alt

৭ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন বেড়েছে শেয়ারবাজারে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ০৭ মে ২০২১

গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে আরও সাত হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন ফিরেছে। শুধু বাজার মূলধনই নয় গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৭০ হাজার ৭১২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৬ কোটি ৭৩ লাখ ২৬ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ৬ হাজার ৯৪৩ কোটি ৯৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬ হাজার ৮০৭ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার ৬২১ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৪৮৫ কোটি ৪৭ লাখ ৮৫ হাজার ৪১৩ টাকা বা ২৮ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৩২২ কোটি ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ২০৮ টাকার। ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৬১ কোটি ৫৩ লাখ ৫২ হাজার ১২৪ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬৪ কোটি ৪৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ২৯৭ কোটি ৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩ টাকা বেশি হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২৬.৪০ পয়েন্ট বা ২.৩১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬০৬.০২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২.৩৭ পয়েন্ট বা ০.১৯ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৬.৩৭ পয়েন্ট বা ১.১৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়ে যথাক্রমে ১ হাজার ২৫২.১৯ পয়েন্ট এবং ২১৩৭.২৯ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭১টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৫৪টির বা ৬৮.৪৬ শতাংশের, কমেছে ৬৯টির বা ১৮.৬০ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির বা ১২.৯৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৩২ কোটি ২৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫৭ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৭৩ কোটি ৫৮ লাখ ২৬ হাজার ২৫৫ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪১ কোটি ৩৪ লাখ ২৯ হাজার ৪৯৮ টাকা বা ১৫ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৬৪.০৯ পয়েন্ট বা ২.২৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২০৮.৮৮ পয়েন্টে। সিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২১৪.৯১ পয়েন্ট বা ২.২৪ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৮১.৭০ পয়েন্ট বা ২.৩৩ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২০.৫৭ পয়েন্ট বা ১.৭০ শতাংশ এবং সিএসআই ১২.৭৮ পয়েন্ট বা ১.২৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৭৭৪.৯৬ পয়েন্ট, ১২ হাজার ৩৪৪.১৯ পয়েন্টে, ১ হাজার ২২৮.৪১ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৬.৪৫ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩২২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২২১টির বা ৬৮.৬৩ শতাংশের দর বেড়েছে, ৬৯টির বা ২১.৪৩ শতাংশের কমেছে এবং ৩২টির বা ৯.৯৪ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। এতে গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৬৫ টাকা ৫০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ৫১০ টাকা ৪০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ৫৭৫ টাকা ৯০ পয়সা।

শেয়ারের এমন দাম হলেও কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১০ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। তার আগে ২০১৯, ২০১৮, ২০১৭, ২০১৬ এবং ২০১৫ সালেও কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দেয়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে বছরে এক টাকা করে লভ্যাংশ পেয়েছেন। এদিকে দাম কমে যাওয়ার পরও বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে রাজি হননি। ফলে গেল সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৯৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৯৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা। সোনালী আঁশের পরেই গত সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় রয়েছে উত্তরা ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে এই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম কমেছে ১১ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ দাম কামার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে প্যারামউন্ট ইন্স্যুরেন্স। এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- এমএল ডাইংয়ের ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ, এএফসি এগ্রোর ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলসের ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ৮ দশমিক ১১ শতংশ এবং খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ দাম কমেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই’র সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১.১৮ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৬.৯১ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৭.১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.২০ পয়েন্ট বা ১.১৮ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৬.৯৩ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৫.৪০ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ২৮.১৫ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৮.৯৬ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২১.৮৯ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২৪.৬০ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৫৫.৯৮ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১২.৬৯ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.৬০ শতাংশ, চামড়া খাতের (-) ১২.৬০ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ১২.৯৯ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৫৬.৬০ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৫৩.৬৪ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৭৯.৭৯ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১০.৯০ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৭.৩২ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৬.৬০ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৪৪.৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ছবি

দুবাইয়ে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটিতে ২৬ ঘণ্টা ভোগান্তি

ছবি

২ শতাংশ অর্থ জমা দিয়ে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ

ছবি

অধিকাংশ শেয়ারের দরপতন, সামান্য বেড়েছে লেনদেন

ছবি

অক্টোবরে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতি জাতিসংঘকে জানাতে হবে

ছবি

শ্রমিকের পাওনা পরিশোধে নাসা গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্ত

ছবি

একনেকে ৮৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি

ঢাকায় নিরাপত্তা প্রযুক্তির সর্বশেষ উদ্ভাবন নিয়ে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

ছবি

পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র মেজবাউল

ছবি

প্রথম চালানে ভারতে গেল সাড়ে ৩৭ টন ইলিশ

ছবি

তাপমাত্রা বাড়ায় বাংলাদেশের ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা: বিশ্বব্যাংক

ছবি

পাঁচ বেসরকারি শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করার প্রথম ধাপে প্রশাসক বসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পেছানোর বিরোধিতা করছে

ছবি

শেয়ারবাজারে লেনদেন নামলো ৬শ’ কোটি টাকার ঘরে

ছবি

ব্যবসা মাঝে মন্থর ছিল, এখন একটু ভালো: অর্থ উপদেষ্টা.

