alt

তামাকপণ্যে কর বৃদ্ধির সুপারিশ ৯৭ এমপির

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ এর উদ্যোগে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের চূড়ান্ত বাজেটে অর্থমন্ত্রীর নিকট তামাকপণ্যে যুক্তিযুক্ত কর ও মূল্যবৃদ্ধির সুপারিশ জানিয়েছেন ৯৭ জন সংসদ সদস্য। তারা বলছেন, এই দাবি বাস্তবায়িত হলে বাড়তি রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি অসংখ্যা মানুষকে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো এবং তামাকের ব্যবহার থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।

মঙ্গলবার (২১ জুন) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে সাক্ষাত করে তার নিকট সংসদ সদস্যদের স্বাক্ষরিত চিঠি (ডিও লেটার) হস্তান্তর করেন পার্লামেন্টারি ফোরামের সাচিবিক সংস্থা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং পরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।

এসময় আবু হেনা রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘তামাকপণ্যে কর বৃদ্ধির বিষয়টি এখন সংসদ সদস্যদের এখতিয়ার এবং বিবেচনাধীন রয়েছে। তারা সংসদ অধিবেশনে এ বিষয়টি উত্থাপন করার মাধ্যমে সুপারিশ করলে অর্থ মন্ত্রণালয় ও আমাদের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) সমন্বয় করে এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।’

চিঠিতে সংসদ সদস্যরা তামাকপণ্যের মূল্যস্তর চারটি থেকে দুটিতে নামিয়ে আনার সুপারিশ করেন। তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- সকল সিগারেট ব্রান্ডে অভিন্ন করভারসহ (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬৫%) মূল্যস্তরভিত্তিক সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ (সম্পূরক) শুল্ক প্রচলন করে নিম্ন স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৫০ টাকা, মধ্যম স্তরে ৭৩ টাকা, উচ্চ স্তরে ১২০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৫২ টাকা নির্ধারণ করা।

এছাড়া ফিল্টারযুক্ত ও ফিল্টারবিহীন বিড়িতে অভিন্ন করভারসহ (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৪৫%) সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ (সম্পূরক) শুল্ক প্রচলন করা ও জর্দা এবং গুলের কর ও দাম বৃদ্ধিসহ সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ শুল্ক (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬০%) প্রচলন করা।

চিঠিতে বলা হয়, উল্লেখিত প্রস্তাব ও সুপারিশসমূহ বাস্তবায়িত হলে এসডিজির টার্গেট ৩.৪ অর্জনে- ‘২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগে মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনা’র জন্য এই বাড়তি রাজস্ব ব্যয় করা যাবে। নিম্ন স্তরের সিগারেটের মূল্য বেশি বাড়ালে নিম্ন আয়ের সিগারেট ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা করা যাবে। তাদের আয়ের প্রায় ২১% ব্যয় হয় তামাক পণ্যের পেছনে। এই অর্থ তামাক পণ্যের পরিবর্তে শিক্ষায় ব্যয় করলে তাদের সন্তানদের পড়ালেখার মোট ব্যয় ১১% বাড়ানো সম্ভব হবে।

২০০৯ সাল থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ব্যাপকভাবে জোরদার করা হয়েছে। সরকারের তামাকবিরোধী নানাবিধ কার্যক্রমের ফলে তামাক ব্যবহার ২০০৯ সালের তুনায় ২০১৭ সালে ১৮.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে বাংলাদেশে এখনও ৩৫.৩ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ (৩ কোটি ৭৮ লক্ষ) তামাক (ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন) ব্যবহার করেন, ধূমপান না করেও প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ বিভিন্ন পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন (গ্যাটস্ ২০১৭)। তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ২০১৭-১৮ অর্থবছওে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।

