alt

বন্যার কারণে নিত্যপণ্য ও সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী বিপাকে সাধারণ মানুষ

আমিরুল মোমিনিন সাগর : শনিবার, ০২ জুলাই ২০২২

বন্যার অজুহাতে বাজারে সবজির দাম আবার বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যার কারণে বাজারে সবজির আমদানি কম, খরচ বেশি। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে আরও দাম বাড়তে পারে। ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ, মিথ্যা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন।

গতকাল সরেজমিন শ্যামলী কাঁচাবাজার ও মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, সাদা গোল বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, লাল গোল বেগুন প্রতি কেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৭০ টাকা, ছয় থেকে সাতশ’ গ্রামের ফুলকপি প্রতি পিস ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, কাকরোল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া পটোল মানভেদে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, গাজর দেশি ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, কুমড়া পিস ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি প্রতি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা শ্যামলীর একটি আবাসিক হোটেলে কাজ করা বাবুর্চি নূরন্নবী মিয়া বলেন, প্রতিদিন সবজির দাম বাড়ছে, আজ দেখি আকাশছোঁয়া। অল্প প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছি, আবার আগামীকাল কিনব। এত দাপাদাপি করে লাভ কী, পকেটে টাকা নেই। তাই চলে আসলাম।

সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে রাজধানীর শ্যামলী কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম রাফি বলেন, ‘বন্যার কারণে প্রতিদিনই সবজির দাম বাড়ছে। বাজারে এখন আগের তুলনায় সবজির সরবরাহ, আমদানি খরচও বেশি। যেকোন সবজির দাম বেশি। এদিকে আবার বেড়েছে দেশি রসুনের দাম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হতো ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। আর চায়না রসুন প্রতি কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হতো। শুকনো মরিচ (কারেন্ট) কেজিপ্রতি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা আর দেশি শুকনো মরিচ প্রতি কেজি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, এক সপ্তাহ আগেও কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কম ছিল। আদাও প্রতি কেজি ২০ টাকা বেড়ে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মসলার বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, জিরা কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা, গোল মরিচ কেজিপ্রতি ৮০০ টাকা, সাদা এলাচ কেজিপ্রতি ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা, কালো এলাচ কেজিপ্রতি ১৪০০ টাকা, লং কেজিপ্রতি ১৪০০ টাকা, দারুচিনি কেজিপ্রতি ৪৫০ টাকা, খোলা হলুদ কেজিপ্রতি ২৮০ টাকা, কেজিপ্রতি ধনিয়া ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মোটা চালসহ বেশকিছু চালের দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে মোটা চালের দাম প্রতি কেজি ৪-৫ টাকা, চাল প্রতি কেজি গড়ে ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা চাল প্রতি কেজি ৪৫-৪৬ টাকা, আটাশ প্রতি কেজি ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, নাজির প্রতি কেজি ৬৫ টাকা, কাটারী নাজির প্রতি কেজি ৭৫ টাকা, মিনিকেট প্রতি কেজি মানভেদে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা, চিনিগুড়া প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের দাম কমার কারণ জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারের ফেনী রাইস স্টোরের স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘ভারত থেকে চাল আসার কথা তাই দাম কমেছে, চাল আমদানি হলে আরও কমবে। আর আমদানি না হলে ঈদের পর বর্তমান বাজারের চেয়ে দাম বাড়বে। চালের দাম কমেছে গড়ে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা।’

বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি ২৫০ টাকা, দুই সপ্তাহ আগে ছিল ২৭৫ টাকা। দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৫০০ খেকে ৫২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত আছে। গরু ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

টাউন হল বাজারের মুরগি বিক্রেতা রাজন বলেন, এখন বাজারে মুরগির দাম কম, আগামী সপ্তাহে দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

এদিকে প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। তারা বলেন, এখন বাজারে যেকোন পণ্য ক্রয় সক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য নেই। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে তাল মেলানো যাচ্ছে না। হয় কোন পণ্য কেনা বাদ দিতে হবে, নয়তো খুব অল্প পরিমাণে কিনতে হবে। আর অল্প পরিমাণে কিনলে পরের দিন আবারো বাজারে আসতে হবে। সবকিছুর দাম বেড়েছে, কিন্তু মানুষের আয় সেভাবে বাড়েনি।

