alt

বিপিসি চেয়ারম্যান জানালেন

উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য নয়, কৌশলগত কারণে বাড়াতে হয়েছে তেলের দাম

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০২২

বিপিসি চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ জানিয়েছেন, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য নয়, কৌশলগত কারণে বাড়াতে হয়েছে তেলের দাম।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর বিভিন্ন দিক থেকে ওঠা কঠোর সমালোচনার জবাবে বিপিসি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, বিপিসি ৭ বছর লাভে থাকার পরও কেন তেলের দাম বাড়াতে হলো। লাভের টাকা গেলো কোথায়? সে প্রশ্নের উত্তর ও ব্যাখ্যা দিলেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ।

বুধবার (১০ আগস্ট) কারওয়ান বাজারে বিপিসি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন।

বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত জ্বালানি খাতে ক্রমাগত লোকসান গুণতে হয়, যার পরিমাণ প্রায় ৫৩ হাজার ৫ কোটি টাকা। এ খাতে ভর্তুকির বিনিময়ে সরকার বিভিন্ন সময়ে ৪৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা বিপিসিকে দেয়। ওই সময়ে আরও প্রায় ৮ হাজার ১২৭ কোটি টাকা ঘাটতি ছিল, যা পরে বিপিসির মুনাফার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, এখন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত সেটি বহাল আছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে আমাদের প্রতি ব্যারেল কেনায় খরচ পড়তো ৯৬ দশমিক ৯৫ ডলার। আমরা যখন এটাকে কস্টিং (মূল্য নির্ধারণ) করি, প্রতি লিটার পড়ে ৮৩ টাকা ৬ পয়সা। ওই সময়ে বিপিসি বিক্রি করতো ৮০ টাকা করে। সেখানে লিটারে ৩ টাকার মতো লোকসান ছিল।

এ বি এম আজাদ বলেন, আবার ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন প্রতি ব্যারেল ১০৮ ডলার ৫৫ সেন্ট, সেটাকে টাকায় প্রতি লিটারে কনভার্ট করলে হয় ৮৯ টাকা ৮৫ পয়সা। তখনও বিপিসি বিক্রি করেছে ৮০ টাকা লিটার। যে কারণে ফেব্রুয়ারিতে প্রতি লিটারে ৯ টাকার মতো লোকসান গুনতে হয়েছে। এভাবে বাড়তে বাড়তে গত জুলাই মাসে প্রতি ব্যারেলের মূল্য ছিল ১৩৯ দশমিক ৪৩ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি লিটারে কনভার্ট করলে খরচ পড়তো ১২২ টাকা ১৩ পয়সা। তখনও ওই তেল বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। এভাবে তেলের দাম বাড়তে বাড়তে জুলাই মাসে প্রতি লিটারে লোকসান এসে দাঁড়িয়েছিল ৪২ টাকা ১৩ পয়সা।

বিপিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, এ পরিস্থিতিতে গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বিপিসির প্রকৃত লোকসান ৮ হাজার ১৪ কোটি টাকা। দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিপিসি বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছে। নতুন করে ১১টি প্রকল্প হাতে রয়েছে, যার খরচ প্রায় ৩৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকার অধিক। ইআরএল ইউনিট-টু, যাতে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হবে। এটি বিপিসির নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে বিপিসির মুনাফার একটি অংশ এফডিআর করা হয়।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, বিপিসির অর্থ কোনো না কোনো ব্যাংকের হিসাবের বিপরীতে রাখতে হয়। প্রকল্পের যে অর্থ, সেগুলো প্রকল্পের নামে এফডিআর খুলে রাখা হয়। সরকারের কাছ থেকে কোনো ভর্তুকি না নিয়ে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা টাকা থেকে গত ৬ মাসের জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে।

এ বি এম আজাদ বলেন, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে প্রতি লিটার ডিজেলে ১২০ টাকা খরচ হচ্ছে বিপিসির। এ ক্ষেত্রে লিটারপ্রতি ৬ টাকার মতো লোকসান দিতে হচ্ছে। তবে অকটেনে ২৫ টাকার মতো লাভ হচ্ছে।

