চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর সময়ে বিদেশি ঋণের অর্থ ছাড়ের উল্লম্ফন কিছুটা কমলেও আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির দেখা মিলেছে।
জুলাই-নভেম্বর সময়ে মোট ১৯৫ কোটি ডলারের ঋণ ও অনুদানের অর্থ ছাড় করেছে উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও আন্তর্জাতিক অর্থায়নকারী সংস্থাগুলো।
জুলাই-নভেম্বর সময়ে মোট ১৯৫ কোটি ডলারের ঋণ ও অনুদানের অর্থ ছাড় করেছে উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও আন্তর্জাতিক অর্থায়নকারী সংস্থাগুলো। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৫৪ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে অর্থছাড়ের এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসে বিদেশি ঋণ ও অনুদানের অর্থছাড় বেড়েছে ২৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। একমাস আগেও, অর্থাৎ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এ প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩৮ দশমিক ৫১ শতাংশ। ওই সময়ে মোট ১৬৬ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের ঋণ ও অনুদানের অর্থ ছাড় করেছে উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও আন্তর্জাতিক অর্থায়নকারী সংস্থাগুলো।
রাজনৈতিক ডামাঢোলের মধ্যে শুরু হওয়া গত অর্থবছরের শুরুতে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে যে নেতিবাচক ধারা ছিল, তার রেশ দেখা যায় এ সূচকেও। তাতে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে বিদেশি ঋণের অর্থছাড়ের প্রবৃদ্ধিতে যে উল্লম্ফন দেখা গিয়েছিল তা কিছুটা ধীর হয়ে আসছে। চলতি অর্থবছরের এ সময়ে বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি মিলেছে ১২১ কোটি ৯৪ লাখ ডলার।
ইআরডির প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে অর্থায়নকারী সংস্থাগুলোর পাওনার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার পরিশোধ করেছে ১৮৯ কোটি ১ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আসল ও সুদ মিলিয়ে মোট পরিশোধ করা হয়েছিল ১৭১ কোটি ১০ লাখ ডলার। সে হিসাবে ঋণ শোধ বেড়েছে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) বড় বড় বন্ধুপ্রতিম দেশ কোনো ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয়নি। এই তালিকায় আছে ভারত, চীন, রাশিয়া ও জাপান।
এই চারটি দেশ নতুন করে প্রতিশ্রুতি না দিলেও আগে নেওয়া ঋণের অর্থ ছাড় করেছে। এর পাশাপাশি এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকও (এআইআইবি) গত ৫ মাসে ঋণের কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের ৫ মাসে সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ১২২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।
গত নভেম্বর মাসে কোনো প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি। সার্বিক প্রতিশ্রুতির মধ্যে ৫৮ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মিলেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে। আর বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রায় দুই কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। অন্যান্য দাতা সংস্থা ও দেশ ওই চার মাসে সাড়ে ৬২ কোটি ডলার দেবে বলে জানিয়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ৫২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল।
অর্থবছরের পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) সবচেয়ে বেশি ঋণ ছাড় করেছে রাশিয়া। দেশটি ৫ মাসে দিয়েছে ৫৫ কোটি ডলার। এরপরে আছে বিশ্বব্যাংক। এই সংস্থা দিয়েছে ৪৩ কোটি ডলার। আর এডিবি দিয়েছে সাড়ে ৩৩ কোটি ডলার। চীন ও ভারত ছাড় করেছে যথাক্রমে সাড়ে ১৯ কোটি ডলার ও ৯ কোটি ডলার। জাপান দিয়েছে সাড়ে ৮ কোটি ডলার।
আন্তর্জাতিক: মায়ানমারে নির্বাচন নাকি বন্দুকের মুখে
অর্থ-বাণিজ্য: সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় লেনদেন ৩৫৪ কোটি টাকা
অর্থ-বাণিজ্য: আজ ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে লেনদেন
অর্থ-বাণিজ্য: বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন
অর্থ-বাণিজ্য: এলডিসি উত্তরণের পর ইইউতে রপ্তানিতে শুল্ক বাড়বে ১২ শতাংশ
অর্থ-বাণিজ্য: পাঁচ মাসে বিদেশি ঋণের অর্থ ছাড় বেড়েছে ২৬ শতাংশ