ছবি

লালদিয়া-পানগাঁওয়ে ‘১০ বছর করমুক্ত সুবিধা পাবে’ ২ বিদেশি কোম্পানি

ছবি

১৯ দিনে এলো ২৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা রেমিট্যান্স

ছবি

জুলাই-অক্টোবর মাসে রাজস্ব আহরণে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

ছবি

চার মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ৮ শতাংশ

ছবি

প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে দক্ষতা উন্নয়ন অপরিহার্য : বিজিএমইএ সভাপতি

ছবি

এলসি জটিলতায় মেঘনা সিমেন্ট, বেড়েছে লোকসান

ছবি

দেশের জাহাজনির্মাণ শিল্পের বড় রপ্তানি, আমিরাত যাচ্ছে তিন ল্যান্ডিং ক্রাফ্ট

ছবি

ই-সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারের উদ্বোধন

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কাজ করবে বিএফটিআই

ছবি

কম সুদে ছোট অঙ্কের ঋণ দেবে ইউসিবি

ছবি

নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়ার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে সরকার

ছবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে ভরি ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা

ছবি

আন্তর্জাতিক কার্ডে কেনা যাবে বিমানের টিকিট

ছবি

শ্রম আইনে সংশোধনীর বিষয়ে আইএলওকে অবহিত করেছেন শ্রম উপদেষ্টা

ছবি

মৎস্য প্রক্রিয়াকরণে মানদণ্ড অনুসরণের তাগিদ

ছবি

তিন রাজস্ব আইনের অথেনটিক ইংরেজি টেক্সটের গেজেট প্রকাশ

ছবি

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত পাঠানো: জাতীয় কমিটির সংস্কার চূড়ান্ত

ছবি

এখনই নতুন বিনিয়োগ না করলে আগামীতে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিবে: সেমিনারে বক্তারা

ছবি

এনইআইআর বাতিল নয়, পুনর্গঠন চান মোবাইল ব্যবসায়ীরা

ছবি

দুই বছর কমলো, ৩ বছর পরপর বাড়বে শ্রমিকের মজুরি

ছবি

বিএসটিআইয়ের সব সেবা পাওয়া যাবে অনলাইনে

ছবি

নীতি সুদহার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত, মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা

ছবি

বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সাপ্লাই চেইন শক্তিশালী করতে নতুন প্ল্যাটফর্ম চালু

ছবি

রুলস হওয়ার আগেই পুঁজিবাজারের সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে: ডিএসই চেয়ারম্যান

ছবি

শ্রম আইন নিয়ে অধ্যাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিটিএমএ

ছবি

শ্রম আইন সংশোধন: ন্যূনতম ২০ জনের সম্মতি থাকলেই ট্রেড ইউনিয়ন, অধ্যাদেশ জারি

ছবি

পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে ধোঁয়াশা

ছবি

ডিএসইতে উত্থান, লেনদেন নয় দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ

ছবি

সরকার পাট পণ্যের বৈচিত্রকরণে কাজ করছে: বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা

ছবি

রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী অবকাঠামো তৈরির প্রস্তাব অনুমোদন

ছবি

২২ বছরের জন্য পানগাঁও টার্মিনালের দায়িত্বে সুইস প্রতিষ্ঠান মেডলগ

ছবি

বাজারে গিগাবাইট বি৮৫০আই মিনি-আইটিএক্স মাদারবোর্ড

ছবি

লালদিয়ায় কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই

ছবি

বন্ড ব্যবস্থার অটোমেশন সিদ্ধান্ত, ম্যানুয়াল আর থাকবে না

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় উত্থান

ছবি

সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বেচবে না বাংলাদেশ ব্যাংক

tab

বন্যার কারণে নিত্যপণ্য ও সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী বিপাকে সাধারণ মানুষ

