চলতি অর্থবছরের এই পর্যন্ত ৩০ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দিয়েছেন। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে এই সংখ্যা ১০ লাখের বেশি অনলাইন রিটার্ন জমা পড়েছে। এর মানে হলো, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসেই ২০ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
গত ৪ আগস্ট অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এ বছরের জন্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ বছর সব করদাতার অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে ছাড় দেওয়া হয়েছে ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা, মৃত করদাতার পক্ষে আইনি প্রতিনিধি কর্তৃক রিটার্ন দাখিল এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের।
এনবিআর বলছে, যাদের জন্য ই-রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়নি, তাঁরাও অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করছেন।
এনবিআরের হিসাব অনুসারে, আগস্টে ২ লাখ ৫১ হাজার ৭৮৪ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ৩ লাখ ১ হাজার ৩০২ জন, অক্টোবর মাসে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬ জন, নভেম্বর মাসে ১০ লাখ ৪০ হাজার ৪৭২ জন এবং ডিসেম্বর মাসে বুধবার, (৩১ ডিসেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ১০ লাখ করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন। গত বছর একই সময়ে সব মিলিয়ে ১০ লাখ ২ হাজার ২৯৮ জন করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।
করদাতাদের সুবিধার জন্য সরকার ইতোমধ্যে রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ বছর ৪০ লাখের বেশি করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করবেন এমন আশা করছে এনবিআর।
সব করদাতাকে রিটার্ন দিতে হলে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে জমা দিতে হবে। এ জন্য প্রথমে নিবন্ধন নিতে হবে। নিবন্ধন নিয়ে পাসওয়ার্ড দিয়ে ওয়েবসাইটে ঢুকে আপনি আপনার রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
অনলাইনে রিটার্ন জমার আগে প্রথমে করদাতাকে নিবন্ধন নিতে হবে। নিবন্ধন নিতে করদাতার নিজের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও বায়োমেট্রিক করা মুঠোফোন নম্বর লাগবে। এ দুটি দিয়ে নিবন্ধন করে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। অনলাইনে রিটার্ন জমা দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাপ্তি রসিদ মিলবে।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন বা ই-রিটার্ন দিতে কোনো কাগজপত্র আপলোড করতে হয় না। এসব কাগজের তথ্য দিলেই হবে। তবে যেসব কাগজের তথ্য দেবেন, তা সংরক্ষণ করবেন। কারণ, ভবিষ্যতে নিরীক্ষা বা অন্য কোনো প্রয়োজনে কাগজপত্র চাইলে যেন তা দিতে পারেন।
অনলাইনে রিটার্ন দেওয়ার সময় ঘরে বসেই কর দিতে পারবেন। যেমন ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদ অথবা অন্য কোনো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।
রিটার্ন জমার সময় নিজের প্রয়োজন অনুসারে কিছু কাগজপত্রের তথ্য লাগবে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস থেকে এসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করতে হবে।
যেসব কাগজপত্রের লাগবে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বেতন খাতের আয়ের দলিল, সিকিউরিটিজের ওপর সুদ আয়ের সনদ, ভাড়ার চুক্তিপত্র, পৌরকরের রসিদ, বন্ধকি ঋণের সুদের সনদ, মূলধনি সম্পদের বিক্রয় কিংবা ক্রয়মূল্যের চুক্তিপত্র ও রসিদ, মূলধনি ব্যয়ের আনুষঙ্গিক প্রমাণপত্র, শেয়ারের লভ্যাংশ পাওয়ার ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট, সুদের ওপর উৎসে কর কাটার সার্টিফিকেট।
বিনিয়োগ করে কর রেয়াত পেতে চাইলেও কিছু কাগজপত্র লাগবে। যেমন জীবন বিমার কিস্তির প্রিমিয়াম রসিদ, ভবিষ্য তহবিলে দেওয়া চাঁদার সনদ, ঋণ বা ডিবেঞ্চার, সঞ্চয়পত্র, শেয়ারে বিনিয়োগের প্রমাণপত্র, ডিপোজিট পেনশন স্কিমে (ডিপিএস) চাঁদার সনদ, কল্যাণ তহবিলের চাঁদা ও গোষ্ঠী বিমার কিস্তির সনদ, জাকাত তহবিলে দেওয়া চাঁদার সনদ।
আন্তর্জাতিক: ইয়েমেন সংঘাতে মুখোমুখি অবস্থানে সৌদি-আরব আমিরাত
অর্থ-বাণিজ্য: ই-রিটার্ন দিতে অসমর্থ হলে জানাতে হবে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে
অর্থ-বাণিজ্য: ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত
অর্থ-বাণিজ্য: পিপলস লিজিংয়ের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
অর্থ-বাণিজ্য: বাণিজ্যমেলা শুরু হবে ৩ জানুয়ারি
অর্থ-বাণিজ্য: ৩০ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দিয়েছেন