alt

এপ্রিলে সব বন্দরে গ্রিন চ্যানেল চালু

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

আগামী বছরের এপ্রিলে সব বন্দরে ‘গ্রিন চ্যানেল’ চালু করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ব্যয় ও সময় কমবে। এনবিআর সূত্র বলেছে, সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছে এবং অতীত রেকর্ড ভালো এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এ ‘গ্রিন চ্যানেল’ সুবিধা পাবে। আর যোগ্য প্রতিষ্ঠান নিবার্চনের জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। তার আলোকেই সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হবে।

গ্রিন চ্যানেল ব্যবহার করলে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের কায়িক কোন পরীক্ষার প্রয়োজন পড়বে না। বন্দরে জাহাজ ভেড়ার পর বিল অফ এন্ট্রি দাখিল করলেই প্রযোজ্য শুল্ক-কর পরিশোধ করে দ্রুত পণ্য খালাস করা যাবে। একইভাবে রপ্তানিকারকরাও তাদের পণ্য দ্রুত শিপমেন্ট করতে পারবেন। যেসব দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্রিন চ্যানেল ব্যবহারের সুবিধা পাবে, তাদের মালামাল খালাস ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হবে। সে সুবাদে বন্দরে মালামাল আটকে থাকার জন্য যে ক্ষতি হয়, তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। পণ্য লোড-আনলোড বা ওঠানামার খরচ লাগবে না। লিড টাইম কমবে। ফলে ব্যাবসা-বাণিজ্য সহজ হওয়ার পাশাপাশি খরচ কমবে।

এনবিআর সূত্র আরও বলেন, ‘কাস্টমসকে আধুনিকায়ন করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর। তারই অংশ হিসেবে গ্রিন চ্যানলে চালু করা হচ্ছে। অথরাইজড ইকনোমিক অপারেটর বা এইওর আওতায় এটি চালু করা হচ্ছে।’

কাস্টমসকে আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে অথরাইজড ইকনোমিক অপারেটর চালু করা হয় ২০১৯ সালে। এটি চালুর উদ্দেশ্য হলো আমদানি পণ্য দ্রুত খালাস ও রপ্তানি পণ্য দ্রুত শিপমেন্ট করা। যেসব প্রতিষ্ঠান যোগ্য বিবেচিত হবে, শুধু তারাই গ্রিন চ্যানেল ব্যবহার করতে পারবে। বিশ্ব শুল্ক সংস্থা (ডব্লিউওসি) ২০০৫ সালে পণ্যের নির্বিঘ্ন চলাচলের জন্য এইও কর্মসূচি চালু করে। কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সহজ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালে বিদ্যমান শুল্ক আইন সংশোধন করে। ২০১৮ সালে এনবিআর এইও সুবিধা পাওয়ার মানদন্ড উল্লেখ করে একটি আদেশ জারি করে। পরের বছর ওষুধ খাতের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে এ সুবিধা দেয়া হয়। যদিও প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো গ্রিন চ্যানেলের সুবিধা পায়নি।

সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ৬১টি প্রতিষ্ঠান অথরাইজড ইকনোমিক অপারেটর (গ্রিন চ্যানেল) সুবিধা পাওয়ার জন্য এনবিআরের কাছে আবেদন করেছে। এর মধ্যে ২৪টিকে যোগ্য বলে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনটি প্রতিষ্ঠানকে অথরাইজড ইকনোমিক অপারেটরের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এগুলো হলো বেক্সিমকো, স্কয়ার ও ইনসেপটা। যদিও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, পণ্য খালাসে কোন হেরফের হয়নি এখনো। এনবিআর বলেছে, এইও চালুর জন্য কিছু প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে, এপ্রিলে এটি চালু করা যাবে।

কাস্টমস সূত্র বলেছে, আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে গ্রিন চ্যানেল ব্যবহারের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। শীঘ্রই তাদের অনুমোদন দেবে এনবিআর। পাইপলাইনে আছে আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। কাস্টমস নিরীক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, যারা গ্রিন চ্যানেল ব্যবহারের অনুমতি পাবে, তাদের আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত তথ্য দেখভাল করার জন্য বিশেষ সফটওয়্যার ডেভেলপ করা হচ্ছে। এই সফটওয়্যার এনবিআরের এসআই কুডা সিস্টেমের সঙ্গে ডিজিটাল সংযোগ বা কানেক্ট করা হবে। এটা করা হলে যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্রীয়ভাবে এনবিআরে বসেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

