রমজান শুরু হতে এখনও এক মাসের বেশি সময় বাকি। রমজানের সময় এই দেশে সাধারণত যেসব পণ্যের দাম বাড়ে, তার দাম এখনই বাড়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। ফার্মের মুরগির ডিমের দামও বাড়তি। বাড়তি মাছ-মাংসের দামও। ফের সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচেরও। চালও বাড়তি দামে স্থির। এখনও বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে চিনি, কয়েক দফা দাম বাড়িয়েও নিয়ন্ত্রণে আসছে না পণ্যটি।
সিন্ডিকেটের কারণে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা অভিযোগ করছেন। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে মাসের পনের তারিখের মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন। মাসের বাকি পনের দিন ধার দেনায় টানাহেচরা করে সংসার চালাচ্ছেন। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া যায়।
ব্রয়লার মুরগির দাম রেকর্ড গড়েছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৩৫ টাকায়।
দামের বিষয়ে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের খুচরা মুরগি ব্যবসায়ী জিসান সংবাদকে বলেন, ‘গত চব্বিশ দিন ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়তেই আছে। দাম কোথায় গিয়ে দাড়াবে জানি না। কেজিতে দুই চার টাকা বাড়লেও কথা ছিল, কিন্তু সপ্তাহে বিশ-ত্রিশ টাকা করে বাড়ছে। তিন সপ্তাহ আগে যে মুরগি কেজি একশ’ ৪৫ টাকায় বিক্রি করেছি, সেই মুরগিই আজ দুইশ’ ৩০ টাকায় বিক্রি করছি। আমরা কি যে একটা প্যারার মধ্যে আছি, দিন দিন বেচা-বিক্রি কমে যাচ্ছে।’
ব্রয়লার মুরগি দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে রাজধানীর শান্তিনগর বাজারের মনির ব্রয়লার হাউজের স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘যেখানে ঘাট, সেখানে সিন্ডিকেট কইরা ফেলাইলে আমরা কী করবো? দাম আরও বাড়তে পারে কমার কোন সম্ভাবনা দেখছি না।’
সংসার ও দামের বিষয়ে জানতে চাইলে একই দোকানে ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মো. জাহেদুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘ভালো না, খুবই খারাপ অবস্থা। গত এক বছরে প্রায় প্রত্যেক জিনিসের দাম ডবল হয়েছে কিন্তু বেতন তো ডবল হয়নি। যারা সংসার চালান তারা বোঝেন কতো ধানে কতো চাল।’
তিনি হাত উঁচিয়ে সাদা পলিথিনে মোড়া ব্রয়লার মুরগি দেখাইয়া বলেন, ‘দ্যাখেন, একশ’ দশ-বিশ টাকার ব্রয়লার মুরগি আজ ডবল দামে দুইশ’ ত্রিশ টাকায় কিনতে হলো। ষাট-সত্তর টাকার লাল চিনি দেরশ’ টাকায় কিনতে হচ্ছে। রোজা শুরুই হয়নি, এখনও এক মাসের বেশি বাকি আছে, তার আগেই মাছ-মাংস-ডিমের দাম বাড়ায় দিছে। আর তেল-চাল-ডাল-আটা-ময়দার দামতো মাথার ওপর উঠে আছে, আদৌ নামবে কি-না সংসয় আছে। ছোলা বুটের দাম কেজি একশ’ টাকা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মাসের পনের তারিখ আসলেই বেতনের টাকা শেষ হয়ে যায়, আর চলতে পারি না। তারপর বাকি পনের দিন চালাতে শুরু হয় ধার-দেনা। প্রত্যেক মাসেই টানা-হেচরার মধ্য দিয়ে চলতে হচ্ছে! সরকার যদি সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং করতো তাহলে সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এতো দাম বাড়ানোর সাহস পেতো না। বেশিরভাগ বড় ব্যবসায়ী ও বড় আমলারা মিলে সিন্ডিকেটর মাধ্যমে আমাদের মতো সাধারণ মানুদের রক্ত চুষে খাচ্ছে আর সরকার সারিন্দা বাজাচ্ছে।’
উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও অনেক খামার বন্ধ হওয়ায় বাজারে ডিম ও মুরগির সংকট দেখা দিয়েছে। তাতে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী দাম বাড়াচ্ছেন উল্লেখ করে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ‘খাদ্য ও বাচ্চার মূল্যবৃদ্ধির ফলে মুরগির দাম একটু বাড়তে পারে। তবে এখনকার দাম মাত্রাতিরিক্ত। এত বেশি দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হোক, সেটি আমরাও চাই না। কারণ, প্রান্তিক খামারিরা বাড়তি দাম পাচ্ছেন না।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘বাজারে ডিম ও মুরগির দাম ঠিক কত হলে যৌক্তিক হবে, সেটি নির্ধারণ করা নেই। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সেই সুযোগও নেই। তবে সরকার যেসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়ে থাকে, সেসব পণ্যের দামে ক্রেতারা ঠকছেন কি না, সেটি নিয়মিতভাবে তদারক করা হয়।’
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, চাষের পাঙ্গাস মাছও কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, কৈ মাছ ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা আর তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি ইলিশ মাছ কেজিতে বেড়েছে ২০০ টাকা। ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়, যা এক মাস আগেও ৮০০ টাকায় পাওয়া যেত।
