দেশের সব ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে (এনবিএফআই) ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গত রোববার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছে। ইতিমধ্যে বিপর্যস্ত ৯টি এনবিএফআইকে চিহ্নিত করে সেগুলোর অবসায়ন বা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানান, এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তি আমানতকারী ব্যক্তিরা পুরো টাকা ফেরত পাবেন। বর্তমানে ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশের আওতায় পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং এনবিএফআই কর্তৃক পরিচালিত ব্যবসা ও কার্যক্রমে জনসাধারণের স্বার্থ সংরক্ষণে সব এনবিএফআইয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ প্রয়োজনীয় পরিবর্তনসহ প্রযোজ্য হবে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সর্বশেষ সভায় ৯টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো এফএএস ফিন্যান্স, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানি, প্রিমিয়ার লিজিং, ফারইস্ট ফিন্যান্স, জিএসপি ফিন্যান্স, প্রাইম ফিন্যান্স, আভিভা ফিন্যান্স, পিপলস লিজিং ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের মোট খেলাপি ঋণের ৫২ শতাংশই এ ৯টি প্রতিষ্ঠানের। গত বছরের শেষে এসব প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫ হাজার ৮৯ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক দুই ধরনের আমানতকারী মিলিয়ে ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মোট ১৫ হাজার ৩৭০ কোটি টাকার আমানত আটকে আছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা একক গ্রাহকের এবং ১১ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা ব্যাংক ও করপোরেট আমানতকারীর। একক আমানতকারীদের আমানত আটকে থাকার দিক থেকে শীর্ষে আছে পিপলস লিজিং। প্রতিষ্ঠানটিতে আটকে আছে ১ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া আভিভা ফিন্যান্সে ৮০৯ কোটি টাকা, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ে ৬৪৫ কোটি টাকা, প্রাইম ফিন্যান্সে ৩২৮ কোটি টাকা ও এফএএস ফিন্যান্সে ১০৫ কোটি টাকা আটকে আছে।
আন্তর্জাতিক: থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে সংঘর্ষ
সারাদেশ: মোংলায় চোলাই মদসহ স্বামী স্ত্রী আটক