alt

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে ব্যয় কমানোর আহ্বান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক: : মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

সিন্ডিকেটে আটকে অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে বিদেশগমনে ইচ্ছুকরা। এতে বিদেশগামী কর্মী এবং দেশের আর্থিক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। এজন্য জাতীয় স্বার্থে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কোনো ধরনের সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় না দিয়ে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে শ্রমিক পাঠানোর দাবি জানিয়েছে বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোট। জোটের দাবি, জাতীয় স্বার্থে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কোনো ধরনের সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় না দিয়ে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে শ্রমিক পাঠানোর। সেই সাথে অন্যান্য দেশের মতো বৈধ এজেন্সির মাধ্যমে কম অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী পাঠানোর অনুরোধ জানান বায়রা নেতারা।

মঙ্গলবার (১০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান বায়রা নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বায়রার সাবেক সভাপতি মােহাম্মদ আবুল বাসার, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি আবুল বারাকাত ভূঁইয়া, সাবেক অর্থসচিব মােহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদ সভাপতি টিপু সুলতান, বায়রা গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্টের সভাপতি মুজিবর রহমান প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বায়রার সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ১০টি বাংলাদেশি রিক্রুটিং লাইসেন্স নিয়ে গঠিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি পাঠানো শুরু হয়। এরপর ২০১৮ সালে অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযােগে তৎকালীন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের দায়িত্বভার নেওয়ার পরই ২০১৬-২০১৮ চুক্তি অনুযায়ী পাঁচ বছরে ১৫ লাখ কর্মী মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা থাকলেও শেষপর্যন্ত ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে দুই লাখ ৭৫ হাজার কর্মী পাঠানো হয়। এরপর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। সে সময় এ সিন্ডিকেটের দ্বারা নিয়ােগ করা প্রায় লক্ষাধিক কর্মীর মালয়েশিয়া যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এতে বিদেশগামী কর্মী এবং দেশের আর্থিক ক্ষতিসাধন হয়।

তিনি বলেন, অভিবাসন প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ও মর্যাদাপূর্ণ হওয়া উচিত। দু’দেশের মধ্যে আলােচনা সাপেক্ষে কর্মীর স্বার্থরক্ষা করে এমন একটি স্বচ্ছ সিস্টেমের মাধ্যমে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে পুনরায় মালয়েশিয়া শ্রমবাজারটি উন্মুক্ত করা হোক। সিন্ডিকেট প্রথা বাতিল করে অতিসত্বর মালয়েশিয়া শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বায়রার সব সম্মানিত সদস্য ও বিদেশগামী কর্মী ভাইদের পক্ষ থেকে জোরদাবি জানাচ্ছি।

২০১৬-২০১৮ সময়ে ১০ লাইসেন্স সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর কারণে কর্মীদের অভিবাসন ব্যয়, মেডিকেলসহ অন্যান্য বিষয়ে যে ভােগান্তির শিকার হয়েছিলেন তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে ১০ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাঠানো কর্মীদের ভােগান্তির কথা প্রচার করা হয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৩৫ হাজার টাকায় কর্মী পাঠানোর কথা থাকলেও তার পরিবর্তে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি কর্মীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে।

এসময় নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী পাঠানোর অঙ্গীকার করে নোমান বলেন, আমরা রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা অঙ্গীকার করছি, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী পাঠাবো। এ ব্যাপারে কোনো ব্যত্যয় বা অনিয়ম হলে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে। আমরা আরও অঙ্গীকারবদ্ধ যে, প্রধানমন্ত্রীর ঘােষিত প্রত্যেক উপজেলা থেকে ন্যূনপক্ষে এক হাজার কর্মী পাঠাতে বাধ্য থাকবো।

অবৈধ ও অনৈতিক তথাকথিত ২৫ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে নোমান বলেন, সবাই মিলে এ অবৈধ ও অনৈতিক তথাকথিত ২৫ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিরােধ গড়ে তুলতে হবে। এ তথাকথিত সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের কারণে গতবছরের ১৯ ডিসেম্বর সমঝােতা সই হওয়ার পরও গত পাঁচ মাস ধরে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী পাঠানো যায়নি। তথাকথিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোয় মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে অন্য ১৩টি সোর্স কান্ট্রির মতো কর্মী পাঠানো বাধা দিয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

