alt

অর্থ-বাণিজ্য

জানুয়ারিতেও ৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে রপ্তানি আয়

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

শিল্প মালিকদের আশঙ্কা ভুল প্রমাণ করে গত দুই মাসের ধারাবাহিকতায় জানুয়ারির রপ্তানি আয়ও ৫ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছে।

বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, জানুয়ারিতে পণ্য রপ্তানি করে ৫১৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ।

এই আয় আগের বছরের একই মাসের ৪৮৫ কোটি ডলারের চেয়ে ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি। তবে এবারের জানুয়ারির ৫২৪ কোটি ৬০ লাখ ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ১০ শতাংশ কম।

গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসেও ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য রপ্তানি করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। সবশেষ ডিসেম্বর মাসে ৫৩৬ কোটি ৫২ লাখ ডলার আয় হয় রপ্তানি থেকে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

জানুয়ারি মাস শেষে অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রপ্তানি থেকে ২৯ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছিল বাংলাদেশের।

ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে গত চার মাস ধরেই দেশে ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ার কথা বলে আসছিলেন প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকের শিল্প মালিকরা। এর সঙ্গে দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট যুক্ত হওয়ায় রপ্তানি খাতের দুরাবস্থা বোঝাতে জানুয়ারি মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক দিকে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তারা। তবে বাস্তবে তা ঘটেনি।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “কারখানাগুলোতে এই মুহূর্তে পরিপূর্ণ অর্ডার নেই। আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত হয়ত এমন পরিস্থিতি বিরাজ করবে, একটা চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাংকের সুদহার বেড়ে যাচ্ছে, মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে বাজারে পোশাকের চাহিদা কমে যায়।”

এমন পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ রপ্তানিতে ভালো করার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “আমাদের ভাগ্য ভালো যে, আমরা কিছু উচ্চমূল্যের পোশাকের বাজার ধরতে পেরেছি। বিশ্বে এখন আমাদের ইমেজ আগের চেয়ে বেড়েছে। আগে যেখানে ১০ ডলারের বেশি দামের শার্টের অর্ডার এ দেশে আসত না, এখন সেখানে ২০ ডলারের শার্টের অর্ডারও আমরা পাচ্ছি। ১৫ ডলারের জ্যাকেটের পাশাপাশি এখন ২৫/৩০, এমনকি ৩৫ ডলারের জ্যাকেটের অর্ডারও আসছে।

“ভারত, কোরিয়া, জাপানের মত অপ্রচলিত বাজারে আমাদের পণ্য রপ্তানির হার বেড়েছে। এসব কারণেই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও রপ্তানি আয় শক্তিশালী হচ্ছে।”

বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি আছে কিংবা ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি হয়েছে, যাই বলুন না কেন- আমরা কিন্তু ভালো নেই।

“গ্রোথ দেখা যাচ্ছে ভালো, কিন্তু কীভাবে এটা ভালো হচ্ছে আমরা বুঝছি না। আমাদের গ্রোথ ভালো নেই, আমরাও ভালো নেই। একটা শিল্পের যত ধরনের সংকট মোকাবেলা করার আছে, বর্তমানে সব ধরনের সংকটই বিদ্যমান।”

এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “গ্যাস নেই, উৎপাদন নেই, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, গ্যাসের দাম বেড়েছে। আনুসঙ্গিক সব কাঁচামালের দাম বেড়েছে, রপ্তানি আদেশ কমেছে। ক্রেতারা পণ্য নিয়ে পয়সা দিচ্ছে না, অনেক সময় ১৮০ দিন ২০০ দিনও বিলম্ব করছে। তৈরি হওয়া পণ্যের শিপমেন্ট নিচ্ছে না। ব্যাংক ব্যাক টু ব্যাক এলসি নিচ্ছে না। কারণ আমাদের অনেকেই আগের এলসির দাম পরিশোধ করতে পারিনি।”

টানা তিন মাস ধরে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি থাকা প্রসঙ্গে হাতেম বলেন, “কিছু সংখ্যক রপ্তানিকরক হয়ত ভালো করছে, সে কারণে এমন একটা রপ্তানি আয় আমরা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ রপ্তানিকারকের অবস্থা ভালো নেই।”

জানুয়ারির শেষে রপ্তানি আয়ের মূল চালিকা শক্তি পোশাক খাতও সামগ্রিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধির চেয়ে তুলনামূলক এগিয়ে আছে। সাত মাসে রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৭৪১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পোশাক, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রপ্তানি হয়েছিল ২৩৯৮ কোটি ৫২ লাখ ডলারের পোশাক পণ্য।

