image

ঈদে রেন্ট-এ-কারের ব্যবসায় মন্দা!

রোববার, ০৯ মে ২০২১
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

আসন্ন ঈদ উপলক্ষে রাজধানী থেকে মানুষ নিজ নিজ গ্রামে ফেরার সুযোগ খুঁজছে। গাবতলী কিংবা সায়েদাবাদ টার্মিনালের মুখে জটলা পাকিয়ে থাকা মাইক্রোবাসে করে ঢাকা ছাড়ছেন অনেকেই। এসব মাইক্রোবাসের কারণে ঈদযাত্রায় রেন্ট-এ-কারের ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন এর মালিকরা।

তারা বলছেন, এর বাইরে রাস্তায় পুলিশি ঝামেলার কারণেও চাঙ্গা হওয়ার বদলে মন্দাভাব রয়েছে রেন্ট-এ-কারের ব্যবসায়।

রাজধানীর মুক্তাঙ্গন এলাকায় দেখা যায়, সারি সারি রেন্ট-এ কার দাঁড়িয়ে আছে। গাড়িচালকেরা জানান মুভমেন্ট পাস ছাড়া আমরা গাড়ি চালাতে পারছি না। পুলিশ রাস্তায় ঝামেলা করে। সব চেকপোস্টেই ঝামেলা করে। সায়েদাবাদ, গাবতলী ওখানে মাইক্রোবাস ভাড়া করে লোকজন বাড়ি যাচ্ছে। ওখানকার গাড়িতে ইচ্ছেমতো ভাড়া নিচ্ছে। বসার কথা নয়জনের, বসাচ্ছে ১২-১৩ জন। কিন্তু কোন সমস্যা হচ্ছে না। আমরা যারা লিগ্যালি চালাই, আমাদের জন্য যত নিয়ম।

এ বিষয়ে ঢাকা মাইক্রোবাস কার মালিক সমিতির ম্যানেজার জাহিদা হাসান রতন বলেন, সকালে আমরা একটা গাড়িরে হুদাই আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করছে। এখন এ ট্রিপে ড্রাইভার নেবো কী, আর আমি নেবো কী?

ওই ম্যানেজার বলেন, মুভমেন্ট পাস নিয়ে বের হওয়ার পরও আমাদের গাড়ি আটকে দেয়া হচ্ছে, জরিমানা করা হচ্ছে। এ-তো গেল রাস্তার বিষয়। এবার কিন্তু পাবলিকও নেই। গতবার এ সময়ে আমাদের এখানে গাড়ি পাওয়া যেত না। অথচ এখন দেখেন কত গাড়ি বসে আছে।

মুক্তাঙ্গনের বিপরীত দিকেও রয়েছে রেন্ট-এ-কারের ব্যবসা। সেখানকার ব্যবসাও ভালো না বলে জানালেন এর গাড়ি মালিকরা। অন্য ঈদের সময় আমাদের ব্যবসা খুব ভালো থাকে। কিন্তু এবার আমাদের ব্যবসা ভালো না। ঢাকার বাইরে গাড়ি যাইতে গেলে সমস্যার কারণে এবার ব্যবসা ভালো না।

সায়েদাবাদ, গাবতলী থেকে মাইক্রোবাসে করে লোক ঢাকা ছাড়ছে। তারা বাসের চেয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রেন্ট-এ-কার থেকে গাড়ি ভাড়া করছে না। কারণ এ গাড়িতে ১০-১২ জন যেতে পারছে। এ কারণে আমাদের ব্যবসা ভালো না।

এ বিষয়ে সিটি ক্যাব মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর খান বলেন, করোনার কারণে তো এমনিতেই আমাদের ব্যবসা খারাপ। সেসঙ্গে এখন তো ঘরে ঘরে গাড়ি। আবার উবারও রয়েছে। ফলে আমাদের ব্যবসায় টিকে থাকাটাই কঠিন।

‘অর্থ-বাণিজ্য’ : আরও খবর

সম্প্রতি