পরে বায়রা নেতারা বলেন, দেশের তিন হাজার রিক্রুটিং এজেন্সি যদি অভিবাসন নিয়ে কাজ করে অভিবাসন ব্যয় বাড়ার সুযোগ নেই। টিকিট কর্মী পাঠানো ও এমপ্লয়ি দুজনকেই বাধাগ্রস্ত করে। আমরা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার অবশ্যই উন্মুক্ত দেখতে চাই। তবে কর্মী পাঠানোর সিন্ডিকেটমুক্ত অবশ্যই হওয়া উচিত।

ছবি

২ শতাংশ অর্থ জমা দিয়ে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ

ছবি

অধিকাংশ শেয়ারের দরপতন, সামান্য বেড়েছে লেনদেন

ছবি

অক্টোবরে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতি জাতিসংঘকে জানাতে হবে

ছবি

শ্রমিকের পাওনা পরিশোধে নাসা গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্ত

ছবি

একনেকে ৮৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি

ঢাকায় নিরাপত্তা প্রযুক্তির সর্বশেষ উদ্ভাবন নিয়ে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

ছবি

পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র মেজবাউল

ছবি

প্রথম চালানে ভারতে গেল সাড়ে ৩৭ টন ইলিশ

ছবি

তাপমাত্রা বাড়ায় বাংলাদেশের ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা: বিশ্বব্যাংক

ছবি

পাঁচ বেসরকারি শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করার প্রথম ধাপে প্রশাসক বসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পেছানোর বিরোধিতা করছে

ছবি

শেয়ারবাজারে লেনদেন নামলো ৬শ’ কোটি টাকার ঘরে

ছবি

ব্যবসা মাঝে মন্থর ছিল, এখন একটু ভালো: অর্থ উপদেষ্টা.

ছবি

অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরে আশাবাদী জাপানি রাষ্ট্রদূত

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সভা: একীভূত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক, বসছে প্রশাসক

ছবি

বিজিএমইএ–মার্কিন প্রতিনিধিদল বৈঠক: শুল্ক কমাতে আহ্বান

ছবি

জুলাই-আগস্টে এডিপি বাস্তবায়ন ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ

ছবি

বিবিএসের নাম পরিবর্তন ও তদারক পরিষদ রাখার সুপারিশ

ছবি

শ্রম আইন সংশোধন দ্রুত শেষ করার তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের

ছবি

নগদ অর্থের ব্যবহার কমাতে আসছে একীভূত পেমেন্ট সিস্টেম: গভর্নর

ছবি

আড়াই মাসে ১৩৯ কোটি ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে আবেদনের সময় বাড়লো ২ নভেম্বর পর্যন্ত

ছবি

পুঁজিবাজারে সূচকের নামমাত্র উত্থান, লেনদেন আরও তলানিতে

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে গড়ে খরচ বাড়লো ৪১ শতাংশ

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে লেনোভো ভি সিরিজের নতুন ল্যাপটপ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরও কমতে পারে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

বাজারে গিগাবাইট এআই টপ ১০০ জেড৮৯০ পিসি

ছবি

কর্মসংস্থানের জরুরি পরিস্থিতি’ তৈরি হয়েছে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় পতন, এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

ছবি

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমার সফটওয়্যার চালু করলো এনবিআর

ছবি

ট্রাস্ট ব্যাংকের এটিএম ও ডেবিট কার্ডসেবা সাময়িক বন্ধ থাকবে

ছবি

বেপজার ইপিজেডগুলোতে শ্রমিকদের দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ প্রদান শুরু

ছবি

বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিসে আরও ৫ সেবা যুক্ত

ছবি

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পেছাতে ব্যবসায়ীদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান

ছবি

আড়াইগুণ প্রতিষ্ঠানের দরপতনে বাজার মূলধন কমলো ৩ হাজার কোটি টাকা

ছবি

পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে রোববার ঢাকায় আসছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল

tab

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে ব্যয় কমানোর আহ্বান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক:

মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

সিন্ডিকেটে আটকে অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে বিদেশগমনে ইচ্ছুকরা। এতে বিদেশগামী কর্মী এবং দেশের আর্থিক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। এজন্য জাতীয় স্বার্থে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কোনো ধরনের সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় না দিয়ে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে শ্রমিক পাঠানোর দাবি জানিয়েছে বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোট। জোটের দাবি, জাতীয় স্বার্থে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কোনো ধরনের সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় না দিয়ে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে শ্রমিক পাঠানোর। সেই সাথে অন্যান্য দেশের মতো বৈধ এজেন্সির মাধ্যমে কম অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী পাঠানোর অনুরোধ জানান বায়রা নেতারা।