রপ্তানির অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতগুলোর মধ্যে কৃষিপণ্য গত বছরের চেয়ে ২৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য ২১ দশমিক ২২ শতাংশ পিছিয়ে গেছে।

বছরের প্রথম সাত মাসে কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৫৫ কোটি ৫২ লাখ ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ে ৭৪ কোটি ৮৯ লাখ ডলার ছিল।

এই সাত মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫৪ কোটি ৮১ লাখ ডলারের যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৯ কোটি ৫৭ লাখ ডলার।

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের খাত এই সাত মাসে এক বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করতে না পারলেও ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ৭৩ কোটি ৩০ লাখ ডলারের চামড়া পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬৮ কোটি ২৭ লাখ।

সিএজি কার্যালয়ের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন

ছবি

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে নতুন গ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাসিস্টেন্টদের নিয়োগপত্র প্রদান

ছবি

ছয় নারী উদ্যোক্তা পেলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মাননা

ছবি

শুধু ভালো ব্যাংকগুলোই বিদেশে ব্যবসা করতে পারবে

সিএজি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন

ছবি

৭ দিনে ৯ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স

ছবি

পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানি ১০ শতাংশ বেড়েছে

ছবি

পাবজি মোবাইলের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বে ইনফিনিক্স

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে ফিলিপসের নতুন মনিটর

ছবি

শাওমির ১০ কোটি টাকার ঈদ ক্যাম্পেইন

ছবি

অর্থনৈতিক সুরক্ষায় নতুন অধ্যাদেশ: দেউলিয়া ব্যাংক সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নিতে পারবে সরকার

রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলীকে চাকরিচ্যুত

ছবি

দুর্বল ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় নতুন অধ্যাদেশ জারি, গঠিত হবে ব্রিজ ব্যাংক

ছবি

চট্টগ্রাম চেম্বারের নির্বাচনের জন্য প্রশাসকের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি

ছবি

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের নতুন কান্ট্রি চিফ রিস্ক অফিসার এনামুল হক

ছবি

বিকেএমইএ নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী প্রোগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্স

জেপি মরগান পেমেন্টসের ‘ওয়্যার ৩৬৫’ চালু করলো ব্র্যাক ব্যাংক

ছবি

রুগ্ন শিল্পের জন্য কার্যকর এক্সিট পলিসি প্রণয়নে কাজ করবে ফোরাম

ছবি

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নেয়া যাবে

ছবি

কমিশন বাড়ানোসহ ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি জ্বালানি খাতের ব্যবসায়ীদের

ছবি

চব্বিশ ঘন্টা গ্যাস বিক্রির সুযোগ চান সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকরা

ব্যাংকের নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরির সময় বাড়ল ৩১ মে পর্যন্ত

নতুন নীতিমালা, ব্যাংক পরিচালকদের বেনামি ঋণও হিসাবে আসবে

ছবি

পরপর পাঁচ সপ্তাহ পতনে বাজার মূলধন কমলো ২১ হাজার কোটি টাকা

ছবি

শেয়ারবাজারে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব ৯০ শতাংশ বিনিয়োগকারী

ছবি

মার্চে বেসরকারি ঋণে সুবাতাস

ছবি

কর অব্যাহতির ক্ষমতা এনবিআরের থাকছে না

দশ বছরের পুরাতন গাড়ি আমদানিযোগ্য করার দাবি বারভিডার

ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করল দুবাই চেম্বার

ছবি

১৭ ও ২৪ মে, দুই শনিবার ব্যাংক খোলা থাকবে

সঞ্চয়পত্র কেনায় রিটার্ন জমার প্রমাণ দেখানোর বাধ্যবাধকতা থাকছে না

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের

ছবি

ঈদুল আজহা সামনে রেখে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি ২১ মে থেকে

ছবি

এপ্রিল মাসে অর্থনীতির গতি কমেছে, পিএমআই সূচক নামলো ৮ দশমিক ৮ পয়েন্টে

অনিবন্ধিত ও মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার

বাংলাদেশ জুড়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের টেকসই নানা উদ্যোগ

tab

অর্থ-বাণিজ্য

জানুয়ারিতেও ৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে রপ্তানি আয়

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

শিল্প মালিকদের আশঙ্কা ভুল প্রমাণ করে গত দুই মাসের ধারাবাহিকতায় জানুয়ারির রপ্তানি আয়ও ৫ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছে।

বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, জানুয়ারিতে পণ্য রপ্তানি করে ৫১৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ।

এই আয় আগের বছরের একই মাসের ৪৮৫ কোটি ডলারের চেয়ে ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি। তবে এবারের জানুয়ারির ৫২৪ কোটি ৬০ লাখ ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ১০ শতাংশ কম।

গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসেও ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য রপ্তানি করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। সবশেষ ডিসেম্বর মাসে ৫৩৬ কোটি ৫২ লাখ ডলার আয় হয় রপ্তানি থেকে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

জানুয়ারি মাস শেষে অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রপ্তানি থেকে ২৯ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছিল বাংলাদেশের।

ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে গত চার মাস ধরেই দেশে ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ার কথা বলে আসছিলেন প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকের শিল্প মালিকরা। এর সঙ্গে দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট যুক্ত হওয়ায় রপ্তানি খাতের দুরাবস্থা বোঝাতে জানুয়ারি মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক দিকে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তারা। তবে বাস্তবে তা ঘটেনি।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “কারখানাগুলোতে এই মুহূর্তে পরিপূর্ণ অর্ডার নেই। আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত হয়ত এমন পরিস্থিতি বিরাজ করবে, একটা চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাংকের সুদহার বেড়ে যাচ্ছে, মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে বাজারে পোশাকের চাহিদা কমে যায়।”

এমন পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ রপ্তানিতে ভালো করার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “আমাদের ভাগ্য ভালো যে, আমরা কিছু উচ্চমূল্যের পোশাকের বাজার ধরতে পেরেছি। বিশ্বে এখন আমাদের ইমেজ আগের চেয়ে বেড়েছে। আগে যেখানে ১০ ডলারের বেশি দামের শার্টের অর্ডার এ দেশে আসত না, এখন সেখানে ২০ ডলারের শার্টের অর্ডারও আমরা পাচ্ছি। ১৫ ডলারের জ্যাকেটের পাশাপাশি এখন ২৫/৩০, এমনকি ৩৫ ডলারের জ্যাকেটের অর্ডারও আসছে।

“ভারত, কোরিয়া, জাপানের মত অপ্রচলিত বাজারে আমাদের পণ্য রপ্তানির হার বেড়েছে। এসব কারণেই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও রপ্তানি আয় শক্তিশালী হচ্ছে।”

বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি আছে কিংবা ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি হয়েছে, যাই বলুন না কেন- আমরা কিন্তু ভালো নেই।

“গ্রোথ দেখা যাচ্ছে ভালো, কিন্তু কীভাবে এটা ভালো হচ্ছে আমরা বুঝছি না। আমাদের গ্রোথ ভালো নেই, আমরাও ভালো নেই। একটা শিল্পের যত ধরনের সংকট মোকাবেলা করার আছে, বর্তমানে সব ধরনের সংকটই বিদ্যমান।”

এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “গ্যাস নেই, উৎপাদন নেই, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, গ্যাসের দাম বেড়েছে। আনুসঙ্গিক সব কাঁচামালের দাম বেড়েছে, রপ্তানি আদেশ কমেছে। ক্রেতারা পণ্য নিয়ে পয়সা দিচ্ছে না, অনেক সময় ১৮০ দিন ২০০ দিনও বিলম্ব করছে। তৈরি হওয়া পণ্যের শিপমেন্ট নিচ্ছে না। ব্যাংক ব্যাক টু ব্যাক এলসি নিচ্ছে না। কারণ আমাদের অনেকেই আগের এলসির দাম পরিশোধ করতে পারিনি।”

টানা তিন মাস ধরে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি থাকা প্রসঙ্গে হাতেম বলেন, “কিছু সংখ্যক রপ্তানিকরক হয়ত ভালো করছে, সে কারণে এমন একটা রপ্তানি আয় আমরা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ রপ্তানিকারকের অবস্থা ভালো নেই।”

জানুয়ারির শেষে রপ্তানি আয়ের মূল চালিকা শক্তি পোশাক খাতও সামগ্রিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধির চেয়ে তুলনামূলক এগিয়ে আছে। সাত মাসে রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৭৪১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পোশাক, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রপ্তানি হয়েছিল ২৩৯৮ কোটি ৫২ লাখ ডলারের পোশাক পণ্য।

রপ্তানির অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতগুলোর মধ্যে কৃষিপণ্য গত বছরের চেয়ে ২৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য ২১ দশমিক ২২ শতাংশ পিছিয়ে গেছে।

বছরের প্রথম সাত মাসে কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৫৫ কোটি ৫২ লাখ ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ে ৭৪ কোটি ৮৯ লাখ ডলার ছিল।

এই সাত মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫৪ কোটি ৮১ লাখ ডলারের যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৯ কোটি ৫৭ লাখ ডলার।

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের খাত এই সাত মাসে এক বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করতে না পারলেও ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ৭৩ কোটি ৩০ লাখ ডলারের চামড়া পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬৮ কোটি ২৭ লাখ।

back to top