তামাকপণ্যে কর বৃদ্ধির সুপারিশে স্বাক্ষরকারী এমপিরা হলেন- অধ্যাপক ডা. আ. ফ. ম. রুহুল হক, আ, স, ম, ফিরোজ, মো. শামসুল হক টুকু, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মীর মোস্তাক আহমেদ, মো. এনামুল হক, অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, বেগম হাবিবুন নাহার, সিমিন হোসেন (রিমি), নুরুন্নবী চৌধুরী, ওমর ফারুক চৌধুরী, অ্যাড. মো. আবু জাহির, অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল আজিজ, আনোয়ারুল আবেদীন খান, কাজী নাবিল আহমেদ, তানভীর শাকিল জয়, তানভীর ইমাম, এস, এম, জগলুল হায়দার, মো. মুজিবুল হক, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. রুস্তম আলী ফরাজী, মোস্তাফা জব্বার, গোলাম কিবরিয়া টিপু, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ্, কে এম খালিদ, নাসরিন জাহান রতনা, রওশন আরা মান্নান, মোছা. খালেদা খানম, বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, মোহাম্মদ হাছান ইমাম খাঁন, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, পংকজ নাথ, জহিরুল হক ভূঞা মোহন, সামছুল আলম দুদু, মো. আক্তারুজ্জামান, আবদুল মমিন মন্ডল, বেগম মেহের আফরোজ, মো. নজরুল ইসলাম বাবু, ছোট মনির, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, মো. ছানোয়ার হোসেন, সেলিমা আহমাদ, ডা. সৈয়দা জাকিয়া নুর, আয়েশা ফেরদাউস, মো. শফিউল ইসলাম, সেখ সালাহউদ্দিন, প্রান গোপাল দত্ত, মো. শিবলী সাদিক, শাহীন আক্তার, শিরীন আহমেদ, অ্যাড. সৈয়দা রুবিনা আক্তার, জিন্নাতুল বাকিয়া, সুবর্ণা মুস্তাফা, ওয়াসিকা আয়শা খান, হাবিবা রহমান খান, নার্গিস রহমান, মোছা. শামীমা আক্তার খানম, পারভীন হক সিকদার, জাকিয়া তাবাসসুম, আদিবা আনজুম মিতা, রুমানা আলী, নাহিদ ইজাহার খান, খাদিজাতুল আনোয়ার, হোসনে আরা, আন্জুম সুলতানা, সৈয়দা রাশিদা বেগম, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, খ. মমতা হেনা লাভলী, শবনম জাহান, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, সেলিনা ইসলাম, মনিরা সুলতানা, সালমা চৌধুরী, নাদিরা ইয়াসমিন জলি, রত্না আহমেদ, নাজমা আকতার, শেরীফা কাদের, রুমিন ফারহানা, মো. আফতাব উদ্দিন সরকার, এম এ মতিন, ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল, মো. হারুনুর রশীদ, আহমেদ ফিরোজ কবির, হাসানুল হক ইনু, মো. সাইফুজ্জামান, কাজী মনিরুল ইসলাম, রাশেদ খান মেনন, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, লুৎফুন নেসা খান।

ছবি

বিজিএমইএ–মার্কিন প্রতিনিধিদল বৈঠক: শুল্ক কমাতে আহ্বান

ছবি

জুলাই-আগস্টে এডিপি বাস্তবায়ন ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ

ছবি

বিবিএসের নাম পরিবর্তন ও তদারক পরিষদ রাখার সুপারিশ

ছবি

শ্রম আইন সংশোধন দ্রুত শেষ করার তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের

ছবি

নগদ অর্থের ব্যবহার কমাতে আসছে একীভূত পেমেন্ট সিস্টেম: গভর্নর

ছবি

আড়াই মাসে ১৩৯ কোটি ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে আবেদনের সময় বাড়লো ২ নভেম্বর পর্যন্ত

ছবি

পুঁজিবাজারে সূচকের নামমাত্র উত্থান, লেনদেন আরও তলানিতে

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে গড়ে খরচ বাড়লো ৪১ শতাংশ

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে লেনোভো ভি সিরিজের নতুন ল্যাপটপ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরও কমতে পারে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

বাজারে গিগাবাইট এআই টপ ১০০ জেড৮৯০ পিসি

ছবি

কর্মসংস্থানের জরুরি পরিস্থিতি’ তৈরি হয়েছে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় পতন, এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

ছবি

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমার সফটওয়্যার চালু করলো এনবিআর

ছবি

ট্রাস্ট ব্যাংকের এটিএম ও ডেবিট কার্ডসেবা সাময়িক বন্ধ থাকবে

ছবি

বেপজার ইপিজেডগুলোতে শ্রমিকদের দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ প্রদান শুরু

ছবি

বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিসে আরও ৫ সেবা যুক্ত

ছবি

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পেছাতে ব্যবসায়ীদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান

