করে এসব মাছের প্রজাতি যুক্ত হবে। এসব মাছের পূর্ব ইতিহাস এবং গোত্র নির্ধারণের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। আবার প্রথমবারের মতো দেশের সমুদ্রসীমায় টুনা মাছের উপস্থিতিও পাওয়া গেছে।

মৎস্য অধিদপ্তর এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথভাবে এই জরিপ করেছে। দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানীর সমন্বয়ে গঠিত দল এই জরিপ পরিচালনা করে।

সম্প্রতি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য অধিদপ্তর এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) যৌথ উদ্যোগে করা মৎস্যসম্পদ জরিপের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এদিন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুর রউফ।

এফএওর সহায়তায় ৮টি দেশের ২৪ জন বিজ্ঞানীর মাধ্যমে মাসব্যাপী এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। জাতিসংঘের একটি গবেষণা জাহাজ এ বছরের ২১ আগস্ট থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ জরিপ পরিচালনা করে। জরিপে বঙ্গোপসাগরের ৬৮টি স্টেশন থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

জরিপ দলের নেতৃত্বে ছিলেন নরওয়ের বিজ্ঞানী এরিক ওলসেন। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সায়েদুর রহমান চৌধুরী। জরিপের প্রাথমিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ সীমানায় প্রথমবারের মতো টুনা মাছের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মাছের পাশাপাশি টুনা মাছের লার্ভা বা বাচ্চাও পাওয়া গেছে। এটার জন্য দেশের মানুষ দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছে। এখন টুনা মাছ ধরার জন্য দেশি-বিদেশি বা যৌথ বিনিয়োগ করা যাবে। দেশের সাগরের মাত্র ২০০ মিটার গভীরে মাছ ধরা গেলেও সাগরের ৭০০ মিটার নিচেও মাছের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আর নতুন প্রজাতির ৬৫ জাতের মাছের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। সাগরের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় মাছ ধরা হলেও গভীর সাগরে কোনো মাছ ধরা হচ্ছে না জানিয়ে তিনি গভীর সাগর থেকে মাছ ধরার উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন।

এদিকে জরিপে বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ আহরণ কমে যাওয়ার তথ্যও উঠে এসেছে। দেশের প্রধান ২০ প্রজাতির মাছের মধ্যে ২০১৮ সালে ৯ প্রজাতির মাছ আহরণের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক উপযোগিতা ছিল, কিন্তু এবার তা ৫টিতে নেমে এসেছে। জরিপের তথ্যে বলা হয়, সাগরের পানির ওপরের স্তরের ছোট আকৃতির (স্মল প্যালাজিক) মাছের পরিমাণও কমে এসেছে। ২০১৮ সালে যেখানে স্টক ছিল ১ লাখ ৫৮ হাজার টন, ২০২৫ সালে তা নেমে এসেছে মাত্র ৩৩ হাজার ৮১১ টনে। একইভাবে ২০১৮ সালে গভীর সাগরে জেলি ফিশের উপস্থিতি থাকলেও এখন তা উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে। ফলে জেলেদের জাল জেলি ফিশে ভরে যাচ্ছে।

জরিপের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে অধ্যাপক সায়েদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘সাগরের ৮০ থেকে ৯০ মিটারের পর অক্সিজেনের মাত্রা কম। কিছু জায়গায় অক্সিজেন নেই বললেই চলে। তবে সাগরে প্রচুর উদ্ভিদের উপস্থিতি দেখা গেছে। আমাদের জাহাজ সাগরের উপকূলের ২০ মিটারের নিচে নামতে পারে না। তাই উপকূলের কোনো তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি।’

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘নতুন এ জরিপের ফলাফল আমাদের সমুদ্র ব্যবস্থাপনা, নতুন পরিকল্পনা ও কৌশল গ্রহণে সহায়তা করবে। বঙ্গোপসাগরে গবেষণার সক্ষমতা বাড়াতে নতুন জাহাজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যই এটা করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সচিব আবিদ হোসেন বলেন, ‘সাগরে মাছের পরিমাণ কমছে। এটা আমাদের জন্য খুবই অ্যালার্মিং বিষয়। এটা নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করা না হলে সাগরে মাছ ধরা শিল্প হারিয়ে যাবে।’

দুই বছর ধরে সাগরে মাছ নেই বলে মন্তব্য করেন কক্সবাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘সাগরে মাছ ধরায় ৫৮ দিন নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এটার কোনো সুফল পাচ্ছি না আমরা। সাগরে অবৈধ মাছ ধরা বন্ধে টহল জোরদার করা উচিত।’

