দুটি ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজের দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করায় ২০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে বোয়িং। অভিযোগের তদন্তকারী মার্কিন স্টক মার্কেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, এভিয়েশন জায়ান্ট বোয়িং ও এর সাবেক প্রধান নির্বাহী ডেনিস মুইলেনবার্গ নিরাপত্তার সমস্যা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। খবর বিবিসি।
দুটি দুর্ঘটনায় ৩৪৬ জনের মৃত্যুর পর ৭৩৭ ম্যাক্স ২০ মাসের জন্য বসিয়ে রাখা হয়।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান গ্যারি গেনসলার এক বিবৃতিতে বলেন, সঙ্কট ও দুঃখজনক পরিস্থিতিতে পাবলিক কোম্পানি ও নির্বাহীরা বাজারে পূর্ণ, ন্যায্য ও সত্য তথ্য দিয়ে থাকে। বোয়িং ও মুইলেনবার্গ এই মৌলিক বাধ্যবাধকতা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
বোয়িং ও মুয়েলেনবার্গ উভয়ই নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই অভিযোগ স্বীকার বা অস্বীকার কিছুই করেনি। তবে তারা ক্ষতিপূরণের অর্থ দিতে সম্মত হয়েছে।
বোয়িংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, লায়ন এয়ার ফ্লাইট ৬১০ ও ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস ফ্লাইট ৩০২ এর দুর্ঘটনায় যাদের হারিয়েছি আমরা তাদের কখনই ভুলব না। দুর্ঘটনার পর কোম্পানিতে আমরা ব্যাপক পরিবর্তন এনেছি।
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যারা ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বিভ্রান্তিকর তথ্যের জন্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তাদের জন্য একটি তহবিল তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে এসইসি।
এ মীমাংসার অংশ হিসেবে মুলেনবার্গকে আরো ১০ লাখ ডলার জরিমানা দিতে হবে।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর লায়ন এয়ার ফ্লাইট ৬১০ জাকার্তার সোয়েকার্নো-হাত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের ১৩ মিনিট পর জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ১৮৯ জন যাত্রী ও ক্রু নিহত হয়।
পাঁচ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ৩০২ কেনিয়া যাওয়ার পথে রাজধানী আদ্দিস আবাবা ছাড়ার ছয় মিনিটের পর বিধ্বস্ত হয়। ওই ফ্লাইটে থাকা ১৫৭ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়।
দুই দুর্ঘটনার সঙ্গে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সের ম্যানুভারিং ক্যারেক্টারিস্টিকস অগমেন্টেশন সিস্টেম বা এমসিএএস নামক একটি ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু প্রথম দুর্ঘটনার পর বিষয়টি জানতে পারলেও বোয়িং ও মুইলেনবার্গ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে যাত্রীদের আশ্বস্ত করেছিল৷
দুই দুর্ঘটনায় এর মধ্যে বোয়িংয়ের দুই হাজার কোটি ডলারের বেশি খরচ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে দেয়া ক্ষতিপূরণ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
দুটি ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজের দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করায় ২০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে বোয়িং। অভিযোগের তদন্তকারী মার্কিন স্টক মার্কেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, এভিয়েশন জায়ান্ট বোয়িং ও এর সাবেক প্রধান নির্বাহী ডেনিস মুইলেনবার্গ নিরাপত্তার সমস্যা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। খবর বিবিসি।
দুটি দুর্ঘটনায় ৩৪৬ জনের মৃত্যুর পর ৭৩৭ ম্যাক্স ২০ মাসের জন্য বসিয়ে রাখা হয়।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান গ্যারি গেনসলার এক বিবৃতিতে বলেন, সঙ্কট ও দুঃখজনক পরিস্থিতিতে পাবলিক কোম্পানি ও নির্বাহীরা বাজারে পূর্ণ, ন্যায্য ও সত্য তথ্য দিয়ে থাকে। বোয়িং ও মুইলেনবার্গ এই মৌলিক বাধ্যবাধকতা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
বোয়িং ও মুয়েলেনবার্গ উভয়ই নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই অভিযোগ স্বীকার বা অস্বীকার কিছুই করেনি। তবে তারা ক্ষতিপূরণের অর্থ দিতে সম্মত হয়েছে।
বোয়িংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, লায়ন এয়ার ফ্লাইট ৬১০ ও ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস ফ্লাইট ৩০২ এর দুর্ঘটনায় যাদের হারিয়েছি আমরা তাদের কখনই ভুলব না। দুর্ঘটনার পর কোম্পানিতে আমরা ব্যাপক পরিবর্তন এনেছি।
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যারা ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বিভ্রান্তিকর তথ্যের জন্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তাদের জন্য একটি তহবিল তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে এসইসি।
এ মীমাংসার অংশ হিসেবে মুলেনবার্গকে আরো ১০ লাখ ডলার জরিমানা দিতে হবে।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর লায়ন এয়ার ফ্লাইট ৬১০ জাকার্তার সোয়েকার্নো-হাত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের ১৩ মিনিট পর জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ১৮৯ জন যাত্রী ও ক্রু নিহত হয়।
পাঁচ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ৩০২ কেনিয়া যাওয়ার পথে রাজধানী আদ্দিস আবাবা ছাড়ার ছয় মিনিটের পর বিধ্বস্ত হয়। ওই ফ্লাইটে থাকা ১৫৭ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়।
দুই দুর্ঘটনার সঙ্গে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সের ম্যানুভারিং ক্যারেক্টারিস্টিকস অগমেন্টেশন সিস্টেম বা এমসিএএস নামক একটি ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু প্রথম দুর্ঘটনার পর বিষয়টি জানতে পারলেও বোয়িং ও মুইলেনবার্গ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে যাত্রীদের আশ্বস্ত করেছিল৷
দুই দুর্ঘটনায় এর মধ্যে বোয়িংয়ের দুই হাজার কোটি ডলারের বেশি খরচ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে দেয়া ক্ষতিপূরণ।