চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর সময়ে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে অর্থছাড়ে উল্লম্ফন হয়েছে। মোট ১৬৬ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের ঋণ ও অনুদানের অর্থ ছাড় করেছে উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও আন্তর্জাতিক অর্থায়নকারী সংস্থাগুলো। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১২০ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ হিসাবে অর্থছাড় বেড়েছে ৩৮ দশমিক ৫১ শতাংশ।
সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে অর্থছাড়ের এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। চলতি অর্থবছরের এ সময়ে বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি মিলেছে ১২০ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ চার মাসে অর্থায়নকারী সংস্থাগুলোর পাওনার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার পরিশোধ করেছে ১৫৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার। সে হিসাবে ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধের পর নিট অর্থছাড় হয়েছে ৭ কোটি ৯৯ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের প্রথম চার মাসে আসল ও সুদ শোধ করা হয়েছিল ১৪৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। সে হিসাবে ঋণ শোধ বেড়েছে ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ।
এই চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয়নি ভারত, চীন, জাপান ও রাশিয়া। এর মানে হলো, গত চার মাসে এই চারটি দেশের অর্থে কোনো প্রকল্প নেওয়া চূড়ান্ত হয়নি। তবে এই চারটি দেশ নতুন করে প্রতিশ্রুতি না দিলেও আগে নেওয়া ঋণের অর্থ ছাড় অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়া এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকও (এআইআইবি) ঋণের কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
চলতি অর্থবছরের চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) সবচেয়ে বেশি ঋণ ছাড় করেছে রাশিয়া। দেশটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ৪০ কোটি ৭৭ লাখ ডলার ছাড় করেছে। এরপরে আছে বিশ্বব্যাংক। এই সংস্থা দিয়েছে ৪০ কোটি ৫২ লাখ ডলার। আর এডিবি দিয়েছে প্রায় ২৫ কোটি ডলার। চীন ও ভারত ছাড় করেছে যথাক্রমে ১৯ কোটি ডলার ও ৮ কোটি ডলার। জাপান দিয়েছে ৮ কোটি ডলার। ইআরডির প্রতিবেদন অনুসারে, গত চার মাসে সব মিলিয়ে ১৬৬ কোটি ডলার ছাড় করেছে দাতা সংস্থা ও দেশগুলো। অন্যদিকে আগের নেওয়ার ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ করতে খরচ হয়েছে ১৫৮ কোটি ডলার। এর মধ্যে ১০২ কোটি ডলার আসল ও সুদ ৫৬ কোটি ডলার। দিন দিন ঋণ পরিশোধের পাল্লা ভারী হচ্ছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর সময়ে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে অর্থছাড়ে উল্লম্ফন হয়েছে। মোট ১৬৬ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের ঋণ ও অনুদানের অর্থ ছাড় করেছে উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও আন্তর্জাতিক অর্থায়নকারী সংস্থাগুলো। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১২০ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ হিসাবে অর্থছাড় বেড়েছে ৩৮ দশমিক ৫১ শতাংশ।
সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে অর্থছাড়ের এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। চলতি অর্থবছরের এ সময়ে বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি মিলেছে ১২০ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ চার মাসে অর্থায়নকারী সংস্থাগুলোর পাওনার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার পরিশোধ করেছে ১৫৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার। সে হিসাবে ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধের পর নিট অর্থছাড় হয়েছে ৭ কোটি ৯৯ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের প্রথম চার মাসে আসল ও সুদ শোধ করা হয়েছিল ১৪৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। সে হিসাবে ঋণ শোধ বেড়েছে ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ।
এই চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয়নি ভারত, চীন, জাপান ও রাশিয়া। এর মানে হলো, গত চার মাসে এই চারটি দেশের অর্থে কোনো প্রকল্প নেওয়া চূড়ান্ত হয়নি। তবে এই চারটি দেশ নতুন করে প্রতিশ্রুতি না দিলেও আগে নেওয়া ঋণের অর্থ ছাড় অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়া এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকও (এআইআইবি) ঋণের কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
চলতি অর্থবছরের চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) সবচেয়ে বেশি ঋণ ছাড় করেছে রাশিয়া। দেশটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ৪০ কোটি ৭৭ লাখ ডলার ছাড় করেছে। এরপরে আছে বিশ্বব্যাংক। এই সংস্থা দিয়েছে ৪০ কোটি ৫২ লাখ ডলার। আর এডিবি দিয়েছে প্রায় ২৫ কোটি ডলার। চীন ও ভারত ছাড় করেছে যথাক্রমে ১৯ কোটি ডলার ও ৮ কোটি ডলার। জাপান দিয়েছে ৮ কোটি ডলার। ইআরডির প্রতিবেদন অনুসারে, গত চার মাসে সব মিলিয়ে ১৬৬ কোটি ডলার ছাড় করেছে দাতা সংস্থা ও দেশগুলো। অন্যদিকে আগের নেওয়ার ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ করতে খরচ হয়েছে ১৫৮ কোটি ডলার। এর মধ্যে ১০২ কোটি ডলার আসল ও সুদ ৫৬ কোটি ডলার। দিন দিন ঋণ পরিশোধের পাল্লা ভারী হচ্ছে।