##

ছবি

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৪.৯ শতাংশ: আইএমএফ

ছবি

ব্যাংক থেকে আরও ৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার কিনলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে ৫৬ সেবায় বাড়তি ট্যারিফ কার্যকর

ছবি

সঞ্চয়পত্রের সুদহার আরও কমাতে যাচ্ছে সরকার

ছবি

এনবিআরের কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগে নতুন ১২ দপ্তর

ছবি

ডিজিটাল লেনদেন ব্যবসায় আসছে রবি ও বাংলালিংক

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে মধ্যরাত থেকে বর্ধিত ট্যারিফ চালু, গড়ে ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি

ছবি

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

মোবাইল ব্যাংক থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠাতে হাজারে খরচ হবে সাড়ে ৮ টাকা

ছবি

ভেজাল ও নকলকারীদের বিরুদ্ধে বিএসটিআইকে আরও কঠোর হতে হবে, বিশ্ব মান দিবসে বক্তারা

ছবি

ঢাকায় ৫ দিনব্যাপী ফার্নিচার মেলা শুরু

ছবি

কৃষি ও এসএমই ঋণ বাড়াতে নিরাপত্তা সঞ্চিতিতে ছাড় পেল ব্যাংকগুলো

ছবি

শিল্প আমদানিকারকদের নতুন সুবিধা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

বাংলাদেশে সংস্কার অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আগ্রহ বাড়াবে: অর্থ উপদেষ্টা

শেরপুরে দুধের বাজারে ঘণ্টায় লাখ লাখ টাকার দুধ বিক্রি

ছবি

‘প্রযুক্তির মাধ্যমেই টেকসই প্রবৃদ্ধি’র ব্যাখ্যা দিয়ে অর্থনীতিতে নোবেল জয় তিন গবেষকের

ছবি

দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মর্যাদা পেল কক্সবাজার বিমানবন্দর

ছবি

ক্যাশলেস অর্থনীতির যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, আসছে শাখাবিহীন ডিজিটাল ব্যাংক

ছবি

সংশোধন হচ্ছে বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা

ছবি

৫ ব্যাংক একীভূতকরণ: বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির প্রচারণা গুজব ও ভিত্তিহীন, সতর্ক করল অর্থ মন্ত্রণালয়

ছবি

৯৩ শতাংশ জেলে জানে না নিষিদ্ধ জালে উৎপাদন-প্রজননের ক্ষতি হয়: কোস্ট ফাউন্ডেশন

ছবি

আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভা শুরু

ছবি

১১ দিনে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আয়

ছবি

ডিসেম্বরের মধ্যে তিন টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেয়া হবে: নৌ-সচিব

ছবি

সপ্তাহ শেষে শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে প্রগতি ইনস্যুরেন্স

ছবি

বন্দরের ট্যারিফ বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা

ছবি

রুপার দামও ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

ছবি

বড় পতনে সূচক নামলো ৩ মাস আগের অবস্থানে

ছবি

উত্তরা ব্যাংক পিএলসি-র “বার্ষিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্মেলন” অনুষ্ঠিত

ছবি

তিন বন্দর-বিদেশি অপারেটরের সাথে চুক্তি ‘ডিসেম্বরে’

ছবি

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণ, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংকে বিএসইসির চিঠি

ছবি

ইফাদ গ্রুপের গৌরবময় ৪০ বছর উদযাপন

ছবি

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি ব্যাংকের পর্যালোচনা সভা

ছবি

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালক মো. রেজাউল হক পদত্যাগ

ছবি

হালাল শিল্পের উন্নয়নে সমন্বিত ইকোসিস্টেম জরুরী: ডিসিসিআই

ছবি

কাগজের টাকা ছাপাতেই বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়: বাংলাদেশ ব্যাংক

tab

বিপিসি চেয়ারম্যান জানালেন

উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য নয়, কৌশলগত কারণে বাড়াতে হয়েছে তেলের দাম