ছবি

আড়াইগুণ প্রতিষ্ঠানের দরপতনে বাজার মূলধন কমলো ৩ হাজার কোটি টাকা

ছবি

পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে রোববার ঢাকায় আসছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল

ছবি

বাংলাদেশে ব্লুটুথ হেডফোন ও ডেটা কেবল তৈরির কারখানা করবে চীন

ছবি

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমার প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ার নিয়ম

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে অপো এ৫ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট

ছবি

নিত্যপণ্যের বাজারে সবজির সঙ্গে বেড়েছে চাল ও মুরগির দামও

ছবি

ডিসেম্বরের মধ্যে এনবিআরের কার্যক্রম দুই ভাগ হয়ে যাবে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৭ মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২২ শতাংশ

ছবি

শরিয়াহ ব্যাংকগুলোর আমানত এক মাসে বেড়েছে ৮ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা

ছবি

বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ ৩০০ শতাংশ বেড়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

সমুদ্রগামী জাহাজ আমদানিতে মূসক অব্যাহতি

ছবি

অর্থ বিভাগের পরিপত্র: ৯ মাসে ৬০ শতাংশ খরচ করতে না পারলে অর্থছাড় বন্ধ

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে মিতসুবিশি’র নতুন এক্সপ্যান্ডার ব্ল্যাক সিরিজ

ছবি

বেসিসের নতুন প্রশাসক আবুল খায়ের মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ্ খান

ছবি

দারাজ বাংলাদেশের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৯.৯ অ্যানিভার্সারি মেগা সেল

ছবি

শাওমি বাজারে নিয়ে এলো রেডমি প্যাড ২

ছবি

নভেম্বরের মধ্যেই একীভূত হবে পাঁচ ব্যাংক

tab

তামাকপণ্যে কর বৃদ্ধির সুপারিশ ৯৭ এমপির

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ এর উদ্যোগে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের চূড়ান্ত বাজেটে অর্থমন্ত্রীর নিকট তামাকপণ্যে যুক্তিযুক্ত কর ও মূল্যবৃদ্ধির সুপারিশ জানিয়েছেন ৯৭ জন সংসদ সদস্য। তারা বলছেন, এই দাবি বাস্তবায়িত হলে বাড়তি রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি অসংখ্যা মানুষকে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো এবং তামাকের ব্যবহার থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।

মঙ্গলবার (২১ জুন) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে সাক্ষাত করে তার নিকট সংসদ সদস্যদের স্বাক্ষরিত চিঠি (ডিও লেটার) হস্তান্তর করেন পার্লামেন্টারি ফোরামের সাচিবিক সংস্থা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং পরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।

এসময় আবু হেনা রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘তামাকপণ্যে কর বৃদ্ধির বিষয়টি এখন সংসদ সদস্যদের এখতিয়ার এবং বিবেচনাধীন রয়েছে। তারা সংসদ অধিবেশনে এ বিষয়টি উত্থাপন করার মাধ্যমে সুপারিশ করলে অর্থ মন্ত্রণালয় ও আমাদের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) সমন্বয় করে এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।’

চিঠিতে সংসদ সদস্যরা তামাকপণ্যের মূল্যস্তর চারটি থেকে দুটিতে নামিয়ে আনার সুপারিশ করেন। তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- সকল সিগারেট ব্রান্ডে অভিন্ন করভারসহ (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬৫%) মূল্যস্তরভিত্তিক সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ (সম্পূরক) শুল্ক প্রচলন করে নিম্ন স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৫০ টাকা, মধ্যম স্তরে ৭৩ টাকা, উচ্চ স্তরে ১২০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৫২ টাকা নির্ধারণ করা।

এছাড়া ফিল্টারযুক্ত ও ফিল্টারবিহীন বিড়িতে অভিন্ন করভারসহ (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৪৫%) সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ (সম্পূরক) শুল্ক প্রচলন করা ও জর্দা এবং গুলের কর ও দাম বৃদ্ধিসহ সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ শুল্ক (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬০%) প্রচলন করা।