এছাড়া এক কেজির ওপর রুই মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, মৃগেল ২৮০ টাকা, মলা ৩৬০, কাচকি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে গরুর মাংস আগের দামেই কেজি ৭০০ টাকার কমে বিক্রি হচ্ছে না আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।
বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। পাশাপাশি হাঁসের ডিম ডজনে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়।
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দামও কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। গত সপ্তাহ আগে কাঁচামরিচের কেজিতে ২০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হয়েছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। আর এ সপ্তাহে আবার কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, দেশি রসুন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, আমদানি করা বড় আকারের রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২২০ টাকা আর দেশি আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেঁধে দেয়া দামে নয়, এখনও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে খোলা চিনি! প্যাকেট চিনি মাঝে মাঝে পাওয়া গেলেও খোলা বাজারে খোলা সাদা চিনি কেজিতে ১১০ থেকে ১২০ টাকা এবং খোলা লাল চিনি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে! এছাড়া খোলা আটা ৬০ টাকা ও খোলা ময়দা ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে মান ও বাজার ভেদে স্বর্ণা জাতের মোটা চাল কেজি ৫০ থেকে ৫২ টাকা, পাইজাম ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫৮ থেকে ৬২ টাকা, মিনিকেট মানভেদে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মানভেদে চিনিগুরা চাল কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় ।
রাজধানীর শান্তিনগর বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী ভাই ভাই রাইচ স্টোরের স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘মাঝারি মানের চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন করে আতব চালের দাম বেড়েছে। আগের মতো বেচা-বিক্রি হচ্ছে না। কারণ চালের দাম বাড়ার পর অনেক মানুষ নিজ এলাকার বাজার থেকে নিয়ে আসছে’ জিনিস পত্রের দাম প্রতিদিনেই বাড়ছে।’
শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
রমজান শুরু হতে এখনও এক মাসের বেশি সময় বাকি। রমজানের সময় এই দেশে সাধারণত যেসব পণ্যের দাম বাড়ে, তার দাম এখনই বাড়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। ফার্মের মুরগির ডিমের দামও বাড়তি। বাড়তি মাছ-মাংসের দামও। ফের সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচেরও। চালও বাড়তি দামে স্থির। এখনও বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে চিনি, কয়েক দফা দাম বাড়িয়েও নিয়ন্ত্রণে আসছে না পণ্যটি।
সিন্ডিকেটের কারণে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা অভিযোগ করছেন। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে মাসের পনের তারিখের মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন। মাসের বাকি পনের দিন ধার দেনায় টানাহেচরা করে সংসার চালাচ্ছেন। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া যায়।
ব্রয়লার মুরগির দাম রেকর্ড গড়েছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৩৫ টাকায়।
দামের বিষয়ে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের খুচরা মুরগি ব্যবসায়ী জিসান সংবাদকে বলেন, ‘গত চব্বিশ দিন ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়তেই আছে। দাম কোথায় গিয়ে দাড়াবে জানি না। কেজিতে দুই চার টাকা বাড়লেও কথা ছিল, কিন্তু সপ্তাহে বিশ-ত্রিশ টাকা করে বাড়ছে। তিন সপ্তাহ আগে যে মুরগি কেজি একশ’ ৪৫ টাকায় বিক্রি করেছি, সেই মুরগিই আজ দুইশ’ ৩০ টাকায় বিক্রি করছি। আমরা কি যে একটা প্যারার মধ্যে আছি, দিন দিন বেচা-বিক্রি কমে যাচ্ছে।’
ব্রয়লার মুরগি দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে রাজধানীর শান্তিনগর বাজারের মনির ব্রয়লার হাউজের স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘যেখানে ঘাট, সেখানে সিন্ডিকেট কইরা ফেলাইলে আমরা কী করবো? দাম আরও বাড়তে পারে কমার কোন সম্ভাবনা দেখছি না।’
সংসার ও দামের বিষয়ে জানতে চাইলে একই দোকানে ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মো. জাহেদুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘ভালো না, খুবই খারাপ অবস্থা। গত এক বছরে প্রায় প্রত্যেক জিনিসের দাম ডবল হয়েছে কিন্তু বেতন তো ডবল হয়নি। যারা সংসার চালান তারা বোঝেন কতো ধানে কতো চাল।’
