alt

দেশে মোটরসাইকেল বিক্রি কমলেও নিবন্ধন বেড়েছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

দেশের মোটরসাইকেল খাতে বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ডলার সংকটের কারণে মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানি কমেছে, তবে খরচ বেড়েছে। এতে বাজারে মোটরসাইকেলের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। সব মিলিয়ে ২০২২ সালে দেশে মোটরসাইকেলের বিক্রি আগের বছরের তুলনায় কমেছে। তবে বিক্রি কমলেও গত বছর দেশে মোটরসাইকেল নিবন্ধনের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের প্রথম তিন মাস জানুয়ারি থেকে মার্চে দেশে মোটরসাইকেল বিক্রিতে প্রবৃদ্ধি হয় ৭ শতাংশ। অর্থাৎ ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় গত বছর বিক্রি ৭ শতাংশ বেশি হয়েছে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক এপ্রিল-জুনে প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ শতাংশ। কিন্তু জুলাই মাস থেকে বেচাকেনায় মন্দা শুরু হয়। ফলে গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মোটরসাইকেল বিক্রি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ শতাংশ কমে। আর শেষ প্রান্তিকে বিক্রি ৩০ শতাংশ হ্রাস পায়। সরকার নিবন্ধনের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করায় মোটরসাইকেল কেনার সময়ই অধিকাংশ নিবন্ধন হচ্ছে। নতুন গ্রাহকেরাও আইনি জটিলতা এড়াতে নিয়ম মেনে চলছেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, সব মিলিয়ে ২০২২ সালে দেশে মোটরসাইকেল বিক্রি হয় ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৬৮৯টি। এর আগের বছর বিক্রি হয়েছিল ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৯২৫টি মোটরসাইকেল। অর্থাৎ এক বছরে মোটরসাইকেল বিক্রি কমেছে ২৩৬টি। ব্যবসায়ীরা জানান, স্বাভাবিকভাবে এই খাতে ১৫-২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়ে থাকে। চাহিদা কমায় এখন খাতটি বেশ চাপের মধ্যে পড়েছে।

বেশ কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশে মোটরসাইকেল বিক্রির হার ভালো ছিল। তবে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় জুন মাস থেকে ব্যবসায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে। এতে মোটরসাইকেলের আমদানি ব্যয় ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।

অন্যদিকে অর্থনৈতিকভাবে চাপে পড়ায় সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে মোটরসাইকেল কেনার চাহিদা কমতে থাকে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোন উন্নতি না হলে চলতি ২০২৩ সালেও মোটরসাইকেল খাতে নেতিবাচক অবস্থা থাকবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এসিআই মোটরসের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত সরকার বলেন, ‘বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ চলতি জানুয়ারিতে এখনও সেভাবে মোটরসাইকেল বিক্রি হয়নি। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে বিক্রি বাড়বে না।’

দেশে অনেকগুলো মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডের নিজস্ব কারখানা রয়েছে। তারা বিদেশ থেকে কাঁচামাল এনে নিজেদের কারখানায় মোটরসাইকেল সংযোজন করে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে গত বছরের শেষ ছয় মাসে ঋণপত্র (এলসি) খোলা নিয়ে সমস্যায় পড়েন ব্যবসায়ীরা। এ সময়ে কাঁচামাল আমদানির খরচ ২০-২৫ শতাংশ বেড়েছে। এতে ঋণপত্র খোলার পরিমাণ কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। এর ফলে কাঁচামাল আমদানি কমেছে।

পাশাপাশি দেশে যেসব প্রস্তুত মোটরসাইকেল আসত, সেগুলোর আমদানিও এক প্রকার বন্ধ রয়েছে। ফলে ব্র্যান্ডভেদে প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত মোটরসাইকেলের দাম বেড়েছে। দেশের শীর্ষ সাতটি মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডের মধ্যে গত বছর বিক্রি বেড়েছে তিনটির, কমেছে চারটির।

এছাড়া ভারত ও চীনের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল বিক্রিও ২৯ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। এসিআই মোটরসের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস বলেন, ‘এমনিতেই মোটরসাইকেল নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা রয়েছে। সরকার মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি দিচ্ছে না। পদ্মা সেতুর মতো জনপ্রিয় জায়গাগুলোতে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া যায় না। এসব কারণে গ্রাহকেরা মোটরসাইকেল কেনায় নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।’

এদিকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল কেনা যাবে না এ রকম বিধিনিষেধের কারণেও মোটরসাইকেল বিক্রি কমেছে বলে জানান টিভিএস অটো বাংলাদেশের সিইও বিপ্লব কুমার রায়।

তিনি বলেন, মোটরসাইকেল অত্যাবশ্যক পণ্য না হলেও প্রয়োজনীয় একটি বাহন। বিক্রির সময় নিবন্ধন যাচাইয়ের বিষয়টি না রেখে কেবল সড়কেই (ট্রাফিক পুলিশের কাছে) রাখা উচিত। এছাড়া মোটরসাইকেল কেনার জন্য ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

