image

৩১১ উদ্যোক্তা নিয়ে এসএমই পণ্যমেলা শুরু

রোববার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২১
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

এসএমই ফাউন্ডেশনে আয়োজনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্দ্যোক্তাদের পণ্য নিয়ে শুরু হয়েছে ‘নবম জাতীয় এমএমই পণ্যমেলা ২০১২।’ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে, ৩১১ উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে শুরু এসএমই পণ্যমেলা। রোববার (৫ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। তিনি গণভবন থেকে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ন।

এবারের মেলায় সারাদেশ থেকে ৩১১টি এসএমই উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। তারা ৩২৫টি স্টলে নিজেদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করছে। উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী ও ৪০ শতাংশ পুরুষ উদ্যোক্তা রয়েছেন। মেলা আয়োজনের উদ্দেশ্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা কর্তৃক উৎপাদিত পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিক্রয় এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ; এসএমই উদ্যোক্তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, যোগাযোগ এবং সেতুবন্ধন তৈরিতে সহায়তা; এসএমই উদ্যোক্তা ও ভোক্তাদের মাঝে পারস্পরিক সংযোগ স্থাপন এবং পণ্য উৎপাদন ও সেবা সৃষ্টির ক্ষেত্রে ভোক্তাসহ বিভিন্ন মহলের সৃজনশীল মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ।

সভাপতির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নরুল মজিদ মো. হুমায়ূন বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির রক্ত সঞ্চালন করেন এসএমই উদ্যোক্তারা। তাই এ খাতকে এগিয়ে নিতে প্রশিক্ষণসহ নানা ধরনের নীতিসহায়তা দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে।’

এ জন্য সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘এসএমইর মাধ্যমে দেশের বিপুল কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতিকে গতিশীল করা সম্ভব। উদ্যোক্তাবান্ধব শিল্পায়নের ফলে নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। এ জন্য রপ্তানিপণ্য বহুমুখী করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, নারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরিতে এসএমই ফাউন্ডেশন কাজ করছে। এই মেলায় ৩০০ প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা।’

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল সব দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। শিল্প খাতে স্বল্প বিনিয়োগ, কম খরচে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মানবসম্পদের দ্রুত উন্নয়নের সুযোগ এবং কৃষি ও শিল্পের মধ্যে সেতুবন্ধন- এইসব বিশেষত্বের কারণে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম।’

বরাবরের মতোই এ মেলার বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে, কোন বিদেশি পণ্য এ মেলায় প্রদর্শন কিংবা বিক্রি করা হচ্ছে না। দেশীয় পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয়ের পাশাপাশি এ মেলায় ক্রেতা ও বিক্রেতা মিটিং বুথ, রক্তদান কর্মসূচি, মিডিয়া সেন্টারসহ অনলাইন পণ্য মার্কেটিং বিষয়ক স্টল থাকছে না। এছাড়া সরকারি সংস্থা বিসিক, বিএসইসি, বিসিআইসি, বিটাক ও বিএসটিআইয়ের পাশাপাশি স্পন্সর ব্র্যাক, অগ্রণী ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকের স্টল থাকছে।

মেলায় দেশে উৎপাদিত লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, প্লাস্টিক পণ্য, আইটি পণ্য, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত সামগ্রী, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হারবাল বা অর্গানিক পণ্য, হ্যান্ডিক্রাফট, ফ্যাশন ডিজাইন, জুয়েলারি আইটেমসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের স্বদেশী পণ্য প্রদর্শিত ও বিক্রয় হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিশেষ অতিথি শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন জাতীয় এসএমই পুরস্কার ২০২১ বিজয়ী চার উদ্যোক্তার হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেন। জানা গেছে, বিগত আটটি জাতীয় এসএমই মেলায় এক হাজার ৫৬১ জন উদ্যোক্তা প্রায় ২১ কোটি ৮৮ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি, ৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার অর্ডার পেয়েছেন।

‘অর্থ-বাণিজ্য’ : আরও খবর

সম্প্রতি