alt

অর্ধেক আসন খালি রেখে কমিউনিটি সেন্টার খোলার দাবি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : রোববার, ১৩ জুন ২০২১

করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজধানীসহ সারাদেশে বন্ধ থাকা প্রায় চার হাজার কমিউনিটি সেন্টারে প্রতিমাসে লোকসান হচ্ছে প্রায় শত কোটি টাকা। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে কমিউনিটি সেন্টার খোলার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার কনভেনশন হল ও ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ শাহ জাকির হোসেন। রোববার (১৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

জাকির হোসেন বলেন, ‘সামাজিক অনুষ্ঠান করতে ঢাকা শহরের প্রতিটি এলাকাতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে কমিউনিটি সেন্টার। এসব কমিউনিটি সেন্টারে পানচিনি, বাগদান, গায়ে হলুদ, বিয়ে, বিবাহোত্তর সংবর্ধনা, জন্মদিনসহ নানা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এসব অনুষ্ঠানে অন্দর সজ্জাসহ অনেক কাজ কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ করে থাকে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে প্রায় চার হাজার সরকারি-বেসরকারি কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশন সেন্টার আছে। গড়ে ৫০ জন করে স্থায়ী কর্মচারী ধরলে দেশে প্রায় দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে।’

সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় চার হাজার প্রতিষ্ঠানের লোকসান হচ্ছে প্রতিমাসে প্রায় শত কোটি টাকা। এর সঙ্গে ডেকোরেটরের ক্ষতির পরিমাণ আরও প্রায় ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা। কমিউনিটি সেন্টার, ডেকেরেটর, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টসহ অন্যান্য খাতের আয়হীন প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের পরিবারে নেমে এসেছে বিপর্যয়। অনেকের খাবার ক্রয় করার মতো টাকাও নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘সব মিলিয়ে এই খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২০ লাখের মতো মানুষ জড়িত। অনুষ্ঠানের আয়োজন না থাকায় জীবিকার অনিশ্চয়তায় আছেন তারা। তাদের মধ্যে যারা ফটোগ্রাফি, সাজসজ্জা, লজিস্টিক সেবা দেন, ফুল সরবরাহ করেন, বোর্ড মিস্ত্রি, ডেকোরেশন ও ক্লিনিং কাজসহ বিভিন্ন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, তারা সবাই এখন বেকার হয়ে পড়েছেন। মহা বিপাকে পড়েছেন কমিউনিটি সেন্টার ব্যবসায়ীরা। বন্ধ হয়ে গেছে তাদের আয়-রোজগার। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। বছরজুড়ে বুকিং দেয়া সব ধরনের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ এই ক্ষতির বোঝা সামলে ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব ও চ্যালেঞ্জিং।’

কমিউনিটি সেন্টার খোলার দাবি জানিয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘একেকটি কমিউনিটি সেন্টার কমপক্ষে পাঁচ থেকে ৩০ হাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে নির্মিত। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১০০ বা ২০০ লোকের অনুষ্ঠান করা মোটেই অসম্ভব নয়। একটি হোটেলে এক হাজার থেকে দুই হাজার বর্গফুট জায়গার মধ্যে যেখানে ১০০ বা ২০০ লোকের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, সেখানে একটি কমিউনিটি সেন্টারের বিশাল ও সু-পরিসর জায়গায় এই সংখ্যক লোকের খাওয়ার ব্যবস্থা করা আরও সহজ ও স্বাস্থ্যসম্মত। এ অবস্থায় মানবিক কারণে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠান করার সুযোগ দেয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার কনভেনশন হল ও ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, চট্টগ্রাম কমিউনিটি সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মো. সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।

ছবি

বাংলাদেশে তুলা রপ্তানিতে জটিলতার সমাধান চান যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা

ছবি

টানা তিন মাস কমলো দেশের পণ্য রপ্তানি

ছবি

শেয়ারবাজারে দরপতন চলছেই

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে চায় ১২ প্রতিষ্ঠান

ছবি

নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর সমন্বয় ছাড়া আর্থিক খাতের সংস্কার টেকসই হবে না, আলোচনায় বক্তারা

ছবি

বে টার্মিনাল চালু হলে আমদানি-রপ্তানি খাতে নতুন যুগের সূচনা হবে: বন্দর চেয়ারম্যান

ছবি

সূচকের পতনে দাম কমল ৩০০ কোম্পানির

ছবি

বিদেশী ঋণের ১৯০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে সামিট মেঘনাঘাট

ছবি

বাজুসের নতুন সভাপতি এনামুল

ছবি

পরপর দুই মাস রেমিট্যান্স এসেছে আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংকের আবেদন করেছে আকিজ রিসোর্স

ছবি

তিন দিনের পর্যটন মেলায় ৪০ কোটি টাকার ব্যবসা

ছবি

বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে সোয়াপ করে টাকা তোলা যাবে

ছবি

বিটিআরসির প্রস্তাবিত নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে ইন্টারনেটের দাম বাড়বে: আইএসপিএবি

ছবি

বাজারে রেসি ব্র্যান্ডের হাই ক্যাপাসিটি পাওয়ার ব্যাংক

ছবি

মৌসুমের দ্বিতীয় দিনেও সেন্ট মার্টিনে পর্যটকের উপস্থিতি নেই, হতাশ ব্যবসায়ীরা

ছবি

চালু হলো এমএফএস ও ব্যাংক আন্তলেনদেন

ছবি

ডিএসইতে অধিকাংশ শেয়ারে দরপতন, লেনদেন ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে বার্থ-শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর নিয়োগ ৩ মাস স্থগিত

