image
ছবি: সংগৃহীত

ই-রিটার্নের পর ব্যাংকিং তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যাবে

রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বর্তমানে ই-রিটার্ন দাখিলের সময় চলছে। এই পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করতে কোনো ধরনের নথি বা দলিল আপলোড করতে হয় না।

সরকার মনে করলে ই-রিটার্ন দাখিলের সময় আরও বাড়তে পারে

প্রায় ৪২ লাখ করদাতা রেজিস্ট্রেশন করেছেন, রিটার্ন জমা দিয়েছেন ২৬ লাখের বেশি

আরও প্রায় ১৫-১৬ লাখ রিটার্ন জমা

দিতে পারে

যখন রিটার্ন দাখিল হবে তখন সেই এনআইডি ধরে তার ব্যাংক হিসাবের তথ্য সয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যাবে। রোববার, (২১ ডিসেম্বর ২০২৫) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংগঠন সদস্যদের জন্য রিটার্ন দাখিলের সহায়তা বুথ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, বর্তমানে কোনো নথি বা দলিল আপলোড ছাড়াই অনলাইনে রিটার্ন দেয়া যাচ্ছে। ব্যাংকিং সেবার যে কোনো মাধ্যম বা মোবাইল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে আয়কর পরিশোধ করে সঙ্গে সঙ্গেই স্বয়ংক্রিয় ই-রিটার্ন দাখিলের স্বীকারপত্র পাচ্ছেন করদাতারা।

এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আগামী অর্থবছর থেকে এ ব্যবস্থায় ব্যাংক থেকে সরাসরি সঞ্চয়ের তথ্য মিলবে। আমাদের যাদের প্রচুর তথ্য আনতে হয় ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিট করার জন্য। যেমন ধরেন, কারও শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ আছে, ছোট ছোট ডিভিডেন্ড পায়। এখন এই কত টাকা ডিভিডেন্ড পেল, সব কোম্পানিগু থেকে সার্টিফিকেট আনতে হয়। আমরা যেমন এটাকে আমাদের সিডিবিএলের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেবো। স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ডিভিডেন্ডের তথ্য ওখানে চলে আসবে।’

তিনি উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘কারও ডিপিএসের একটা অ্যাকাউন্ট আছে, কারও সেভিং অ্যাকাউন্ট আছে, কারও ছোট্ট একটা এফডিআর আছে, কারও সঞ্চয়পত্র আছে, সঞ্চয়পত্রে আমরা কানেক্ট করে ফেলেছি। এই যে ধরেন আপনার একাধিক ব্যাংকে হিসাব আছে ওই ব্যাংকে কত টাকা জমা, মুনাফা কত দিলো, ট্যাক্স কত কাটলো, প্রত্যেক ব্যাংকে গিয়ে গিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে আসা, এই যে যাওয়া আসার ঝামেলা। আমরা আপনাদের এই লাইফটা ইজি করে দেবো। আমরা কানেক্ট করে দেবো ব্যাংকিং সিস্টেমের সঙ্গে আমাদের ই-রিটার্ন। তো আপনি যখন এনআইডি দিবেন অথবা টিআইএন দিবেন, অটোমেটিকলি আপনি যখন রিটার্ন এন্ট্রি করতে যাবেন, শুধু আপনি দেখবেন।’

এ তথ্য এনবিআরের কর্মকর্তারা দেখতে পাবেন না বলেও তুলে ধরেন।

ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতার আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়বে কিনা, সেই বিবেচনা সরকার করবে বলে মন্তব্য করেছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

তিনি বলেন, ‘যখন আমরা দেখবো যে, যারা রেজিস্ট্রেশন করেছে, তার বড় একটা অংশ রিটার্ন জমা দিয়ে ফেলেছে, তখন আমরা বুঝবো যে আমার মোটামুটি পার্টটা শেষ হয়ে গেছে। তো এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে মনে হয়, আরও বড় অংশ, আরও প্রায় ১৫ লাখ অনলাইনে রিটার্ন জমা দেবে। সেক্ষেত্রে আমাদের যদি প্রয়োজন হয়, আমরা পরবর্তী সময়ে...হয়তো সরকার বিবেচনা করবে। স্যারের (অর্থ উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবো।’

অনুষ্ঠানে রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার হিসাব বলছে, প্রায় ৪২ লাখ করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। জমা দিয়েছেন ২৬ লাখের বেশি। তার মানে, আরও প্রায় ১৫-১৬ লাখ রিটার্ন জমা দেয়নি। তো এটা আগামী এক সপ্তাহে পাওয়াটা হয়তো কঠিন হবে। এখনও প্রতিদিন কিন্তু নতুন নতুন রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজারের বেশি করদাতা রিটার্ন জমা দিতে রেজিস্ট্রেশন করে।’

গত নভেম্বর মাসের শেষ দিকে এসে ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতার আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআর তখন বলেছে, ২০২৫-২৬ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জমা দেয়া যাবে। এই সময় ৩০ নভেম্বও (গত) শেষ হওয়ার কথা ছিল।

অনুষ্ঠানে ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল ও অর্থ সম্পাদক নিয়াজ মাহমুদ সোহেল উপস্থিত ছিলেন।

‘অর্থ-বাণিজ্য’ : আরও খবর

» শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী সাময়িক বহিষ্কার

সম্প্রতি