image

আগামী বছরও স্বর্ণের দাম বাড়তে পারে

শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
রয়টার্স

চলতি বছর স্বর্ণের দামে সবচেয়ে বড় উত্থান দেখেছে বিশ্ব যা ১৯৭৯ সালের পর সর্বোচ্চ। অতীতে এমন পরিস্থিতি বড় ধরনের দরপতনের ইঙ্গিত দিত। তবে আগামী বছর বিপরীত কিছুর পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

বিনিয়োগকারীর পরিধি ক্রমশ বিস্তৃত হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নীতিমালা থেকে শুরু করে ইউক্রেন যুদ্ধ- নানা কারণে জেপি মরগান, ব্যাংক অব আমেরিকা এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মেটালস ফোকাসের বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০২৬ সালে প্রতি আউন্স (মাপের বিশেষ একক) স্বর্ণের দাম ৫ হাজার ডলারে পৌঁছাতে পারে।

গত মার্চ মাসের আগে স্পট গোল্ডের (বর্তমান দামে কেনাবেচার প্রক্রিয়া) দাম কখনো ৩ হাজার ডলার স্পর্শ করেনি। কিন্তু অক্টোবরে তা রেকর্ড ৪ হাজার ৩৮১ ডলারে পৌঁছায়। এই উত্থান হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর চাহিদা এবং বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কারণে।

ব্যাংক অব আমেরিকার কৌশলবিদ মাইকেল উইডমার বলছেন, বেশি লাভের প্রত্যাশা বা পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্যই কেনাবেচাকে ত্বরান্বিত করছে। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি, চলতি হিসাবে ঘাটতি কমানোর প্রচেষ্টা এবং দুর্বল ডলারের নীতিও এর পেছনে কাজ করেছে।

আর পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান মেটালস ফোকাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিলিপ নিউম্যানের মতে, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ, শুল্ক বিরোধ এবং ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি- বিশেষ করে ইউক্রেনে যুদ্ধ ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কও দাম বৃদ্ধির প্রবণতায় গতি এনেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, টানা পঞ্চম বছরের মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো রিজার্ভে বৈচিত্র আনার চেষ্টা করছে। এ জন্য তারা ডলারভিত্তিক সম্পদ থেকে বেরিয়ে স্বর্ণ কিনছে। এই প্রবণতা আগামী বছর স্বর্ণের দামে শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে পারে। কারণ, মূলধন যখন ঘুরে যায়, দাম পড়ে যায় তখনই কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো স্বর্ণ কেনে।

মার্কিন বিনিয়োগ সংস্থা জেপি মরগানের বেস ও মূল্যবান ধাতু কৌশল বিভাগের প্রধান গ্রেগরি শিয়ারার বলেন, কেউ যখন স্বর্ণ কেনে তখন থেকে পরের দিনগুলোতে দাম বাড়তেই থাকে। ধাতুটির প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর চাহিদা এই ঊর্ধ্বমুখীতার পেছনে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

জেপি মরগানের বিশ্লেষকদের হিসাব অনুযায়ী, স্বর্ণের দাম স্থিতিশীল রাখতে হলে প্রতি ত্রৈমাসিকে প্রায় ৩৫০ মেট্রিক টন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বিনিয়োগ চাহিদা প্রয়োজন। তাদের পূর্বাভাস হলো, ২০২৬ সালে এই ক্রয় গড়ে প্রতি ত্রৈমাসিকে ৫৮৫ টনে পৌঁছাবে।

মরগান স্ট্যানলি ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৫০০ ডলার হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। অন্যদিকে জেপি মরগান আশা করছে আগামী বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গড় দাম ৪ হাজার ৬০০ ডলারের বেশি হবে। চতুর্থ প্রান্তিকে তা হতে পারে ৫ হাজার ডলারের বেশি। আর মেটালস ফোকাসের পূর্বাভাস হলো, স্বর্ণের দাম ৫ হাজার ডলার হতে পারে ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ।

‘অর্থ-বাণিজ্য’ : আরও খবর

» শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী সাময়িক বহিষ্কার

সম্প্রতি