ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পর্দা উঠেছে তিনদিনব্যাপী ‘চতুর্দশ পল্লীকবি আন্তঃক্লাব বিতর্ক প্রতিযোগিতা ১৪২৮’ এর। কবি জসীমউদ্দিন হল ডিবেটিং ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত এবারের উৎসবের স্লোগান ‘একে একে পার হইয়াছে তরী চৌদ্দ কালের ঘাটে, মিলনমেলা বসিয়াছে তাই নকশী কাঁথার মাঠে’।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কবি জসীমউদদীন হল মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
কবি জসীম উদ্দীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি এস এম ফরহাদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম এমপি এবং হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম শাহীন খান। প্রধান আলোচক ছিলেন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজাম।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের কবিতা, উপন্যাস ও গল্প থেকে গ্রামীন মানুষ, জনপদ, শিল্প ও সংস্কৃতির অপরূপ চিত্র সকলে অনুধাবন করতে পারে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং পল্লীকবি জসীম উদ্দীন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা উভয়েই অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধ ধারণ করতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্ব দরবারে একটি মানবিক, উন্নত ও
সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে কোন অপশক্তি যেন দেশের সাংবিধানিক রীতি-নীতি ও বিচার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে। বিতর্ক চর্চা ও সহশিক্ষামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দক্ষ, প্রযুক্তিনির্ভর ও স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য উপাচার্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সাংবাদিক নঈম নিজাম বলেন, "বিতর্কের মাধ্যমে একজন মানুষের চিন্তার জগৎ প্রসারিত হয় এবং মানুষ যেকোনো বিষয়কে বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে ভাবতে শেখে।
অধ্যাপক ড. এম শাহীন খান বলেন, বিতর্ক একজন মানুষকে সত্যানুসন্ধিৎসু মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। তাই একজন বিতার্কিক দেশ ও দশের কল্যাণে অন্য যে কোন নাগরিক এর তুলনায় অধিকতর শক্তিশালী ভুমিকা রাখতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, হল ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটর মুহাম্মদ ইহসান-উল-কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান মাসুম।
ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় এবারও পল্লীকবি আন্ত:ক্লাব বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পল্লী সাজে সজ্জিত করা হয়েছে কবি জসীম উদ্দীন হল প্রাঙ্গণ, পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় নবীনদের সম্পৃক্ত করতে হল মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হবে প্রদর্শনী বিতর্ক। এ প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক পর্যায়ে অনলাইনে নিবন্ধনকৃত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শতাধিক দলের মধ্যে ৩৬টি দল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। ৩ দিনব্যাপী উক্ত প্রতিযোগিতায় ৮ই সেপ্টেম্বর মূল বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং ৯ই সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত পর্যায়ের বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পর্দা উঠেছে তিনদিনব্যাপী ‘চতুর্দশ পল্লীকবি আন্তঃক্লাব বিতর্ক প্রতিযোগিতা ১৪২৮’ এর। কবি জসীমউদ্দিন হল ডিবেটিং ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত এবারের উৎসবের স্লোগান ‘একে একে পার হইয়াছে তরী চৌদ্দ কালের ঘাটে, মিলনমেলা বসিয়াছে তাই নকশী কাঁথার মাঠে’।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কবি জসীমউদদীন হল মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
কবি জসীম উদ্দীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি এস এম ফরহাদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম এমপি এবং হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম শাহীন খান। প্রধান আলোচক ছিলেন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজাম।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের কবিতা, উপন্যাস ও গল্প থেকে গ্রামীন মানুষ, জনপদ, শিল্প ও সংস্কৃতির অপরূপ চিত্র সকলে অনুধাবন করতে পারে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং পল্লীকবি জসীম উদ্দীন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা উভয়েই অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধ ধারণ করতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্ব দরবারে একটি মানবিক, উন্নত ও
সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে কোন অপশক্তি যেন দেশের সাংবিধানিক রীতি-নীতি ও বিচার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে। বিতর্ক চর্চা ও সহশিক্ষামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দক্ষ, প্রযুক্তিনির্ভর ও স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য উপাচার্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সাংবাদিক নঈম নিজাম বলেন, "বিতর্কের মাধ্যমে একজন মানুষের চিন্তার জগৎ প্রসারিত হয় এবং মানুষ যেকোনো বিষয়কে বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে ভাবতে শেখে।
অধ্যাপক ড. এম শাহীন খান বলেন, বিতর্ক একজন মানুষকে সত্যানুসন্ধিৎসু মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। তাই একজন বিতার্কিক দেশ ও দশের কল্যাণে অন্য যে কোন নাগরিক এর তুলনায় অধিকতর শক্তিশালী ভুমিকা রাখতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, হল ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটর মুহাম্মদ ইহসান-উল-কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান মাসুম।
ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় এবারও পল্লীকবি আন্ত:ক্লাব বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পল্লী সাজে সজ্জিত করা হয়েছে কবি জসীম উদ্দীন হল প্রাঙ্গণ, পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় নবীনদের সম্পৃক্ত করতে হল মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হবে প্রদর্শনী বিতর্ক। এ প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক পর্যায়ে অনলাইনে নিবন্ধনকৃত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শতাধিক দলের মধ্যে ৩৬টি দল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। ৩ দিনব্যাপী উক্ত প্রতিযোগিতায় ৮ই সেপ্টেম্বর মূল বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং ৯ই সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত পর্যায়ের বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।