কয়েকটি নির্দিষ্ট মানদন্ডের ভিত্তিতে এইও সুবিধা দেয়া হয়। এর মধ্যে কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর আইনের আওতায় সন্তোষজনক কমপ্লায়েন্স রেকর্ড থাকতে হবে। আবেদনকারীকে আগের তিন বছর অপরাধমুক্ত থাকতে হবে। কোন রাজস্ব বকেয়া থাকা যাবে না; যেকোন মামলায় জরিমানার পরিমাণ মোট পণ্য বা সেবামূল্যের ১ শতাংশের বেশি হওয়া যাবে না।

এ ছাড়া আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত মূলধন কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন অন্তত ৫ কোটি টাকা হতে হবে। আর বার্ষিক আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ন্যূনতম ৫ কোটি টাকা হতে হবে। এ ব্যবস্থা পরীক্ষামূলক চালু হওয়ার সময় এনবিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এক মাসের মধ্যে টেক্সটাইল, ওষুধ ও চামড়া খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে আরও ১০টি প্রতিষ্ঠানকে এইও সনদ দেয়ার জন্য বাছাই করা হবে, কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনটি প্রতিষ্ঠানকে এইওর আওতায় আনা হয়েছে।

ডব্লিউসিওর তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে এইও সনদ পাওয়া প্রতিষ্ঠান ১১ হাজার ২০টি। ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ১৭ হাজার ৮৯৫টি, চীনে ৩ হাজার ২০৩টি, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৮৪৫টি এবং জাপানে ৭০৬টি।বিশ্বব্যাংকের সবশেষ ২০২০ সালের ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ প্রতিবেদনে ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৮তম। কাস্টমস ও বন্দরে দক্ষতার অভাব বাংলাদেশের এই পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ।এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের ২০১৮ সালের লজিস্টিক পারফরম্যান্স ইনডেক্স (এলপিআই) অনুযায়ী চীন, ভিয়েতনাম, ভারত, কম্বোডিয়াসহ প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। এই সূচকেও বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স করেছিল।

ছবি

তাপমাত্রা বাড়ায় বাংলাদেশের ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা: বিশ্বব্যাংক

ছবি

পাঁচ বেসরকারি শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করার প্রথম ধাপে প্রশাসক বসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পেছানোর বিরোধিতা করছে

ছবি

শেয়ারবাজারে লেনদেন নামলো ৬শ’ কোটি টাকার ঘরে

ছবি

ব্যবসা মাঝে মন্থর ছিল, এখন একটু ভালো: অর্থ উপদেষ্টা.

ছবি

অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরে আশাবাদী জাপানি রাষ্ট্রদূত

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সভা: একীভূত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক, বসছে প্রশাসক

ছবি

বিজিএমইএ–মার্কিন প্রতিনিধিদল বৈঠক: শুল্ক কমাতে আহ্বান

ছবি

জুলাই-আগস্টে এডিপি বাস্তবায়ন ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ

ছবি

বিবিএসের নাম পরিবর্তন ও তদারক পরিষদ রাখার সুপারিশ

ছবি

শ্রম আইন সংশোধন দ্রুত শেষ করার তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের

ছবি

নগদ অর্থের ব্যবহার কমাতে আসছে একীভূত পেমেন্ট সিস্টেম: গভর্নর

ছবি

আড়াই মাসে ১৩৯ কোটি ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে আবেদনের সময় বাড়লো ২ নভেম্বর পর্যন্ত

ছবি

পুঁজিবাজারে সূচকের নামমাত্র উত্থান, লেনদেন আরও তলানিতে

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে গড়ে খরচ বাড়লো ৪১ শতাংশ

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে লেনোভো ভি সিরিজের নতুন ল্যাপটপ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরও কমতে পারে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