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০২২

বিপিসি চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ জানিয়েছেন, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য নয়, কৌশলগত কারণে বাড়াতে হয়েছে তেলের দাম।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর বিভিন্ন দিক থেকে ওঠা কঠোর সমালোচনার জবাবে বিপিসি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, বিপিসি ৭ বছর লাভে থাকার পরও কেন তেলের দাম বাড়াতে হলো। লাভের টাকা গেলো কোথায়? সে প্রশ্নের উত্তর ও ব্যাখ্যা দিলেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ।

বুধবার (১০ আগস্ট) কারওয়ান বাজারে বিপিসি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন।

বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত জ্বালানি খাতে ক্রমাগত লোকসান গুণতে হয়, যার পরিমাণ প্রায় ৫৩ হাজার ৫ কোটি টাকা। এ খাতে ভর্তুকির বিনিময়ে সরকার বিভিন্ন সময়ে ৪৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা বিপিসিকে দেয়। ওই সময়ে আরও প্রায় ৮ হাজার ১২৭ কোটি টাকা ঘাটতি ছিল, যা পরে বিপিসির মুনাফার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, এখন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত সেটি বহাল আছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে আমাদের প্রতি ব্যারেল কেনায় খরচ পড়তো ৯৬ দশমিক ৯৫ ডলার। আমরা যখন এটাকে কস্টিং (মূল্য নির্ধারণ) করি, প্রতি লিটার পড়ে ৮৩ টাকা ৬ পয়সা। ওই সময়ে বিপিসি বিক্রি করতো ৮০ টাকা করে। সেখানে লিটারে ৩ টাকার মতো লোকসান ছিল।

এ বি এম আজাদ বলেন, আবার ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন প্রতি ব্যারেল ১০৮ ডলার ৫৫ সেন্ট, সেটাকে টাকায় প্রতি লিটারে কনভার্ট করলে হয় ৮৯ টাকা ৮৫ পয়সা। তখনও বিপিসি বিক্রি করেছে ৮০ টাকা লিটার। যে কারণে ফেব্রুয়ারিতে প্রতি লিটারে ৯ টাকার মতো লোকসান গুনতে হয়েছে। এভাবে বাড়তে বাড়তে গত জুলাই মাসে প্রতি ব্যারেলের মূল্য ছিল ১৩৯ দশমিক ৪৩ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি লিটারে কনভার্ট করলে খরচ পড়তো ১২২ টাকা ১৩ পয়সা। তখনও ওই তেল বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। এভাবে তেলের দাম বাড়তে বাড়তে জুলাই মাসে প্রতি লিটারে লোকসান এসে দাঁড়িয়েছিল ৪২ টাকা ১৩ পয়সা।

বিপিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, এ পরিস্থিতিতে গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বিপিসির প্রকৃত লোকসান ৮ হাজার ১৪ কোটি টাকা। দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিপিসি বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছে। নতুন করে ১১টি প্রকল্প হাতে রয়েছে, যার খরচ প্রায় ৩৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকার অধিক। ইআরএল ইউনিট-টু, যাতে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হবে। এটি বিপিসির নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে বিপিসির মুনাফার একটি অংশ এফডিআর করা হয়।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, বিপিসির অর্থ কোনো না কোনো ব্যাংকের হিসাবের বিপরীতে রাখতে হয়। প্রকল্পের যে অর্থ, সেগুলো প্রকল্পের নামে এফডিআর খুলে রাখা হয়। সরকারের কাছ থেকে কোনো ভর্তুকি না নিয়ে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা টাকা থেকে গত ৬ মাসের জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে।

এ বি এম আজাদ বলেন, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে প্রতি লিটার ডিজেলে ১২০ টাকা খরচ হচ্ছে বিপিসির। এ ক্ষেত্রে লিটারপ্রতি ৬ টাকার মতো লোকসান দিতে হচ্ছে। তবে অকটেনে ২৫ টাকার মতো লাভ হচ্ছে।

##

back to top