আমিরুল মোমিনিন সাগর

শনিবার, ০২ জুলাই ২০২২

বন্যার অজুহাতে বাজারে সবজির দাম আবার বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যার কারণে বাজারে সবজির আমদানি কম, খরচ বেশি। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে আরও দাম বাড়তে পারে। ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ, মিথ্যা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন।

গতকাল সরেজমিন শ্যামলী কাঁচাবাজার ও মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, সাদা গোল বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, লাল গোল বেগুন প্রতি কেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৭০ টাকা, ছয় থেকে সাতশ’ গ্রামের ফুলকপি প্রতি পিস ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, কাকরোল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া পটোল মানভেদে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, গাজর দেশি ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, কুমড়া পিস ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি প্রতি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা শ্যামলীর একটি আবাসিক হোটেলে কাজ করা বাবুর্চি নূরন্নবী মিয়া বলেন, প্রতিদিন সবজির দাম বাড়ছে, আজ দেখি আকাশছোঁয়া। অল্প প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছি, আবার আগামীকাল কিনব। এত দাপাদাপি করে লাভ কী, পকেটে টাকা নেই। তাই চলে আসলাম।

সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে রাজধানীর শ্যামলী কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম রাফি বলেন, ‘বন্যার কারণে প্রতিদিনই সবজির দাম বাড়ছে। বাজারে এখন আগের তুলনায় সবজির সরবরাহ, আমদানি খরচও বেশি। যেকোন সবজির দাম বেশি। এদিকে আবার বেড়েছে দেশি রসুনের দাম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হতো ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। আর চায়না রসুন প্রতি কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হতো। শুকনো মরিচ (কারেন্ট) কেজিপ্রতি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা আর দেশি শুকনো মরিচ প্রতি কেজি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, এক সপ্তাহ আগেও কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কম ছিল। আদাও প্রতি কেজি ২০ টাকা বেড়ে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মসলার বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, জিরা কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা, গোল মরিচ কেজিপ্রতি ৮০০ টাকা, সাদা এলাচ কেজিপ্রতি ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা, কালো এলাচ কেজিপ্রতি ১৪০০ টাকা, লং কেজিপ্রতি ১৪০০ টাকা, দারুচিনি কেজিপ্রতি ৪৫০ টাকা, খোলা হলুদ কেজিপ্রতি ২৮০ টাকা, কেজিপ্রতি ধনিয়া ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মোটা চালসহ বেশকিছু চালের দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে মোটা চালের দাম প্রতি কেজি ৪-৫ টাকা, চাল প্রতি কেজি গড়ে ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা চাল প্রতি কেজি ৪৫-৪৬ টাকা, আটাশ প্রতি কেজি ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, নাজির প্রতি কেজি ৬৫ টাকা, কাটারী নাজির প্রতি কেজি ৭৫ টাকা, মিনিকেট প্রতি কেজি মানভেদে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা, চিনিগুড়া প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের দাম কমার কারণ জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারের ফেনী রাইস স্টোরের স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘ভারত থেকে চাল আসার কথা তাই দাম কমেছে, চাল আমদানি হলে আরও কমবে। আর আমদানি না হলে ঈদের পর বর্তমান বাজারের চেয়ে দাম বাড়বে। চালের দাম কমেছে গড়ে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা।’

বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি ২৫০ টাকা, দুই সপ্তাহ আগে ছিল ২৭৫ টাকা। দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৫০০ খেকে ৫২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত আছে। গরু ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

টাউন হল বাজারের মুরগি বিক্রেতা রাজন বলেন, এখন বাজারে মুরগির দাম কম, আগামী সপ্তাহে দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

এদিকে প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। তারা বলেন, এখন বাজারে যেকোন পণ্য ক্রয় সক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য নেই। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে তাল মেলানো যাচ্ছে না। হয় কোন পণ্য কেনা বাদ দিতে হবে, নয়তো খুব অল্প পরিমাণে কিনতে হবে। আর অল্প পরিমাণে কিনলে পরের দিন আবারো বাজারে আসতে হবে। সবকিছুর দাম বেড়েছে, কিন্তু মানুষের আয় সেভাবে বাড়েনি।

back to top