বাজারে গিগাবাইট এআই টপ ১০০ জেড৮৯০ পিসি

ছবি

কর্মসংস্থানের জরুরি পরিস্থিতি’ তৈরি হয়েছে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় পতন, এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

ছবি

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমার সফটওয়্যার চালু করলো এনবিআর

ছবি

ট্রাস্ট ব্যাংকের এটিএম ও ডেবিট কার্ডসেবা সাময়িক বন্ধ থাকবে

ছবি

বেপজার ইপিজেডগুলোতে শ্রমিকদের দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ প্রদান শুরু

ছবি

বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিসে আরও ৫ সেবা যুক্ত

ছবি

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পেছাতে ব্যবসায়ীদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান

ছবি

আড়াইগুণ প্রতিষ্ঠানের দরপতনে বাজার মূলধন কমলো ৩ হাজার কোটি টাকা

ছবি

পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে রোববার ঢাকায় আসছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল

ছবি

বাংলাদেশে ব্লুটুথ হেডফোন ও ডেটা কেবল তৈরির কারখানা করবে চীন

ছবি

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমার প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ার নিয়ম

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে অপো এ৫ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট

ছবি

নিত্যপণ্যের বাজারে সবজির সঙ্গে বেড়েছে চাল ও মুরগির দামও

ছবি

ডিসেম্বরের মধ্যে এনবিআরের কার্যক্রম দুই ভাগ হয়ে যাবে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৭ মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২২ শতাংশ

ছবি

শরিয়াহ ব্যাংকগুলোর আমানত এক মাসে বেড়েছে ৮ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা

ছবি

বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ ৩০০ শতাংশ বেড়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

tab

এপ্রিলে সব বন্দরে গ্রিন চ্যানেল চালু

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

আগামী বছরের এপ্রিলে সব বন্দরে ‘গ্রিন চ্যানেল’ চালু করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ব্যয় ও সময় কমবে। এনবিআর সূত্র বলেছে, সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছে এবং অতীত রেকর্ড ভালো এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এ ‘গ্রিন চ্যানেল’ সুবিধা পাবে। আর যোগ্য প্রতিষ্ঠান নিবার্চনের জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। তার আলোকেই সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হবে।

গ্রিন চ্যানেল ব্যবহার করলে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের কায়িক কোন পরীক্ষার প্রয়োজন পড়বে না। বন্দরে জাহাজ ভেড়ার পর বিল অফ এন্ট্রি দাখিল করলেই প্রযোজ্য শুল্ক-কর পরিশোধ করে দ্রুত পণ্য খালাস করা যাবে। একইভাবে রপ্তানিকারকরাও তাদের পণ্য দ্রুত শিপমেন্ট করতে পারবেন। যেসব দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্রিন চ্যানেল ব্যবহারের সুবিধা পাবে, তাদের মালামাল খালাস ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হবে। সে সুবাদে বন্দরে মালামাল আটকে থাকার জন্য যে ক্ষতি হয়, তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। পণ্য লোড-আনলোড বা ওঠানামার খরচ লাগবে না। লিড টাইম কমবে। ফলে ব্যাবসা-বাণিজ্য সহজ হওয়ার পাশাপাশি খরচ কমবে।

এনবিআর সূত্র আরও বলেন, ‘কাস্টমসকে আধুনিকায়ন করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর। তারই অংশ হিসেবে গ্রিন চ্যানলে চালু করা হচ্ছে। অথরাইজড ইকনোমিক অপারেটর বা এইওর আওতায় এটি চালু করা হচ্ছে।’