দেশে ২০২২ সালে বিক্রি কমলেও মোটরসাইকেল নিবন্ধনের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৫৬ লাখের মতো। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যাই ৪০ লাখের বেশি। ২০১০ সালে দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছিল সাড়ে সাত লাখের মতো। এরপর ২০২০ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে ২৩ লাখ ৭০ হাজার মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয়। ২০২১ সালে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয়। আর গত বছর নিবন্ধিত হয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৯১২টি মোটরসাইকেল। অর্থাৎ এক বছরে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার নিবন্ধন বেড়েছে। এটি গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এক বছরের অভিজ্ঞতা ও ৫ লাখ টাকার বিনিয়োগ ছাড়া মিলবে না মার্জিন ঋণ

ছবি

পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত, যেভাবে টাকা ফেরত পাবেন আমানতকারীরা

ছবি

অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নর পদত্যাগ না করলে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাওয়ের হুমকি

ছবি

সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় কমেছে লেনদেন

ছবি

ই-কমার্স রপ্তানির সীমা দ্বিগুণ, ওয়ালেটে অর্থ আনার সুবিধা

ছবি

পাঁচ বছরের বেশি পুরোনো গাড়ি আমদানির প্রস্তাব

ছবি

তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে চায় আইএমএফ

ছবি

কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়োগকৃত প্রশাসক পাঁচ ব্যাংক একীভূত করবে, আমানতকারীরা নিরাপদ

ছবি

মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে, ৩৯ মাসে সর্বনিম্ন

ছবি

ডিএসইএক্স সূচক ৪ মাস পর পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে

ছবি

আর্থিক সংকটে থাকা শরিয়াহভিত্তিক ৫ ব্যাংকের বোর্ড বাতিল

ছবি

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন না হলে খাদ্য সংকট বাড়বে: কর্মশালায় বক্তারা

ছবি

জার্মান রাষ্ট্রদূত ও বিজিএমইএ সভাপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

বন্ড ছেড়ে ২৫০০ কোটি টাকা তুলবে সরকার

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ বিলিয়ন ডলারে সয়াবিন কিনবে তিন প্রতিষ্ঠান

ছবি

জাপানি উপকরণ ও প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ শুরু

ছবি

বাংলাদেশে তুলা রপ্তানিতে জটিলতার সমাধান চান যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা

ছবি

টানা তিন মাস কমলো দেশের পণ্য রপ্তানি

ছবি

শেয়ারবাজারে দরপতন চলছেই

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে চায় ১২ প্রতিষ্ঠান

ছবি

নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর সমন্বয় ছাড়া আর্থিক খাতের সংস্কার টেকসই হবে না, আলোচনায় বক্তারা

ছবি

বে টার্মিনাল চালু হলে আমদানি-রপ্তানি খাতে নতুন যুগের সূচনা হবে: বন্দর চেয়ারম্যান

ছবি

সূচকের পতনে দাম কমল ৩০০ কোম্পানির

ছবি

বিদেশী ঋণের ১৯০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে সামিট মেঘনাঘাট

ছবি

বাজুসের নতুন সভাপতি এনামুল

ছবি

পরপর দুই মাস রেমিট্যান্স এসেছে আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংকের আবেদন করেছে আকিজ রিসোর্স

ছবি

তিন দিনের পর্যটন মেলায় ৪০ কোটি টাকার ব্যবসা

ছবি

বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে সোয়াপ করে টাকা তোলা যাবে

ছবি

বিটিআরসির প্রস্তাবিত নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে ইন্টারনেটের দাম বাড়বে: আইএসপিএবি

ছবি

বাজারে রেসি ব্র্যান্ডের হাই ক্যাপাসিটি পাওয়ার ব্যাংক

ছবি

মৌসুমের দ্বিতীয় দিনেও সেন্ট মার্টিনে পর্যটকের উপস্থিতি নেই, হতাশ ব্যবসায়ীরা

ছবি

চালু হলো এমএফএস ও ব্যাংক আন্তলেনদেন

ছবি

ডিএসইতে অধিকাংশ শেয়ারে দরপতন, লেনদেন ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে বার্থ-শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর নিয়োগ ৩ মাস স্থগিত

ছবি

‘বিডাকে দ্রুত পরিবর্তিত বিনিয়োগ পরিবেশের সঙ্গে তাল মেলাতে হবে’

tab

দেশে মোটরসাইকেল বিক্রি কমলেও নিবন্ধন বেড়েছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