তিনি হাত উঁচিয়ে সাদা পলিথিনে মোড়া ব্রয়লার মুরগি দেখাইয়া বলেন, ‘দ্যাখেন, একশ’ দশ-বিশ টাকার ব্রয়লার মুরগি আজ ডবল দামে দুইশ’ ত্রিশ টাকায় কিনতে হলো। ষাট-সত্তর টাকার লাল চিনি দেরশ’ টাকায় কিনতে হচ্ছে। রোজা শুরুই হয়নি, এখনও এক মাসের বেশি বাকি আছে, তার আগেই মাছ-মাংস-ডিমের দাম বাড়ায় দিছে। আর তেল-চাল-ডাল-আটা-ময়দার দামতো মাথার ওপর উঠে আছে, আদৌ নামবে কি-না সংসয় আছে। ছোলা বুটের দাম কেজি একশ’ টাকা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মাসের পনের তারিখ আসলেই বেতনের টাকা শেষ হয়ে যায়, আর চলতে পারি না। তারপর বাকি পনের দিন চালাতে শুরু হয় ধার-দেনা। প্রত্যেক মাসেই টানা-হেচরার মধ্য দিয়ে চলতে হচ্ছে! সরকার যদি সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং করতো তাহলে সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এতো দাম বাড়ানোর সাহস পেতো না। বেশিরভাগ বড় ব্যবসায়ী ও বড় আমলারা মিলে সিন্ডিকেটর মাধ্যমে আমাদের মতো সাধারণ মানুদের রক্ত চুষে খাচ্ছে আর সরকার সারিন্দা বাজাচ্ছে।’
উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও অনেক খামার বন্ধ হওয়ায় বাজারে ডিম ও মুরগির সংকট দেখা দিয়েছে। তাতে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী দাম বাড়াচ্ছেন উল্লেখ করে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ‘খাদ্য ও বাচ্চার মূল্যবৃদ্ধির ফলে মুরগির দাম একটু বাড়তে পারে। তবে এখনকার দাম মাত্রাতিরিক্ত। এত বেশি দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হোক, সেটি আমরাও চাই না। কারণ, প্রান্তিক খামারিরা বাড়তি দাম পাচ্ছেন না।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘বাজারে ডিম ও মুরগির দাম ঠিক কত হলে যৌক্তিক হবে, সেটি নির্ধারণ করা নেই। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সেই সুযোগও নেই। তবে সরকার যেসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়ে থাকে, সেসব পণ্যের দামে ক্রেতারা ঠকছেন কি না, সেটি নিয়মিতভাবে তদারক করা হয়।’
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, চাষের পাঙ্গাস মাছও কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, কৈ মাছ ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা আর তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি ইলিশ মাছ কেজিতে বেড়েছে ২০০ টাকা। ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়, যা এক মাস আগেও ৮০০ টাকায় পাওয়া যেত।
এছাড়া এক কেজির ওপর রুই মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, মৃগেল ২৮০ টাকা, মলা ৩৬০, কাচকি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে গরুর মাংস আগের দামেই কেজি ৭০০ টাকার কমে বিক্রি হচ্ছে না আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।
বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। পাশাপাশি হাঁসের ডিম ডজনে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়।
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দামও কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। গত সপ্তাহ আগে কাঁচামরিচের কেজিতে ২০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হয়েছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। আর এ সপ্তাহে আবার কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, দেশি রসুন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, আমদানি করা বড় আকারের রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২২০ টাকা আর দেশি আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেঁধে দেয়া দামে নয়, এখনও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে খোলা চিনি! প্যাকেট চিনি মাঝে মাঝে পাওয়া গেলেও খোলা বাজারে খোলা সাদা চিনি কেজিতে ১১০ থেকে ১২০ টাকা এবং খোলা লাল চিনি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে! এছাড়া খোলা আটা ৬০ টাকা ও খোলা ময়দা ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে মান ও বাজার ভেদে স্বর্ণা জাতের মোটা চাল কেজি ৫০ থেকে ৫২ টাকা, পাইজাম ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫৮ থেকে ৬২ টাকা, মিনিকেট মানভেদে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মানভেদে চিনিগুরা চাল কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় ।
রাজধানীর শান্তিনগর বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী ভাই ভাই রাইচ স্টোরের স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘মাঝারি মানের চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন করে আতব চালের দাম বেড়েছে। আগের মতো বেচা-বিক্রি হচ্ছে না। কারণ চালের দাম বাড়ার পর অনেক মানুষ নিজ এলাকার বাজার থেকে নিয়ে আসছে’ জিনিস পত্রের দাম প্রতিদিনেই বাড়ছে।’