মঙ্গলবার (১০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান বায়রা নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বায়রার সাবেক সভাপতি মােহাম্মদ আবুল বাসার, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি আবুল বারাকাত ভূঁইয়া, সাবেক অর্থসচিব মােহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদ সভাপতি টিপু সুলতান, বায়রা গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্টের সভাপতি মুজিবর রহমান প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বায়রার সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ১০টি বাংলাদেশি রিক্রুটিং লাইসেন্স নিয়ে গঠিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি পাঠানো শুরু হয়। এরপর ২০১৮ সালে অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযােগে তৎকালীন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের দায়িত্বভার নেওয়ার পরই ২০১৬-২০১৮ চুক্তি অনুযায়ী পাঁচ বছরে ১৫ লাখ কর্মী মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা থাকলেও শেষপর্যন্ত ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে দুই লাখ ৭৫ হাজার কর্মী পাঠানো হয়। এরপর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। সে সময় এ সিন্ডিকেটের দ্বারা নিয়ােগ করা প্রায় লক্ষাধিক কর্মীর মালয়েশিয়া যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এতে বিদেশগামী কর্মী এবং দেশের আর্থিক ক্ষতিসাধন হয়।

তিনি বলেন, অভিবাসন প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ও মর্যাদাপূর্ণ হওয়া উচিত। দু’দেশের মধ্যে আলােচনা সাপেক্ষে কর্মীর স্বার্থরক্ষা করে এমন একটি স্বচ্ছ সিস্টেমের মাধ্যমে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে পুনরায় মালয়েশিয়া শ্রমবাজারটি উন্মুক্ত করা হোক। সিন্ডিকেট প্রথা বাতিল করে অতিসত্বর মালয়েশিয়া শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বায়রার সব সম্মানিত সদস্য ও বিদেশগামী কর্মী ভাইদের পক্ষ থেকে জোরদাবি জানাচ্ছি।

২০১৬-২০১৮ সময়ে ১০ লাইসেন্স সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর কারণে কর্মীদের অভিবাসন ব্যয়, মেডিকেলসহ অন্যান্য বিষয়ে যে ভােগান্তির শিকার হয়েছিলেন তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে ১০ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাঠানো কর্মীদের ভােগান্তির কথা প্রচার করা হয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৩৫ হাজার টাকায় কর্মী পাঠানোর কথা থাকলেও তার পরিবর্তে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি কর্মীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে।

এসময় নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী পাঠানোর অঙ্গীকার করে নোমান বলেন, আমরা রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা অঙ্গীকার করছি, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী পাঠাবো। এ ব্যাপারে কোনো ব্যত্যয় বা অনিয়ম হলে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে। আমরা আরও অঙ্গীকারবদ্ধ যে, প্রধানমন্ত্রীর ঘােষিত প্রত্যেক উপজেলা থেকে ন্যূনপক্ষে এক হাজার কর্মী পাঠাতে বাধ্য থাকবো।

অবৈধ ও অনৈতিক তথাকথিত ২৫ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে নোমান বলেন, সবাই মিলে এ অবৈধ ও অনৈতিক তথাকথিত ২৫ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিরােধ গড়ে তুলতে হবে। এ তথাকথিত সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের কারণে গতবছরের ১৯ ডিসেম্বর সমঝােতা সই হওয়ার পরও গত পাঁচ মাস ধরে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী পাঠানো যায়নি। তথাকথিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোয় মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে অন্য ১৩টি সোর্স কান্ট্রির মতো কর্মী পাঠানো বাধা দিয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

পরে বায়রা নেতারা বলেন, দেশের তিন হাজার রিক্রুটিং এজেন্সি যদি অভিবাসন নিয়ে কাজ করে অভিবাসন ব্যয় বাড়ার সুযোগ নেই। টিকিট কর্মী পাঠানো ও এমপ্লয়ি দুজনকেই বাধাগ্রস্ত করে। আমরা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার অবশ্যই উন্মুক্ত দেখতে চাই। তবে কর্মী পাঠানোর সিন্ডিকেটমুক্ত অবশ্যই হওয়া উচিত।

back to top