বিজেএমসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন-ভাতাদি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুতোষিক পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এবং বিজেএমসি’র নিজস্ব অফিস ভবন নির্মাণের দাবিতে গেইট মিটিংয়ের আয়োজন করে। রোববার,(০৭ ডিসেম্বর ২০২৫) বিজেএমসি কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিজেএমসি’র প্রধান কার্যালয়ের (আদমজী কোর্ট, এনেক্স-১ ভবন) মেইন গেইটে একটি গেইট মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। একইসাথে বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন ২৫টি জুটমিলসমূহের অফিস গেইটে গেইট মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজেএমসির প্রধান কার্যালয়েরগেইট মিটিং-এ বিজেএমসি’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। বিজেএমসি’র মুখ্য পরিচালন কর্মকর্তা, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাঃ ও সা:সেবা), (হিসাব ও অর্থ), আইন, উৎপাদন, বিপণন, পরিকল্পনা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক- রক্ষণাবেক্ষণ, বিপণন, গমানি ওসিবিএ সভাপতি, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি এবং অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
কর্মকর্তাগণ বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, ‘গত সরকার ১লা জুলাই ২০২০ সালে বিজেএমসি’র উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে শ্রমিকদেরকে গোল্ডেন হ্যান্ডশ্যাকের মাধ্যমে চাকুরী অবসায়ন করে এবং উদ্বৃত্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে আত্তীকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যত্র আত্তীকরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার ঘোষণা দেয়। কিন্তু অদ্যাবধি ৫ বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও আত্তীকরণ কার্যক্রম বিভিন্ন কারনে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি যা এখনো চলমান রয়েছে। মিল বন্ধ পরবর্তীতে প্রায় ৪ বছর বিজেএমসি’র মজুদ পণ্য বিক্রয়লব্ধ টাকা দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। গত জুলাই ২০২৪ হতে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। গত ৮ থেকে ৯ মাস যাবৎ অর্থ মন্ত্রণালয় হতে কোনরকমের অর্থ বরাদ্দ না করায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছে না। ফলে অনেকেই আর্থিক সংকটের কারনে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এ অবস্থায় নিয়মিত বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমান অর্থ বরাদ্দের আহবান জানান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।