দেশের মোটরসাইকেল খাতে বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ডলার সংকটের কারণে মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানি কমেছে, তবে খরচ বেড়েছে। এতে বাজারে মোটরসাইকেলের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। সব মিলিয়ে ২০২২ সালে দেশে মোটরসাইকেলের বিক্রি আগের বছরের তুলনায় কমেছে। তবে বিক্রি কমলেও গত বছর দেশে মোটরসাইকেল নিবন্ধনের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের প্রথম তিন মাস জানুয়ারি থেকে মার্চে দেশে মোটরসাইকেল বিক্রিতে প্রবৃদ্ধি হয় ৭ শতাংশ। অর্থাৎ ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় গত বছর বিক্রি ৭ শতাংশ বেশি হয়েছে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক এপ্রিল-জুনে প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ শতাংশ। কিন্তু জুলাই মাস থেকে বেচাকেনায় মন্দা শুরু হয়। ফলে গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মোটরসাইকেল বিক্রি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ শতাংশ কমে। আর শেষ প্রান্তিকে বিক্রি ৩০ শতাংশ হ্রাস পায়। সরকার নিবন্ধনের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করায় মোটরসাইকেল কেনার সময়ই অধিকাংশ নিবন্ধন হচ্ছে। নতুন গ্রাহকেরাও আইনি জটিলতা এড়াতে নিয়ম মেনে চলছেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, সব মিলিয়ে ২০২২ সালে দেশে মোটরসাইকেল বিক্রি হয় ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৬৮৯টি। এর আগের বছর বিক্রি হয়েছিল ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৯২৫টি মোটরসাইকেল। অর্থাৎ এক বছরে মোটরসাইকেল বিক্রি কমেছে ২৩৬টি। ব্যবসায়ীরা জানান, স্বাভাবিকভাবে এই খাতে ১৫-২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়ে থাকে। চাহিদা কমায় এখন খাতটি বেশ চাপের মধ্যে পড়েছে।

বেশ কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশে মোটরসাইকেল বিক্রির হার ভালো ছিল। তবে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় জুন মাস থেকে ব্যবসায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে। এতে মোটরসাইকেলের আমদানি ব্যয় ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।

অন্যদিকে অর্থনৈতিকভাবে চাপে পড়ায় সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে মোটরসাইকেল কেনার চাহিদা কমতে থাকে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোন উন্নতি না হলে চলতি ২০২৩ সালেও মোটরসাইকেল খাতে নেতিবাচক অবস্থা থাকবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এসিআই মোটরসের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত সরকার বলেন, ‘বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ চলতি জানুয়ারিতে এখনও সেভাবে মোটরসাইকেল বিক্রি হয়নি। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে বিক্রি বাড়বে না।’

দেশে অনেকগুলো মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডের নিজস্ব কারখানা রয়েছে। তারা বিদেশ থেকে কাঁচামাল এনে নিজেদের কারখানায় মোটরসাইকেল সংযোজন করে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে গত বছরের শেষ ছয় মাসে ঋণপত্র (এলসি) খোলা নিয়ে সমস্যায় পড়েন ব্যবসায়ীরা। এ সময়ে কাঁচামাল আমদানির খরচ ২০-২৫ শতাংশ বেড়েছে। এতে ঋণপত্র খোলার পরিমাণ কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। এর ফলে কাঁচামাল আমদানি কমেছে।

পাশাপাশি দেশে যেসব প্রস্তুত মোটরসাইকেল আসত, সেগুলোর আমদানিও এক প্রকার বন্ধ রয়েছে। ফলে ব্র্যান্ডভেদে প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত মোটরসাইকেলের দাম বেড়েছে। দেশের শীর্ষ সাতটি মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডের মধ্যে গত বছর বিক্রি বেড়েছে তিনটির, কমেছে চারটির।

এছাড়া ভারত ও চীনের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল বিক্রিও ২৯ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। এসিআই মোটরসের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস বলেন, ‘এমনিতেই মোটরসাইকেল নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা রয়েছে। সরকার মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি দিচ্ছে না। পদ্মা সেতুর মতো জনপ্রিয় জায়গাগুলোতে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া যায় না। এসব কারণে গ্রাহকেরা মোটরসাইকেল কেনায় নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।’

এদিকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল কেনা যাবে না এ রকম বিধিনিষেধের কারণেও মোটরসাইকেল বিক্রি কমেছে বলে জানান টিভিএস অটো বাংলাদেশের সিইও বিপ্লব কুমার রায়।

তিনি বলেন, মোটরসাইকেল অত্যাবশ্যক পণ্য না হলেও প্রয়োজনীয় একটি বাহন। বিক্রির সময় নিবন্ধন যাচাইয়ের বিষয়টি না রেখে কেবল সড়কেই (ট্রাফিক পুলিশের কাছে) রাখা উচিত। এছাড়া মোটরসাইকেল কেনার জন্য ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

দেশে ২০২২ সালে বিক্রি কমলেও মোটরসাইকেল নিবন্ধনের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৫৬ লাখের মতো। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যাই ৪০ লাখের বেশি। ২০১০ সালে দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছিল সাড়ে সাত লাখের মতো। এরপর ২০২০ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে ২৩ লাখ ৭০ হাজার মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয়। ২০২১ সালে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয়। আর গত বছর নিবন্ধিত হয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৯১২টি মোটরসাইকেল। অর্থাৎ এক বছরে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার নিবন্ধন বেড়েছে। এটি গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

back to top