কাস্টমসকে আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে অথরাইজড ইকনোমিক অপারেটর চালু করা হয় ২০১৯ সালে। এটি চালুর উদ্দেশ্য হলো আমদানি পণ্য দ্রুত খালাস ও রপ্তানি পণ্য দ্রুত শিপমেন্ট করা। যেসব প্রতিষ্ঠান যোগ্য বিবেচিত হবে, শুধু তারাই গ্রিন চ্যানেল ব্যবহার করতে পারবে। বিশ্ব শুল্ক সংস্থা (ডব্লিউওসি) ২০০৫ সালে পণ্যের নির্বিঘ্ন চলাচলের জন্য এইও কর্মসূচি চালু করে। কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সহজ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালে বিদ্যমান শুল্ক আইন সংশোধন করে। ২০১৮ সালে এনবিআর এইও সুবিধা পাওয়ার মানদন্ড উল্লেখ করে একটি আদেশ জারি করে। পরের বছর ওষুধ খাতের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে এ সুবিধা দেয়া হয়। যদিও প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো গ্রিন চ্যানেলের সুবিধা পায়নি।

সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ৬১টি প্রতিষ্ঠান অথরাইজড ইকনোমিক অপারেটর (গ্রিন চ্যানেল) সুবিধা পাওয়ার জন্য এনবিআরের কাছে আবেদন করেছে। এর মধ্যে ২৪টিকে যোগ্য বলে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনটি প্রতিষ্ঠানকে অথরাইজড ইকনোমিক অপারেটরের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এগুলো হলো বেক্সিমকো, স্কয়ার ও ইনসেপটা। যদিও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, পণ্য খালাসে কোন হেরফের হয়নি এখনো। এনবিআর বলেছে, এইও চালুর জন্য কিছু প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে, এপ্রিলে এটি চালু করা যাবে।

কাস্টমস সূত্র বলেছে, আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে গ্রিন চ্যানেল ব্যবহারের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। শীঘ্রই তাদের অনুমোদন দেবে এনবিআর। পাইপলাইনে আছে আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। কাস্টমস নিরীক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, যারা গ্রিন চ্যানেল ব্যবহারের অনুমতি পাবে, তাদের আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত তথ্য দেখভাল করার জন্য বিশেষ সফটওয়্যার ডেভেলপ করা হচ্ছে। এই সফটওয়্যার এনবিআরের এসআই কুডা সিস্টেমের সঙ্গে ডিজিটাল সংযোগ বা কানেক্ট করা হবে। এটা করা হলে যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্রীয়ভাবে এনবিআরে বসেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

কয়েকটি নির্দিষ্ট মানদন্ডের ভিত্তিতে এইও সুবিধা দেয়া হয়। এর মধ্যে কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর আইনের আওতায় সন্তোষজনক কমপ্লায়েন্স রেকর্ড থাকতে হবে। আবেদনকারীকে আগের তিন বছর অপরাধমুক্ত থাকতে হবে। কোন রাজস্ব বকেয়া থাকা যাবে না; যেকোন মামলায় জরিমানার পরিমাণ মোট পণ্য বা সেবামূল্যের ১ শতাংশের বেশি হওয়া যাবে না।

এ ছাড়া আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত মূলধন কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন অন্তত ৫ কোটি টাকা হতে হবে। আর বার্ষিক আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ন্যূনতম ৫ কোটি টাকা হতে হবে। এ ব্যবস্থা পরীক্ষামূলক চালু হওয়ার সময় এনবিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এক মাসের মধ্যে টেক্সটাইল, ওষুধ ও চামড়া খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে আরও ১০টি প্রতিষ্ঠানকে এইও সনদ দেয়ার জন্য বাছাই করা হবে, কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনটি প্রতিষ্ঠানকে এইওর আওতায় আনা হয়েছে।

ডব্লিউসিওর তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে এইও সনদ পাওয়া প্রতিষ্ঠান ১১ হাজার ২০টি। ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ১৭ হাজার ৮৯৫টি, চীনে ৩ হাজার ২০৩টি, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৮৪৫টি এবং জাপানে ৭০৬টি।বিশ্বব্যাংকের সবশেষ ২০২০ সালের ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ প্রতিবেদনে ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৮তম। কাস্টমস ও বন্দরে দক্ষতার অভাব বাংলাদেশের এই পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ।এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের ২০১৮ সালের লজিস্টিক পারফরম্যান্স ইনডেক্স (এলপিআই) অনুযায়ী চীন, ভিয়েতনাম, ভারত, কম্বোডিয়াসহ প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। এই সূচকেও বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স করেছিল।

back to top