অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ালো ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ

image

নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ালো ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ

রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

মূল্যস্ফীতি নভেম্বর মাসে কিছুটা বেড়েছে। অক্টোবর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমলেও নভেম্বর মাসে তা আবার বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। অক্টোবর মাসে তা ছিল ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ। রোববার,(০৭ ডিসেম্বর ২০২৫) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) নভেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতির চিত্র প্রকাশ করেছে।

কয়েকমাস ধরে মূল্যস্ফীতি উঠানামার মধ্যে আছে। তবে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের ঘরেই ঘোরাফেরা করছে। বিবিএসের হিসাব অনুসারে, গত নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয় ৯ দশমিক ০৮ শতাংশ। টানা দুই মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তিন বছর ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ০৩ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি এক ধরনের করের মতো। আপনার প্রতি মাসে আয়ের পুরোটাই সংসার চালাতে খরচ হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ জিনিসপত্রের দাম বাড়লে এবং সে অনুযায়ী আপনার আয় না বাড়লে আপনাকে ধার-দেনা করে সংসার চালাতে হবে কিংবা খাবার, কাপড়-চোপড়, যাতায়াতসহ বিভিন্ন খাতে কাটছাঁট করতে হবে। মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধি বা আয় বৃদ্ধি কম হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। প্রকৃত আয় কমে যায়।

বিবিএস এর প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত নভেম্বর মাসে জাতীয় মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ০৪ শতাংশ। এর মানে হলো, মজুরি বৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম। মূল্যস্ফীতির হার কমে যাওয়া মানে জিনিসপত্রের দাম কমে যাওয়া নয়। অন্যান্য মাসের তুলনায় ওই নির্দিষ্ট মাসে দাম বৃদ্ধি হয়তো কিছুটা কম হয়েছে।

উদাহরণ স্বরূপ, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে বাজার থেকে পণ্য ও সেবা কিনতে যদি আপনার খরচ হয় ১০০ টাকা। এ বছরের নভেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ হওয়ার মানে হলো, ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে অর্থাৎ এক বছর পর একই পণ্য ও সেবা কিনতে আপনাকে ১০৮ টাকা ২৯ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। প্রতি ১০০ টাকায় আপনার খরচ বেড়েছে ৮ টাকা ২৯ পয়সা।

দুই-তিন বছর ধরে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। এনবিআরও তেল, আলু, পেঁয়াজ, ডিমসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যে শুল্ক-কর কমিয়ে দেয়। বাজারে নিত্যপণ্যের আমদানিপ্রবাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করা হয়।

‘অর্থ-বাণিজ্য’ : আরও খবর

» জীবাশ্ম জ্বালানিতে এডিবির ঋণ ‘অর্থনৈতিক ঝুঁকি বাড়াচ্ছে’

» ঋণ খেলাপিদের শেয়ার নিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম, কাজে দেয়নি: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

» সূচকের পতনে ৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

» এসএমই পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার খুঁজতে হবে: শিল্প উপদেষ্টা

» বিভিন্ন দাবিতে বিজেএমসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গেইট মিটিং

» ইউরোপে এক্সকে ১৪ কোটি ডলার জরিমানা

» রপ্তানিমুখী ১৫০টির বেশি সুপারির ট্রাক আটক বেনাপোল স্থলবন্দরে

» শেয়ারবাজারে মূলধন কমলো সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা

» চীনের ইউনান প্রদেশের বাণিজ্য বিভাগের সঙ্গে ইপিবির সমঝোতা

» মেঘনা ব্যাংকের এমডি হলেন সৈয়দ মিজানুর রহমান

» যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলো আরও ৬১ হাজার টন গম

» পর্যাপ্ত মজুদ সত্ত্বেও লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম

» নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে খাতভিত্তিক নীতি কাঠামো প্রয়োজন, আলোচনায় বক্তারা

» ভরা মৌসুমেও সবজির দাম বাড়তি, হঠাৎ বেড়েছে পেঁয়াজ ও তেলের দাম

» পরপর চার মাস রপ্তানি কমেছে

» আইএলও’র কনভেনশন বাস্তবায়নের আহ্বান বিশেষজ্ঞদের

» সিগারেট কোম্পানির ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি

» ঋণ খেলাপি কমাতে আংশিক অবলোপনে আরও ছাড় দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

» ইতিহাসের সবচেয়ে তলানিতে ডলারের বিপরিতে ভারতের রুপির দাম

» নারী সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট চালু করল সীমান্ত ব্যাংক