image
ছবি: সংগৃহীত

শুরুতে বড় উত্থান হলেও শেষ পর্যন্ত পতন শেয়ারবাজারে

রোববার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার, (২৮ ডিসেম্বর ২০২৫) লেনদেনের শুরুতে দেশের শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হলেও শেষ পর্যন্ত দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। তবে অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে মূল্যসূচক।

দিনের লেনদেন শেষে দরপতন হলেও এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের বড় উত্থান হয়। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় লেনদেনের একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

কিন্তু প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার পর বাজারের চিত্র বদলাতে থাকে। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। লেনদেনের শেষদিকে দরপতনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে দাম কমার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৯টির। আর ৬৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৭৩টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১১৬টির দাম কমেছে এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ২২টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৪৮টির দাম কমেছে এবং ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩৬টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬টির এবং ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৫টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৭টির দাম কমেছে এবং ৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৬৭ পয়েন্টে নেমে গেছে।

মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৮৫ কোটি ৮ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৩৮ কোটি ১০ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৪৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে সিটি ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার। ১১ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রহিমা ফুড।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সায়হান কটন, উত্তরা ব্যাংক, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ১০ বছর মেয়াদি একটি সরকারি ট্রেজারি বন্ড, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।

অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৯টির এবং ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

‘অর্থ-বাণিজ্য’ : আরও খবর

সম্প্রতি