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় দরপতন, লেনদেনেও ভাটা

ছবি

চার মাসে বিদেশি ঋণ ছাড় বেড়েছে ৩৯ শতাংশ

ছবি

১১ ব্যবসায়ীকে সম্মাননা দিল বিজিএপিএমইএ

ছবি

বিএসইসির সিদ্ধান্তহীনতায় লেনদেন বন্ধ এক ব্রোকারেজ হাউসের

ছবি

ঢাকায় প্রথমবারের মতো শুরু হলো গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো

ছবি

২০১৬ থেকে ২০২২ বাংলাদেশ ‘দুষ্টচক্রের ত্রিভুজে’ আটকে ছিল: হোসেন জিল্লুর

ছবি

চূড়ান্ত অনুমোদন পেল সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক

ছবি

লাফিয়ে বাড়ছে কৃষি খাতের খেলাপি ঋণ

ছবি

সূচকের পতনে সপ্তাহ শুরু, দর হারিয়েছে তিন শতাধিক শেয়ার

ছবি

পোশাক কারখানার জন্য ‘৩ মাস সংকটময় হতে পারে’

ছবি

বিসিক বিজয় মেলার পর্দা উঠছে সোমবার

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুঁজিবাজার বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিবে বিএএসএম

ছবি

আওয়ামী লীগ আমলের কারখানা চালু রাখার পক্ষে ফখরুল

ছবি

ডলার সংকট নেই, রোজার পণ্য আমদানি নিয়ে শঙ্কা নেই: গভর্নর

ছবি

পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা

ছবি

খেলাপি ঋণ সংকট কাটাতে ৫ থেকে ১০ বছর লাগবে: গভর্নর

ছবি

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু আগামী সপ্তাহে

ছবি

সাউথইস্ট ব্যাংকের নতুন এমডি খালিদ মাহমুদ

ছবি

তানজিল চৌধুরী প্রাইম ব্যাংকের চেয়ারম্যান পুনর্নির্বাচিত

ছবি

জ্বালানি নিরাপত্তা শিল্পখাতের টেকসই উন্নয়নে অন্যতম অনুষঙ্গ: ডিসিসিআই

ছবি

প্রথমবারের মতো দেশে আলু উৎসব হবে ডিসেম্বরে

ছবি

এখন পর্যন্ত ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন ২০ লাখের বেশি করদাতা

ছবি

খেলাপি ঋণের চাপ মোকাবিলায় ৫–১০ বছরের সময় লাগতে পারে: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর

ছবি

শীতের সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত, তবুও কমছে না দাম

ছবি

ব্যাংক মার্জার: এক কাঠামোতে এনে কমছে ৫ ব্যাংকের বেতন

ছবি

ব্যাংক খাতে যে এত ‘রোগ’ আগে জানা-ই যায়নি: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

ছবি

আরও ৯ ব্রোকার হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন দিলো ডিএসই

ছবি

বাস্তবসম্মত প্রস্তাব নিয়ে আসুন, সুবিধা দিতে সরকার বাধ্য: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

অর্থনীতির রক্তক্ষরণ হচ্ছে, সরকার ব্যবসায়ীদের চিৎকার শুনছে না: আনোয়ার উল আলম চৌধুরী

ডিএসই ও সিএসইর নতুন ব্যবস্থা, এখন অনলাইনেই সব নথি জমা দেয়া যাবে

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে ভুটানের ট্রানজিটের চতুর্থ চালান খালাস

ছবি

ডিসেম্বরে ওয়ান স্টপ ডিজিটাল সার্ভিস ও আধুনিক ল্যান্ডিং পেজ চালু করবে ডিএসই

ছবি

ঢাকায় প্রথমবারের মতো হচ্ছে গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংক আর বিএসইসির শীর্ষ ব্যক্তিরাও ব্যাংকের এমডি হতে পারবেন

ছবি

আর্থিক সেবার অন্তর্ভুক্ত ৭৫ শতাংশ গ্রাহকই ডিজিটাল সেবার বাইরে

ছবি

খেলাপি ঋণ ছাড়াল ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা

tab

সাগরে নতুন ৬৫ প্রজাতির মাছের সন্ধান

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

দেশের সমুদ্রসীমায় নতুন আরও ৬৫ প্রজাতির মাছের সন্ধান পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৫ প্রজাতির মাছ সারা বিশ্বের মধ্যে প্রথম দেখা গেছে। এত দিন সাগরে মোট ৪৭৫ প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত। আগের প্রজাতির সঙ্গে এখন নতুন করে এসব মাছের প্রজাতি যুক্ত হবে। এসব মাছের পূর্ব ইতিহাস এবং গোত্র নির্ধারণের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। আবার প্রথমবারের মতো দেশের সমুদ্রসীমায় টুনা মাছের উপস্থিতিও পাওয়া গেছে।

