দেশে মার্কিন ডলারের সংকট চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সংকট কাটাতে নেয়া হয়েছে নানান পদক্ষেপ। এরপরও মিলছে না কাংক্ষিত ফল। তবে এর মাঝেই সুখবর এসেছে রেমিট্যান্সে। নতুন বছরে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। চলতি মাস জানুয়ারির ২৭ তারিখ পর্যন্ত ১৬৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসাবে) প্রায় ১৮ হাজর কোটি টাকা।
সেই হিসাবে প্রতিদিন আসছে ৬ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রায় দুই বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসতে পারে। এর আগের মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে এসেছিল ১৬৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। এর পরের মাস সেপ্টেম্বর থেকে টানা পাঁচ মাস দেড় বিলিয়ন ডলারের ঘরেই থেকে যায় রেমিট্যান্স।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই-এ এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, আগস্টে এসেছিল ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এরপরই কমতে থাকে রেমিট্যান্স প্রবাহ। পরের মাস সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার আর আর সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বরে ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার পাঠান বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা।
আলোচিত সময়ে সাত ব্যাংকে কোন রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পারেনি। এগুলো হলো- বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কোন রেমিট্যান্স আসেনি।
বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসী আয় এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি রিজার্ভ ৩২ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী রিজার্ভ হিসাব করলে আরও আট বিলিয়নের মতো কমে যাবে। সেই হিসাবে এখন প্রকৃত রিজার্ভ বা বিদেশী মুদ্রার মজুদ আছে সাড়ে ২৪ বিলিয়ন ডলার যা গত ৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৫ বিলিয়ন ডলার।
মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
দেশে মার্কিন ডলারের সংকট চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সংকট কাটাতে নেয়া হয়েছে নানান পদক্ষেপ। এরপরও মিলছে না কাংক্ষিত ফল। তবে এর মাঝেই সুখবর এসেছে রেমিট্যান্সে। নতুন বছরে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। চলতি মাস জানুয়ারির ২৭ তারিখ পর্যন্ত ১৬৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসাবে) প্রায় ১৮ হাজর কোটি টাকা।
সেই হিসাবে প্রতিদিন আসছে ৬ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রায় দুই বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসতে পারে। এর আগের মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে এসেছিল ১৬৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। এর পরের মাস সেপ্টেম্বর থেকে টানা পাঁচ মাস দেড় বিলিয়ন ডলারের ঘরেই থেকে যায় রেমিট্যান্স।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই-এ এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, আগস্টে এসেছিল ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এরপরই কমতে থাকে রেমিট্যান্স প্রবাহ। পরের মাস সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার আর আর সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বরে ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার পাঠান বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা।
আলোচিত সময়ে সাত ব্যাংকে কোন রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পারেনি। এগুলো হলো- বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কোন রেমিট্যান্স আসেনি।
বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসী আয় এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি রিজার্ভ ৩২ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী রিজার্ভ হিসাব করলে আরও আট বিলিয়নের মতো কমে যাবে। সেই হিসাবে এখন প্রকৃত রিজার্ভ বা বিদেশী মুদ্রার মজুদ আছে সাড়ে ২৪ বিলিয়ন ডলার যা গত ৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৫ বিলিয়ন ডলার।