alt

শীঘ্রই ঘুরে দাঁড়াবে রপ্তানি আয় : পরিকল্পনামন্ত্রী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ০৫ অক্টোবর ২০২২

সেপ্টেম্বরে পণ্য রপ্তানি ৭ শতাংশ কমার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, ‘রপ্তানি কমার বিষয়ে আমিও ধাক্কা খেয়েছি। আমার কাছে ভালো লাগেনি। আমিও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। সিনিয়র লেভেলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগামী মাসের মধ্যেই এটি ঘুরে দাঁড়াবে।’

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ম্যান মেড ফাইবার ফর মুভিং আপ দ্য ভ্যালু চেইন অব আরএমজি ইন দ্য কনটেস্ট অব এলডিসি গ্রাজুয়েশন’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর মোহাম্মদ মেজবাউল হক ও বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমি ওপরের লেভেলের ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণেই এটা হয়েছে। বায়াররাও বুঝতে পারছেন না কোথায় চাহিদা রয়েছে। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়াবে। আমিও তা বিশ্বাস করি। কারণ যতই যুদ্ধ চলুক মানুষকে তো কাপড় পরতেই হবে। তাই ব্যবসা তার নিজের পথ খুঁজে পাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কাপড়ের বাজারের যে অংশে আছি, তা স্কুইজ হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে। হাতে তৈরি বা কৃত্রিম তন্তুর বাজার অনেক বড়, যেটা আমার জানা ছিল না। আজকের এ প্রোগ্রাম থেকে এটা জানলাম। সবচেয়ে শঙ্কার বিষয় হচ্ছে এই যে, কৃত্রিম তন্তুর বাজারে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। অতি তাড়াতাড়ি আমরা এখানে যদি ট্রানজিশনের ব্যবস্থা না করি, তাহলে আমাদের যে এখন একটি অ্যাডভান্টেজ আছে কটনে, তা হয়তো টিকবে না। সুতরাং আলোচনা হচ্ছে কীভাবে ট্রানজিট করা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে এ ট্রানজিশ বেশি টাকা লাগবে না। বর্তমানে যেসব যন্ত্র দিয়ে কটন তৈরি করা হয় বা কাপড় তৈরি করা হয়, সেখানে আরও কিছু ইনভেস্ট করলেই কৃত্রিম তন্তুতে যাওয়া যাবে। ব্যবসায়ীরা যে দাবি তুলেছেন, তা অত্যন্ত সঙ্গত। তারা টাকা চাননি, চেয়েছেন নীতি সহায়তা। কীভাবে কম শুল্কে আনা যায়, তা নিয়ে উত্তম মহলে আলোচনা চলছে। আশা করছি একটি ভালো ফল আসবে।’

ম্যান মেড ফাইবারে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেন্টিভ দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখানে দেয়ার কেউ নই। এটা নিয়ে আলোচনা হবে। এই ক্যাশ ইনসেনটিভ দেয়ার বিষয়টি সবার সঙ্গে বসে এনবিআর ঠিক করবে। আমি এর পক্ষে। তবে আমার মতে ইনসেনটিভের বাজার ফেয়ার হওয়া উচিত। কেউ পাচ্ছে না, কেউ বেশি পেয়ে গেল তা হওয়া উচিত নয়। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে ইনসেন্টিভ ইকোনোমিতে বিশ্বাসী নই। তবে আমার সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা অবশ্যই আমি প্রতিপালন করব।

ছবি

অর্থনীতির রক্তক্ষরণ হচ্ছে, সরকার ব্যবসায়ীদের চিৎকার শুনছে না: আনোয়ার উল আলম চৌধুরী

ডিএসই ও সিএসইর নতুন ব্যবস্থা, এখন অনলাইনেই সব নথি জমা দেয়া যাবে

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে ভুটানের ট্রানজিটের চতুর্থ চালান খালাস

ছবি

ডিসেম্বরে ওয়ান স্টপ ডিজিটাল সার্ভিস ও আধুনিক ল্যান্ডিং পেজ চালু করবে ডিএসই

ছবি

ঢাকায় প্রথমবারের মতো হচ্ছে গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংক আর বিএসইসির শীর্ষ ব্যক্তিরাও ব্যাংকের এমডি হতে পারবেন

ছবি

আর্থিক সেবার অন্তর্ভুক্ত ৭৫ শতাংশ গ্রাহকই ডিজিটাল সেবার বাইরে

ছবি

খেলাপি ঋণ ছাড়াল ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা

ছবি

অপরিহার্য না হলে নির্বাচন পর্যন্ত বিদেশ যেতে পারবেন না ব্যাংক কর্মকর্তারা

ছবি

সূচকের পতন, কমেছে লেনদেনও

ছবি

ন্যূনতম মজুরি চান ট্যানারিশ্রমিকেরা

ছবি

খসড়া আইপিও রুলস নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠক

ছবি

বেক্সিমকোর কারখানা- সদর দপ্তর নিলামে তুললো জনতা ব্যাংক

ছবি

দারিদ্রসীমার নিচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ: বিশ্বব্যাংক

ছবি

অর্থনৈতিক শুমারিতে বাদ পড়েছিল ৩ লাখ ৬৫ হাজার ইউনিট

ছবি

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫৪ হাজার কোটি টাকা বাড়ছে

ছবি

২২৭ কোম্পানির দরপতন, সামান্য বেড়েছে লেনদেন

ছবি

প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাচ্ছে আরও ৮ মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান

ছবি

নভেম্বরের মধ্যে খেলাপি হওয়া ঋণের জন্যও নীতি সহায়তা

ছবি

এনবিআরের ১৭ জনের সম্পদ জব্দ, বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চাইবে দুদক

ছবি

অ্যামাজন ও আলিবাবায় সরাসরি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংক: ২০২৭ সালের মধ্যে আন্তঃলেনদেনের আওতায় আসবে সব প্রতিষ্ঠান

ছবি

ডিসি-ইউএনও পাঠিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণ কঠিন, প্রয়োজন রাজনৈতিক সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

পুঁজিবাজারে বড় উত্থান, লেনদেনও বেড়েছে

ছবি

ব্যাংক বন্ধ হলে তাৎক্ষণিক ২ লাখ টাকা পাবেন আমানতকারী

ছবি

কুড়িগ্রাম-গেলেফু করিডোরে আঞ্চলিক বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা

ছবি

দ্বিতীয় প্রান্তিকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে অর্থনীতি: এমসিসিআই

ছবি

বাংলাদেশে কানাডার বিনিয়োগ প্রায় ১৩৩ মিলিয়ন ডলার : ডিসিসিআই

রিটার্ন জমার সময় বাড়লো আরও একমাস

ছবি

ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়াল এনবিআর

ছবি

মাস্টারকার্ডের সম্মাননা পেল ১৮ প্রতিষ্ঠান

ছবি

সারা দেশে উদ্যোক্তাদের ৮৭১ শিল্পপ্লট দিচ্ছে বিসিক

ছবি

৪ মাসে ১ শতাংশ টাকা খরচ করতে পারেনি ৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ

ছবি

সূচকের উত্থান হলেও কমেছে লেনদেন

ছবি

সিটি ব্যাংকের এমডি পেলেন ‘সিইও অব দ্য ইয়ার ২০২৫’ পুরস্কার

ছবি

ঢাকায় শুরু হচ্ছে চার দিনের ‘সিরামিক এক্সপো’

tab

শীঘ্রই ঘুরে দাঁড়াবে রপ্তানি আয় : পরিকল্পনামন্ত্রী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ০৫ অক্টোবর ২০২২

সেপ্টেম্বরে পণ্য রপ্তানি ৭ শতাংশ কমার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, ‘রপ্তানি কমার বিষয়ে আমিও ধাক্কা খেয়েছি। আমার কাছে ভালো লাগেনি। আমিও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। সিনিয়র লেভেলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগামী মাসের মধ্যেই এটি ঘুরে দাঁড়াবে।’

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ম্যান মেড ফাইবার ফর মুভিং আপ দ্য ভ্যালু চেইন অব আরএমজি ইন দ্য কনটেস্ট অব এলডিসি গ্রাজুয়েশন’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর মোহাম্মদ মেজবাউল হক ও বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমি ওপরের লেভেলের ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণেই এটা হয়েছে। বায়াররাও বুঝতে পারছেন না কোথায় চাহিদা রয়েছে। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়াবে। আমিও তা বিশ্বাস করি। কারণ যতই যুদ্ধ চলুক মানুষকে তো কাপড় পরতেই হবে। তাই ব্যবসা তার নিজের পথ খুঁজে পাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কাপড়ের বাজারের যে অংশে আছি, তা স্কুইজ হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে। হাতে তৈরি বা কৃত্রিম তন্তুর বাজার অনেক বড়, যেটা আমার জানা ছিল না। আজকের এ প্রোগ্রাম থেকে এটা জানলাম। সবচেয়ে শঙ্কার বিষয় হচ্ছে এই যে, কৃত্রিম তন্তুর বাজারে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। অতি তাড়াতাড়ি আমরা এখানে যদি ট্রানজিশনের ব্যবস্থা না করি, তাহলে আমাদের যে এখন একটি অ্যাডভান্টেজ আছে কটনে, তা হয়তো টিকবে না। সুতরাং আলোচনা হচ্ছে কীভাবে ট্রানজিট করা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে এ ট্রানজিশ বেশি টাকা লাগবে না। বর্তমানে যেসব যন্ত্র দিয়ে কটন তৈরি করা হয় বা কাপড় তৈরি করা হয়, সেখানে আরও কিছু ইনভেস্ট করলেই কৃত্রিম তন্তুতে যাওয়া যাবে। ব্যবসায়ীরা যে দাবি তুলেছেন, তা অত্যন্ত সঙ্গত। তারা টাকা চাননি, চেয়েছেন নীতি সহায়তা। কীভাবে কম শুল্কে আনা যায়, তা নিয়ে উত্তম মহলে আলোচনা চলছে। আশা করছি একটি ভালো ফল আসবে।’

ম্যান মেড ফাইবারে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেন্টিভ দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখানে দেয়ার কেউ নই। এটা নিয়ে আলোচনা হবে। এই ক্যাশ ইনসেনটিভ দেয়ার বিষয়টি সবার সঙ্গে বসে এনবিআর ঠিক করবে। আমি এর পক্ষে। তবে আমার মতে ইনসেনটিভের বাজার ফেয়ার হওয়া উচিত। কেউ পাচ্ছে না, কেউ বেশি পেয়ে গেল তা হওয়া উচিত নয়। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে ইনসেন্টিভ ইকোনোমিতে বিশ্বাসী নই। তবে আমার সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা অবশ্যই আমি প্রতিপালন করব।

back to top