ছবি

‘বিডাকে দ্রুত পরিবর্তিত বিনিয়োগ পরিবেশের সঙ্গে তাল মেলাতে হবে’

ছবি

জুলাই-সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া

ছবি

বিশ্বের প্রথম ৫ লাখ কোটি ডলারের কোম্পানি এনভিডিয়া

ছবি

নিষেধাজ্ঞা উঠলেও নভেম্বরে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে না জাহাজ

ছবি

শেয়ারবাজারে বাজার মূলধন হারালো প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা

ছবি

এসএমই খাতকে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিতে রূপান্তরের উদ্যোগ

ছবি

৩০ নভেম্বরের মধ্যে করদাতাদের ই-রিটার্ন জমা দিতে হবে: এনবিআর

ছবি

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন: ২০২৬ সালে বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম আরও ৭ শতাংশ কমতে পারে

ছবি

সরকারি মালিকানার ব্যাংকের পরিচালকদের কাজের বছরভিত্তিক মূল্যায়ন করা হবে

ছবি

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করি না: লুৎফে সিদ্দিকী

ছবি

চলতি কর বছরে ই-রিটার্ন ১০ লাখ ছাড়িয়েছে

ছবি

খেলাপির প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করায় সন্তোষ প্রকাশ আইএমএফের

ছবি

বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপাল গেল ১ হাজার ৪০৭ টন আলু

ছবি

বিদেশি ঋণ পাওয়ার চেয়ে পরিশোধই বেশি

ছবি

বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনা করছে আইএমএফ

ছবি

প্রাইম ব্যাংকের নিট মুনাফা বেড়েছে ২৭ শতাংশ

ছবি

সঞ্চয়পত্র জালিয়াতি তদন্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠন

tab

অর্ধেক আসন খালি রেখে কমিউনিটি সেন্টার খোলার দাবি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রোববার, ১৩ জুন ২০২১

করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজধানীসহ সারাদেশে বন্ধ থাকা প্রায় চার হাজার কমিউনিটি সেন্টারে প্রতিমাসে লোকসান হচ্ছে প্রায় শত কোটি টাকা। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে কমিউনিটি সেন্টার খোলার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার কনভেনশন হল ও ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ শাহ জাকির হোসেন। রোববার (১৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

জাকির হোসেন বলেন, ‘সামাজিক অনুষ্ঠান করতে ঢাকা শহরের প্রতিটি এলাকাতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে কমিউনিটি সেন্টার। এসব কমিউনিটি সেন্টারে পানচিনি, বাগদান, গায়ে হলুদ, বিয়ে, বিবাহোত্তর সংবর্ধনা, জন্মদিনসহ নানা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এসব অনুষ্ঠানে অন্দর সজ্জাসহ অনেক কাজ কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ করে থাকে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে প্রায় চার হাজার সরকারি-বেসরকারি কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশন সেন্টার আছে। গড়ে ৫০ জন করে স্থায়ী কর্মচারী ধরলে দেশে প্রায় দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে।’

সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় চার হাজার প্রতিষ্ঠানের লোকসান হচ্ছে প্রতিমাসে প্রায় শত কোটি টাকা। এর সঙ্গে ডেকোরেটরের ক্ষতির পরিমাণ আরও প্রায় ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা। কমিউনিটি সেন্টার, ডেকেরেটর, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টসহ অন্যান্য খাতের আয়হীন প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের পরিবারে নেমে এসেছে বিপর্যয়। অনেকের খাবার ক্রয় করার মতো টাকাও নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘সব মিলিয়ে এই খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২০ লাখের মতো মানুষ জড়িত। অনুষ্ঠানের আয়োজন না থাকায় জীবিকার অনিশ্চয়তায় আছেন তারা। তাদের মধ্যে যারা ফটোগ্রাফি, সাজসজ্জা, লজিস্টিক সেবা দেন, ফুল সরবরাহ করেন, বোর্ড মিস্ত্রি, ডেকোরেশন ও ক্লিনিং কাজসহ বিভিন্ন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, তারা সবাই এখন বেকার হয়ে পড়েছেন। মহা বিপাকে পড়েছেন কমিউনিটি সেন্টার ব্যবসায়ীরা। বন্ধ হয়ে গেছে তাদের আয়-রোজগার। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। বছরজুড়ে বুকিং দেয়া সব ধরনের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ এই ক্ষতির বোঝা সামলে ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব ও চ্যালেঞ্জিং।’

কমিউনিটি সেন্টার খোলার দাবি জানিয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘একেকটি কমিউনিটি সেন্টার কমপক্ষে পাঁচ থেকে ৩০ হাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে নির্মিত। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১০০ বা ২০০ লোকের অনুষ্ঠান করা মোটেই অসম্ভব নয়। একটি হোটেলে এক হাজার থেকে দুই হাজার বর্গফুট জায়গার মধ্যে যেখানে ১০০ বা ২০০ লোকের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, সেখানে একটি কমিউনিটি সেন্টারের বিশাল ও সু-পরিসর জায়গায় এই সংখ্যক লোকের খাওয়ার ব্যবস্থা করা আরও সহজ ও স্বাস্থ্যসম্মত। এ অবস্থায় মানবিক কারণে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠান করার সুযোগ দেয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার কনভেনশন হল ও ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, চট্টগ্রাম কমিউনিটি সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মো. সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।

back to top