ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংলাপে ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ নিয়ে তাদের অভিমত জানিয়েছেন। এতে দেশের বিভিন্ন শিল্পখাতের অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী নেতা ও শিল্প উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সংলাপে ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর নিয়ে কথা বলেন অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।
তিনি বলেছেন, ‘অগ্রিম কর ও উৎসে কর হচ্ছে কর-সন্ত্রাস (ট্যাক্স টেররিজম)। এটা বন্ধ করতে হবে। আমরা লাভ করি বা লোকসান করি—সব অবস্থাতেই আমরা কর দিয়ে যাচ্ছি। এমনও হয়েছে যে লোকসান করেছি বেশি, আবার করও বেশি দিয়েছি। এই অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি চাই।’
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ও বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।
সংলাপে অংশ নিয়ে নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘এনবিআর বিভিন্ন সংস্কার ইতিমধ্যে করেছে। তাতে বন্ড অটোমেশন হয়েছে ও এইচএস কোডের যে “টেররিজম” ছিল, সেখানে থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। এখন অগ্রিম কর ও উৎসে কর থেকে মুক্তি চাই।’
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘বাংলাদেশে শুধু ব্যবসায়ীরা বিত্তবান হয়েছে, নাকি আমলারাও হয়েছেন—এই কথাটা বলা হয় না। যে টাকা পাচার করা হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাচার করেছেন আমলারা। আমরা ব্যবসায়ীরা এ দায় নিতে চাই না।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে যাঁরা টাকা চুরি করেন, গ্যাস চুরি করেন, তাঁদের ধরেন, আইনের আওতায় আনেন। ওনাদের দায় যেন আমাদের ওপরে না আসে।’
সুদহার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের উদ্দেশে নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘আপনার কাছে একটা বিনীত নিবেদন, ব্যবসায়ীরা এই সুদহার আর সইতে পারছে না। এটা বহন করা আমাদের জন্য অসম্ভব বিষয় হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসার খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এতে বিশেষ করে প্রতিদ্বন্দ্বী দুটো দেশ—ভিয়েতনাম ও ভারতের সঙ্গে আমরা পারছি না।’
আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকের মতো বিদেশি অংশীদারদের কথা শুনে চলা ব্যবসায়ীরা সমর্থন করে না বলে মন্তব্য করেন নাসিম মঞ্জুর। তিনি বলেন, ‘আপনাদের চার বিলিয়ন, পাঁচ বিলিয়ন—যে অর্থ লাগবে, আমরা রপ্তানি থেকে এনে দেব। কিন্তু তাদের সব জায়গায় অনুসরণ করা উচিত হবে না।’
এ ছাড়া রপ্তানিতে ইডিএফ তহবিল পুনরায় চালু করা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি করা, ঢাকার পরিবহন সমস্যা সমাধান করার অনুরোধ জানান নাসিম মঞ্জুর। পাশাপাশি সরকারকে এলডিসি উত্তরণ নিয়ে একটা স্পষ্ট অবস্থান জানাতে বলেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংলাপে ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ নিয়ে তাদের অভিমত জানিয়েছেন। এতে দেশের বিভিন্ন শিল্পখাতের অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী নেতা ও শিল্প উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সংলাপে ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর নিয়ে কথা বলেন অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।
তিনি বলেছেন, ‘অগ্রিম কর ও উৎসে কর হচ্ছে কর-সন্ত্রাস (ট্যাক্স টেররিজম)। এটা বন্ধ করতে হবে। আমরা লাভ করি বা লোকসান করি—সব অবস্থাতেই আমরা কর দিয়ে যাচ্ছি। এমনও হয়েছে যে লোকসান করেছি বেশি, আবার করও বেশি দিয়েছি। এই অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি চাই।’
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ও বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।
সংলাপে অংশ নিয়ে নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘এনবিআর বিভিন্ন সংস্কার ইতিমধ্যে করেছে। তাতে বন্ড অটোমেশন হয়েছে ও এইচএস কোডের যে “টেররিজম” ছিল, সেখানে থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। এখন অগ্রিম কর ও উৎসে কর থেকে মুক্তি চাই।’
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘বাংলাদেশে শুধু ব্যবসায়ীরা বিত্তবান হয়েছে, নাকি আমলারাও হয়েছেন—এই কথাটা বলা হয় না। যে টাকা পাচার করা হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাচার করেছেন আমলারা। আমরা ব্যবসায়ীরা এ দায় নিতে চাই না।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে যাঁরা টাকা চুরি করেন, গ্যাস চুরি করেন, তাঁদের ধরেন, আইনের আওতায় আনেন। ওনাদের দায় যেন আমাদের ওপরে না আসে।’
সুদহার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের উদ্দেশে নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘আপনার কাছে একটা বিনীত নিবেদন, ব্যবসায়ীরা এই সুদহার আর সইতে পারছে না। এটা বহন করা আমাদের জন্য অসম্ভব বিষয় হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসার খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এতে বিশেষ করে প্রতিদ্বন্দ্বী দুটো দেশ—ভিয়েতনাম ও ভারতের সঙ্গে আমরা পারছি না।’
আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকের মতো বিদেশি অংশীদারদের কথা শুনে চলা ব্যবসায়ীরা সমর্থন করে না বলে মন্তব্য করেন নাসিম মঞ্জুর। তিনি বলেন, ‘আপনাদের চার বিলিয়ন, পাঁচ বিলিয়ন—যে অর্থ লাগবে, আমরা রপ্তানি থেকে এনে দেব। কিন্তু তাদের সব জায়গায় অনুসরণ করা উচিত হবে না।’
এ ছাড়া রপ্তানিতে ইডিএফ তহবিল পুনরায় চালু করা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি করা, ঢাকার পরিবহন সমস্যা সমাধান করার অনুরোধ জানান নাসিম মঞ্জুর। পাশাপাশি সরকারকে এলডিসি উত্তরণ নিয়ে একটা স্পষ্ট অবস্থান জানাতে বলেন।