ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
চামড়া শিল্প, জুতা তৈরির যন্ত্রপাতি, জুতার বিভিন্ন উপকরণ, রাসায়নিক ও আনুষঙ্গিক পণ্যের সমাহার নিয়ে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘লেদারটেক বাংলাদেশ ২০২৫’। ১১তম বারের মতো আয়োজিত এ আসর গতকাল আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) এক্সপো ভিলেজে শুরু হয়। প্রদর্শনী চলবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। ব্যবসায়িক দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন। আয়োজক প্রতিষ্ঠান এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশনস প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান ভূঁইয়া জানান, এবারের আসরে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান চীনসহ মোট আটটি দেশ থেকে আসা প্রায় ২০০টি কোম্পানি তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে। আয়োজনে কাউন্সিল ফর লেদার এক্সপোর্টস ইন্ডিয়া (সিএলই), পাকিস্তান ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিটিএ), ইন্ডিয়া ফুটওয়্যার কম্পোনেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (ইফকোমা)সহ চীনের গুয়াংডং সু-মেকিং মেশিনারি অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) পৃথক পৃথক প্যাভিলিয়ন থাকবে।
এ ছাড়া প্রদর্শনীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে দেশের অন্যতম প্রধান শিল্প সংগঠনগুলো। যার মধ্যে প্রদর্শনীর বিবিধ বিষয়ে সহায়তা দিচ্ছে এলএফএমইএবি।
লেদারটেক বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয় ১১ বছর আগে। শুরুতে এটি ছিল একটি প্রযুক্তি প্রদর্শনী প্ল্যাটফর্ম, যার লক্ষ্য ছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জুতা, ভ্রমণ আনুষঙ্গিক এবং সংশ্লিষ্ট পণ্যের উৎপাদন প্রযুক্তিকে দেশের শিল্প উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই আয়োজনটি বাংলাদেশের চামড়া, জুতা এবং সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্ভাবন ও বাজার সম্প্রসারণের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। গত এক দশকে লেদারটেক বাংলাদেশ দেশের চামড়া শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকের পরই বাংলাদেশের চামড়া ও জুতা শিল্পের অবস্থান। বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্যের ৩ শতাংশ এবং বৈশ্বিক চামড়ার মোট চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ পূরণ করে এই শিল্প। শিল্পনীতি ২০২২-এ রপ্তানি বহুমুখীকরণের অগ্রাধিকার খাত হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ায়, খাতটি এখন বৈশ্বিক উৎসের একটি শক্তিশালী কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর তথ্যমতে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অক্টোবরে রপ্তানিতে বাংলাদেশ চামড়া ও জুতা শিল্প ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে। চলতি অর্থবছরে রপ্তানিতে ৯.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে ৫৯১.৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে চামড়া ও জুতা খাত, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৫৩৯.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দীর্ঘ অস্থিরতার পর জুতা রপ্তানি ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে। এর ফলে দেশের রপ্তানির ক্ষেত্র প্রসারিত হওয়ায় বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্ত হচ্ছে।
লেদারটেক বাংলাদেশ ২০২৫-এ প্রদর্শিত প্রযুক্তি, উপকরণ ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী সংশ্লিষ্ট শিল্পকারখানার জন্য বেশ উপকারী হবে। বিশেষ করে যারা উৎপাদন বাড়াত, লাইনে নতুন প্রোডাক্ট আনতে কিংবা নতুন করে এই খাতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে—তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি করবে এই প্রদর্শনী। বিগত কয়েক বছর ধরে এই প্রদর্শনী নতুন উদ্যোক্তাদের বৈশ্বিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে এবং স্থানীয় বাজারে জুতা উৎপাদনেও ভূমিকা রেখেছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
চামড়া শিল্প, জুতা তৈরির যন্ত্রপাতি, জুতার বিভিন্ন উপকরণ, রাসায়নিক ও আনুষঙ্গিক পণ্যের সমাহার নিয়ে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘লেদারটেক বাংলাদেশ ২০২৫’। ১১তম বারের মতো আয়োজিত এ আসর গতকাল আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) এক্সপো ভিলেজে শুরু হয়। প্রদর্শনী চলবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। ব্যবসায়িক দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন। আয়োজক প্রতিষ্ঠান এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশনস প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান ভূঁইয়া জানান, এবারের আসরে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান চীনসহ মোট আটটি দেশ থেকে আসা প্রায় ২০০টি কোম্পানি তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে। আয়োজনে কাউন্সিল ফর লেদার এক্সপোর্টস ইন্ডিয়া (সিএলই), পাকিস্তান ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিটিএ), ইন্ডিয়া ফুটওয়্যার কম্পোনেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (ইফকোমা)সহ চীনের গুয়াংডং সু-মেকিং মেশিনারি অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) পৃথক পৃথক প্যাভিলিয়ন থাকবে।
এ ছাড়া প্রদর্শনীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে দেশের অন্যতম প্রধান শিল্প সংগঠনগুলো। যার মধ্যে প্রদর্শনীর বিবিধ বিষয়ে সহায়তা দিচ্ছে এলএফএমইএবি।
লেদারটেক বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয় ১১ বছর আগে। শুরুতে এটি ছিল একটি প্রযুক্তি প্রদর্শনী প্ল্যাটফর্ম, যার লক্ষ্য ছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জুতা, ভ্রমণ আনুষঙ্গিক এবং সংশ্লিষ্ট পণ্যের উৎপাদন প্রযুক্তিকে দেশের শিল্প উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই আয়োজনটি বাংলাদেশের চামড়া, জুতা এবং সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্ভাবন ও বাজার সম্প্রসারণের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। গত এক দশকে লেদারটেক বাংলাদেশ দেশের চামড়া শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকের পরই বাংলাদেশের চামড়া ও জুতা শিল্পের অবস্থান। বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্যের ৩ শতাংশ এবং বৈশ্বিক চামড়ার মোট চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ পূরণ করে এই শিল্প। শিল্পনীতি ২০২২-এ রপ্তানি বহুমুখীকরণের অগ্রাধিকার খাত হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ায়, খাতটি এখন বৈশ্বিক উৎসের একটি শক্তিশালী কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর তথ্যমতে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অক্টোবরে রপ্তানিতে বাংলাদেশ চামড়া ও জুতা শিল্প ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে। চলতি অর্থবছরে রপ্তানিতে ৯.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে ৫৯১.৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে চামড়া ও জুতা খাত, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৫৩৯.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দীর্ঘ অস্থিরতার পর জুতা রপ্তানি ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে। এর ফলে দেশের রপ্তানির ক্ষেত্র প্রসারিত হওয়ায় বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্ত হচ্ছে।
লেদারটেক বাংলাদেশ ২০২৫-এ প্রদর্শিত প্রযুক্তি, উপকরণ ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী সংশ্লিষ্ট শিল্পকারখানার জন্য বেশ উপকারী হবে। বিশেষ করে যারা উৎপাদন বাড়াত, লাইনে নতুন প্রোডাক্ট আনতে কিংবা নতুন করে এই খাতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে—তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি করবে এই প্রদর্শনী। বিগত কয়েক বছর ধরে এই প্রদর্শনী নতুন উদ্যোক্তাদের বৈশ্বিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে এবং স্থানীয় বাজারে জুতা উৎপাদনেও ভূমিকা রেখেছে।