চিঠিতে বলা হয়, উল্লেখিত প্রস্তাব ও সুপারিশসমূহ বাস্তবায়িত হলে এসডিজির টার্গেট ৩.৪ অর্জনে- ‘২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগে মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনা’র জন্য এই বাড়তি রাজস্ব ব্যয় করা যাবে। নিম্ন স্তরের সিগারেটের মূল্য বেশি বাড়ালে নিম্ন আয়ের সিগারেট ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা করা যাবে। তাদের আয়ের প্রায় ২১% ব্যয় হয় তামাক পণ্যের পেছনে। এই অর্থ তামাক পণ্যের পরিবর্তে শিক্ষায় ব্যয় করলে তাদের সন্তানদের পড়ালেখার মোট ব্যয় ১১% বাড়ানো সম্ভব হবে।

২০০৯ সাল থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ব্যাপকভাবে জোরদার করা হয়েছে। সরকারের তামাকবিরোধী নানাবিধ কার্যক্রমের ফলে তামাক ব্যবহার ২০০৯ সালের তুনায় ২০১৭ সালে ১৮.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে বাংলাদেশে এখনও ৩৫.৩ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ (৩ কোটি ৭৮ লক্ষ) তামাক (ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন) ব্যবহার করেন, ধূমপান না করেও প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ বিভিন্ন পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন (গ্যাটস্ ২০১৭)। তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ২০১৭-১৮ অর্থবছওে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।

তামাকপণ্যে কর বৃদ্ধির সুপারিশে স্বাক্ষরকারী এমপিরা হলেন- অধ্যাপক ডা. আ. ফ. ম. রুহুল হক, আ, স, ম, ফিরোজ, মো. শামসুল হক টুকু, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মীর মোস্তাক আহমেদ, মো. এনামুল হক, অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, বেগম হাবিবুন নাহার, সিমিন হোসেন (রিমি), নুরুন্নবী চৌধুরী, ওমর ফারুক চৌধুরী, অ্যাড. মো. আবু জাহির, অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল আজিজ, আনোয়ারুল আবেদীন খান, কাজী নাবিল আহমেদ, তানভীর শাকিল জয়, তানভীর ইমাম, এস, এম, জগলুল হায়দার, মো. মুজিবুল হক, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. রুস্তম আলী ফরাজী, মোস্তাফা জব্বার, গোলাম কিবরিয়া টিপু, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ্, কে এম খালিদ, নাসরিন জাহান রতনা, রওশন আরা মান্নান, মোছা. খালেদা খানম, বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, মোহাম্মদ হাছান ইমাম খাঁন, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, পংকজ নাথ, জহিরুল হক ভূঞা মোহন, সামছুল আলম দুদু, মো. আক্তারুজ্জামান, আবদুল মমিন মন্ডল, বেগম মেহের আফরোজ, মো. নজরুল ইসলাম বাবু, ছোট মনির, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, মো. ছানোয়ার হোসেন, সেলিমা আহমাদ, ডা. সৈয়দা জাকিয়া নুর, আয়েশা ফেরদাউস, মো. শফিউল ইসলাম, সেখ সালাহউদ্দিন, প্রান গোপাল দত্ত, মো. শিবলী সাদিক, শাহীন আক্তার, শিরীন আহমেদ, অ্যাড. সৈয়দা রুবিনা আক্তার, জিন্নাতুল বাকিয়া, সুবর্ণা মুস্তাফা, ওয়াসিকা আয়শা খান, হাবিবা রহমান খান, নার্গিস রহমান, মোছা. শামীমা আক্তার খানম, পারভীন হক সিকদার, জাকিয়া তাবাসসুম, আদিবা আনজুম মিতা, রুমানা আলী, নাহিদ ইজাহার খান, খাদিজাতুল আনোয়ার, হোসনে আরা, আন্জুম সুলতানা, সৈয়দা রাশিদা বেগম, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, খ. মমতা হেনা লাভলী, শবনম জাহান, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, সেলিনা ইসলাম, মনিরা সুলতানা, সালমা চৌধুরী, নাদিরা ইয়াসমিন জলি, রত্না আহমেদ, নাজমা আকতার, শেরীফা কাদের, রুমিন ফারহানা, মো. আফতাব উদ্দিন সরকার, এম এ মতিন, ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল, মো. হারুনুর রশীদ, আহমেদ ফিরোজ কবির, হাসানুল হক ইনু, মো. সাইফুজ্জামান, কাজী মনিরুল ইসলাম, রাশেদ খান মেনন, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, লুৎফুন নেসা খান।

back to top