alt

করোনা মোকাবিলায় সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২

বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সমস্যা মোলাকাবেলার জন্য অন্য দেশের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এবং এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ এবং ডব্লিউটিও’র সহযোগিতা অব্যাহত রাখা একান্ত প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী (২০২৬ সালের পরও) ইউরোপীয় ইউনিয়নের এভ্রিথিং বাট আর্মস স্কিমের আওতায় বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখা, ফার্মাসিটিক্যাল পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে এলডিসিভুক্ত দেশের বাণিজ্য সুবিধা অব্যাত রাখা, নামমাত্র সুদে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তা প্রাদান এবং উন্নত দেশের বাণিজ্য ও টেকনিক্যাল সহযোগিতা অব্যাহত রাখা একান্ত প্রয়োজন।’

সোমবার রাতে (২৪ জানুয়ারি) ভার্চুয়ালি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ এবং ডব্লিউটিও আয়োজিত ‘দ্য রোল অব ট্রেড ইন ডেভেলপিং কান্ট্রিজ, রোড টু রিকোভারি’ শীর্ষক জয়েন্ট পলিসি নোট তৈরির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি এবং প্যানেলিস্ট হিসেবে আলোচনায় অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

টিপু মনুশি বলেন, ‘জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ গত ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার সুপারিশ অনুমোদন করেছে। ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশকে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। বিশ্বমহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সরকার যথাসময়ে প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হচ্ছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সতের কোটি মানুষের বাংলাদেশের সামনে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কর্মসংস্থানের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত একদশকে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২১ সালে বাংলাদেশের গড় অর্থনৈতিক গ্রোথ ছিল ৬.৩ ভাগ। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কমে আসলেও আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরে তা ৭.২ ভাগে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের মানুষের বর্তমান মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। দেশের অর্থনীতির আকার এখন প্রায় ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ রফতানি বাণিজ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপিয়ন ইউনিয়নসহ উন্নত বিশ্বের বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহায়তা বাংলাদেশকে উৎসাহিত করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখা খুবই প্রয়োজন।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘বিশ্ববাজারের চাহিদার ৬.৫ ভাগ তৈরি পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ। এখন দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। প্রথম অবস্থানে রয়েছে চীন। দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার উন্নত ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকবান্ধব ও নিরাপদ পরিবেশে ৪০ লাখ মানুষ কাজ করছে, এর ৬০ ভাগই নারী। বাংলাদেশের রফতানি প্রায় ৮১ ভাগ আসে তৈরী পোশাক খাত থেকে।

বাংলাদেশের রফতানি পণ্য বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে মেডিক্যাল পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্য, প্লাস্টিক, হোম টেক্সটাইল এবং তথ্য প্রযুক্তি অন্যতম। বাংলাদেশ সরকার এসব খাতের রফতানি বৃদ্ধি করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ সব সেক্টর প্রসার লাভ করলে দেশের রফতানি আয় বাড়বে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত হবে। দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়ে বাংলাদেশ যেকোনও সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম। এ জন্য প্রয়োজন উন্নত বিশ্বের আন্তরিক সহযোগিতা।’

ছবি

টানা পতনে ১৭ হাজার কোটি টাকা মূলধন হারালো শেয়ারবাজার

ছবি

এ বছর বিশ্ববাজারে চালের দাম কমেছে ১৪ শতাংশ

ছবি

৫ হাজার কোটি টাকা চেয়ে ১ হাজার কোটি পাচ্ছে আইসিবি

ছবি

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান হলেন কায়সার আলম

ছবি

ক্লাইমেট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সিটি ব্যাংক

ছবি

দুই মাস বন্ধ থাকার পর টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ছবি

রিয়েলমি সি৮৫ প্রো’র সেল শুরু

ছবি

বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কমেছে

ছবি

আইএমএফ থেকে পরের কিস্তি পাওয়ার আলোচনা হবে নতুন সরকারের সঙ্গে

ছবি

পাঁচ ব্যাংক নয়, সরকারের টাকা পাবে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’

ছবি

খেলাপি হার ২০ শতাংশ হলেও তহবিল পরিচালনায় যোগ্য হবে ব্যাংক

ছবি

এবার স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়লো ৫ হাজার টাকা

ছবি

সার ডিলার নিয়োগ ও বিতরণ নীতিমালা অনুমোদন

ছবি

ঠিকায় কাজ করা পোশাক কারখানাও প্রণোদনা পাবে

ছবি

রমজান-নির্বাচন উপলক্ষে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর তাগিদ

ছবি

বাকিতে আমদানি করা যাবে রোজার পণ্য

ছবি

সুমিটোমো থার্ড টার্মিনালের অপারেশনস-মেইটেনেন্স কাজ করতে আগ্রহী জাপান

ছবি

চলমান গ্যাস সংকট কমাতে দীর্ঘ পরিকল্পনা পেট্রোবাংলার

ছবি

প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটনের মুনাফায় ৪৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