ছবি

অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরে আশাবাদী জাপানি রাষ্ট্রদূত

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সভা: একীভূত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক, বসছে প্রশাসক

ছবি

বিজিএমইএ–মার্কিন প্রতিনিধিদল বৈঠক: শুল্ক কমাতে আহ্বান

ছবি

জুলাই-আগস্টে এডিপি বাস্তবায়ন ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ

ছবি

বিবিএসের নাম পরিবর্তন ও তদারক পরিষদ রাখার সুপারিশ

ছবি

শ্রম আইন সংশোধন দ্রুত শেষ করার তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের

ছবি

নগদ অর্থের ব্যবহার কমাতে আসছে একীভূত পেমেন্ট সিস্টেম: গভর্নর

ছবি

আড়াই মাসে ১৩৯ কোটি ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে আবেদনের সময় বাড়লো ২ নভেম্বর পর্যন্ত

ছবি

পুঁজিবাজারে সূচকের নামমাত্র উত্থান, লেনদেন আরও তলানিতে

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে গড়ে খরচ বাড়লো ৪১ শতাংশ

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে লেনোভো ভি সিরিজের নতুন ল্যাপটপ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরও কমতে পারে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

বাজারে গিগাবাইট এআই টপ ১০০ জেড৮৯০ পিসি

ছবি

কর্মসংস্থানের জরুরি পরিস্থিতি’ তৈরি হয়েছে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় পতন, এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

ছবি

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমার সফটওয়্যার চালু করলো এনবিআর

ছবি

ট্রাস্ট ব্যাংকের এটিএম ও ডেবিট কার্ডসেবা সাময়িক বন্ধ থাকবে

ছবি

বেপজার ইপিজেডগুলোতে শ্রমিকদের দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ প্রদান শুরু

ছবি

বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিসে আরও ৫ সেবা যুক্ত

ছবি

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পেছাতে ব্যবসায়ীদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান

ছবি

আড়াইগুণ প্রতিষ্ঠানের দরপতনে বাজার মূলধন কমলো ৩ হাজার কোটি টাকা

tab

৭ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন বেড়েছে শেয়ারবাজারে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ০৭ মে ২০২১

গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে আরও সাত হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন ফিরেছে। শুধু বাজার মূলধনই নয় গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৭০ হাজার ৭১২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৬ কোটি ৭৩ লাখ ২৬ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ৬ হাজার ৯৪৩ কোটি ৯৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬ হাজার ৮০৭ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার ৬২১ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৪৮৫ কোটি ৪৭ লাখ ৮৫ হাজার ৪১৩ টাকা বা ২৮ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৩২২ কোটি ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ২০৮ টাকার। ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৬১ কোটি ৫৩ লাখ ৫২ হাজার ১২৪ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬৪ কোটি ৪৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ২৯৭ কোটি ৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩ টাকা বেশি হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২৬.৪০ পয়েন্ট বা ২.৩১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬০৬.০২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২.৩৭ পয়েন্ট বা ০.১৯ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৬.৩৭ পয়েন্ট বা ১.১৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়ে যথাক্রমে ১ হাজার ২৫২.১৯ পয়েন্ট এবং ২১৩৭.২৯ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭১টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৫৪টির বা ৬৮.৪৬ শতাংশের, কমেছে ৬৯টির বা ১৮.৬০ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির বা ১২.৯৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৩২ কোটি ২৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫৭ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৭৩ কোটি ৫৮ লাখ ২৬ হাজার ২৫৫ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪১ কোটি ৩৪ লাখ ২৯ হাজার ৪৯৮ টাকা বা ১৫ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৬৪.০৯ পয়েন্ট বা ২.২৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২০৮.৮৮ পয়েন্টে। সিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২১৪.৯১ পয়েন্ট বা ২.২৪ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৮১.৭০ পয়েন্ট বা ২.৩৩ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২০.৫৭ পয়েন্ট বা ১.৭০ শতাংশ এবং সিএসআই ১২.৭৮ পয়েন্ট বা ১.২৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৭৭৪.৯৬ পয়েন্ট, ১২ হাজার ৩৪৪.১৯ পয়েন্টে, ১ হাজার ২২৮.৪১ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৬.৪৫ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩২২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২২১টির বা ৬৮.৬৩ শতাংশের দর বেড়েছে, ৬৯টির বা ২১.৪৩ শতাংশের কমেছে এবং ৩২টির বা ৯.৯৪ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। এতে গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৬৫ টাকা ৫০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ৫১০ টাকা ৪০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ৫৭৫ টাকা ৯০ পয়সা।

শেয়ারের এমন দাম হলেও কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১০ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। তার আগে ২০১৯, ২০১৮, ২০১৭, ২০১৬ এবং ২০১৫ সালেও কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দেয়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে বছরে এক টাকা করে লভ্যাংশ পেয়েছেন। এদিকে দাম কমে যাওয়ার পরও বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে রাজি হননি। ফলে গেল সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৯৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৯৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা। সোনালী আঁশের পরেই গত সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় রয়েছে উত্তরা ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে এই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম কমেছে ১১ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ দাম কামার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে প্যারামউন্ট ইন্স্যুরেন্স। এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- এমএল ডাইংয়ের ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ, এএফসি এগ্রোর ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলসের ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ৮ দশমিক ১১ শতংশ এবং খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ দাম কমেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই’র সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১.১৮ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৬.৯১ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৭.১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.২০ পয়েন্ট বা ১.১৮ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৬.৯৩ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৫.৪০ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ২৮.১৫ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৮.৯৬ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২১.৮৯ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২৪.৬০ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৫৫.৯৮ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১২.৬৯ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.৬০ শতাংশ, চামড়া খাতের (-) ১২.৬০ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ১২.৯৯ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৫৬.৬০ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৫৩.৬৪ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৭৯.৭৯ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১০.৯০ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৭.৩২ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৬.৬০ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৪৪.৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

back to top