image

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি অনেক বেড়েছে

বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

আমদানিনির্ভর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাড়ছে রপ্তানি বাণিজ্য। চলতি বছরের জুলাই জুলাহ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চার মাসে এই বন্দর দিয়ে ৪২৯টি ট্রাকে ১০ হাজার ৭৬২ মেট্রিক টন পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়েছে। দেশি কোম্পানির বিস্কুট, ফার্নিচার, প্লাস্টিক পাইপসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্দর সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি বিগত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে আমদানিও। রপ্তানি-আমদানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্মচাঞ্চল্য এসেছে শ্রমিকদের মধ্যে।

হিলি কাস্টমস সূত্র জানায়, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে ৪২৯টি ট্রাকে ১০ হাজার ৭৬২ মেট্রিকটন দেশি পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়েছে। একই সময়ে ৯ হাজার ৩৮৪টি ট্রাকে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪৯৩ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এ থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২২৩ কোটি ৭ লাখ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই বন্দরে ভারত থেকে ৮ হাজার ৪৮৭টি ট্রাকে ২ লাখ ২৫ হাজার ৮৭৪ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়। সরকার রাজস্ব পেয়েছিল ২৬৫ কোটি টাকা।

হিলি স্থলবন্দর সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে হিলি বন্দর দিয়ে পণ্য পণ্য রপ্তানি শূন্যের কোঠায় ছিল। চলতি অর্থ বছরে অনেক দেশি পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়েছে। পাশাপাশি গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরে ভারত থেকে এই বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পণ্য আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্ম ব্যস্ততা বেড়েছে বন্দরকেন্দ্রিক সব শ্রমিকের। বর্তমানে তাদের কাছে কাজের কোনো অভাব নেই। সকাল ৯টা থেকে রাত ১০ টাকা পর্যন্ত থাকে ব্যস্ততা। গত বছর বন্দরে আমদানি-রপ্তানি একেবারে কম ছিল। প্রায় দিন কর্মহীন থাকতে হতো। বর্তমানে অনেক কাজ পাওয়া যাচ্ছে। দিনে ৫০০-৭০০ টাকা আয় হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান, এই বন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি আমদানিও বেড়েছে। গত বছর প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করত। চলতি বছরের গত ১২ আগস্ট থেকে আমদানি-রপ্তানি বেড়ে গেছে। এই বছরে সর্বোচ্চ ১৫০-১৬০টি পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে। আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক থাকলে উপকৃত হয় বন্দরের সব পেশাজীবী মানুষ।

হিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘হিলি বন্দর দিয়ে বিভিন্ন দেশি পণ্য ভারতে রপ্তানি হচ্ছে। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে বাংলাদেশ। এর আগে, এই বন্দর দিয়ে তেমন কোনো পণ্য রপ্তানি হতো না। বর্তমান আমরা রপ্তানি বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। আশা করছি, আগামীদিনে ভারতে আরো বেশি দেশি পণ্য রপ্তানি হবে।’

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আব্দুল আজিজ বলেন, হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। অন্য অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরে এই বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় পণ্যের আমদানি গত অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে। আমরা কাস্টমসের সব কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করে ছাড়করণ করে থাকি।

‘অর্থ-বাণিজ্য’ : আরও খবর

সম্প্রতি