ছবি

সয়াবিন তেল ও চিনি কিনছে সরকার

ছবি

১৬৪ টাকায় সয়াবিন তেল, ৯৪ টাকায় চিনি কিনবে সরকার

ছবি

ভারতে মূল্যস্ফীতি শূন্যের কাছাকাছি

ছবি

সিএমএসএমইর তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ল

ছবি

সরকারের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ, অর্থবিভাগ-এর সাথে সর্বজনীন পেনশন স্কিমসমুহে রেজিস্ট্রেশন

ছবি

মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা নিয়ে গেজেট, থাকছে না মেয়াদি ফান্ড

ছবি

মেট্রোরেল প্রকল্প বাতিল হয়নি, ব্যয় কমানোর চেষ্টা চলছে: ডিএমটিসিএল এমডি

ছবি

পাঁচ ব্যাংকের অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে চিঠি

ছবি

নতুন পে-স্কেলের ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে যাবে বর্তমান সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

চট্টগ্রামে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল: ৩০ বছর চালাবে ডেনমার্কের কোম্পানি

ছবি

পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহকদের আমানত নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ প্রশাসকদের

ছবি

বৃহস্পতিবার দোকান ও বিপণিবিতান খোলা রাখার ঘোষণা ব্যবসায়ীদের

ছবি

চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চান ব্যবসায়ীরা

ছবি

তিন শতাধিক শেয়ারের দরপতনে তলানিতে লেনদেন শেয়ারবাজারে

ছবি

পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার ‘শূন্য’ ঘোষণা একতরফা সিদ্ধান্ত: বিএমবিএ

ছবি

সাবেক এমপিদের ৩১ বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দিল এনবিআর

ছবি

তরূণদের অংশগ্রহনে নারায়ণগঞ্জে উদ্যোক্তা সম্মেলন হলো

tab

করোনা মোকাবিলায় সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২

বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সমস্যা মোলাকাবেলার জন্য অন্য দেশের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এবং এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ এবং ডব্লিউটিও’র সহযোগিতা অব্যাহত রাখা একান্ত প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী (২০২৬ সালের পরও) ইউরোপীয় ইউনিয়নের এভ্রিথিং বাট আর্মস স্কিমের আওতায় বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখা, ফার্মাসিটিক্যাল পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে এলডিসিভুক্ত দেশের বাণিজ্য সুবিধা অব্যাত রাখা, নামমাত্র সুদে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তা প্রাদান এবং উন্নত দেশের বাণিজ্য ও টেকনিক্যাল সহযোগিতা অব্যাহত রাখা একান্ত প্রয়োজন।’

সোমবার রাতে (২৪ জানুয়ারি) ভার্চুয়ালি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ এবং ডব্লিউটিও আয়োজিত ‘দ্য রোল অব ট্রেড ইন ডেভেলপিং কান্ট্রিজ, রোড টু রিকোভারি’ শীর্ষক জয়েন্ট পলিসি নোট তৈরির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি এবং প্যানেলিস্ট হিসেবে আলোচনায় অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

টিপু মনুশি বলেন, ‘জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ গত ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার সুপারিশ অনুমোদন করেছে। ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশকে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। বিশ্বমহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সরকার যথাসময়ে প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হচ্ছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সতের কোটি মানুষের বাংলাদেশের সামনে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কর্মসংস্থানের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত একদশকে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২১ সালে বাংলাদেশের গড় অর্থনৈতিক গ্রোথ ছিল ৬.৩ ভাগ। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কমে আসলেও আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরে তা ৭.২ ভাগে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের মানুষের বর্তমান মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। দেশের অর্থনীতির আকার এখন প্রায় ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ রফতানি বাণিজ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপিয়ন ইউনিয়নসহ উন্নত বিশ্বের বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহায়তা বাংলাদেশকে উৎসাহিত করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখা খুবই প্রয়োজন।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘বিশ্ববাজারের চাহিদার ৬.৫ ভাগ তৈরি পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ। এখন দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। প্রথম অবস্থানে রয়েছে চীন। দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার উন্নত ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকবান্ধব ও নিরাপদ পরিবেশে ৪০ লাখ মানুষ কাজ করছে, এর ৬০ ভাগই নারী। বাংলাদেশের রফতানি প্রায় ৮১ ভাগ আসে তৈরী পোশাক খাত থেকে।

বাংলাদেশের রফতানি পণ্য বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে মেডিক্যাল পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্য, প্লাস্টিক, হোম টেক্সটাইল এবং তথ্য প্রযুক্তি অন্যতম। বাংলাদেশ সরকার এসব খাতের রফতানি বৃদ্ধি করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ সব সেক্টর প্রসার লাভ করলে দেশের রফতানি আয় বাড়বে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত হবে। দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়ে বাংলাদেশ যেকোনও সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম। এ জন্য প্রয়োজন উন্নত বিশ্বের আন্তরিক সহযোগিতা।’

back to top