মৎস্য অধিদপ্তর এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথভাবে এই জরিপ করেছে। দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানীর সমন্বয়ে গঠিত দল এই জরিপ পরিচালনা করে।

সম্প্রতি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য অধিদপ্তর এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) যৌথ উদ্যোগে করা মৎস্যসম্পদ জরিপের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এদিন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুর রউফ।

এফএওর সহায়তায় ৮টি দেশের ২৪ জন বিজ্ঞানীর মাধ্যমে মাসব্যাপী এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। জাতিসংঘের একটি গবেষণা জাহাজ এ বছরের ২১ আগস্ট থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ জরিপ পরিচালনা করে। জরিপে বঙ্গোপসাগরের ৬৮টি স্টেশন থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

জরিপ দলের নেতৃত্বে ছিলেন নরওয়ের বিজ্ঞানী এরিক ওলসেন। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সায়েদুর রহমান চৌধুরী। জরিপের প্রাথমিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ সীমানায় প্রথমবারের মতো টুনা মাছের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মাছের পাশাপাশি টুনা মাছের লার্ভা বা বাচ্চাও পাওয়া গেছে। এটার জন্য দেশের মানুষ দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছে। এখন টুনা মাছ ধরার জন্য দেশি-বিদেশি বা যৌথ বিনিয়োগ করা যাবে। দেশের সাগরের মাত্র ২০০ মিটার গভীরে মাছ ধরা গেলেও সাগরের ৭০০ মিটার নিচেও মাছের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আর নতুন প্রজাতির ৬৫ জাতের মাছের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। সাগরের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় মাছ ধরা হলেও গভীর সাগরে কোনো মাছ ধরা হচ্ছে না জানিয়ে তিনি গভীর সাগর থেকে মাছ ধরার উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন।

এদিকে জরিপে বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ আহরণ কমে যাওয়ার তথ্যও উঠে এসেছে। দেশের প্রধান ২০ প্রজাতির মাছের মধ্যে ২০১৮ সালে ৯ প্রজাতির মাছ আহরণের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক উপযোগিতা ছিল, কিন্তু এবার তা ৫টিতে নেমে এসেছে। জরিপের তথ্যে বলা হয়, সাগরের পানির ওপরের স্তরের ছোট আকৃতির (স্মল প্যালাজিক) মাছের পরিমাণও কমে এসেছে। ২০১৮ সালে যেখানে স্টক ছিল ১ লাখ ৫৮ হাজার টন, ২০২৫ সালে তা নেমে এসেছে মাত্র ৩৩ হাজার ৮১১ টনে। একইভাবে ২০১৮ সালে গভীর সাগরে জেলি ফিশের উপস্থিতি থাকলেও এখন তা উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে। ফলে জেলেদের জাল জেলি ফিশে ভরে যাচ্ছে।

জরিপের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে অধ্যাপক সায়েদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘সাগরের ৮০ থেকে ৯০ মিটারের পর অক্সিজেনের মাত্রা কম। কিছু জায়গায় অক্সিজেন নেই বললেই চলে। তবে সাগরে প্রচুর উদ্ভিদের উপস্থিতি দেখা গেছে। আমাদের জাহাজ সাগরের উপকূলের ২০ মিটারের নিচে নামতে পারে না। তাই উপকূলের কোনো তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি।’

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘নতুন এ জরিপের ফলাফল আমাদের সমুদ্র ব্যবস্থাপনা, নতুন পরিকল্পনা ও কৌশল গ্রহণে সহায়তা করবে। বঙ্গোপসাগরে গবেষণার সক্ষমতা বাড়াতে নতুন জাহাজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যই এটা করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সচিব আবিদ হোসেন বলেন, ‘সাগরে মাছের পরিমাণ কমছে। এটা আমাদের জন্য খুবই অ্যালার্মিং বিষয়। এটা নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করা না হলে সাগরে মাছ ধরা শিল্প হারিয়ে যাবে।’

দুই বছর ধরে সাগরে মাছ নেই বলে মন্তব্য করেন কক্সবাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘সাগরে মাছ ধরায় ৫৮ দিন নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এটার কোনো সুফল পাচ্ছি না আমরা। সাগরে অবৈধ মাছ ধরা বন্ধে টহল জোরদার করা উচিত।’

back to top