ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের একাডেমিক সংকট নিরসনকল্পে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বেলা ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে(টিএসসি) এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
সাত কলেজ থেকে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী এ সভায় অংশ নেয়। শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের নানান সমস্যার কথা তুলে ধরলে এসব সমস্যার সমাধানে কাজ করার আশ্বাস দেন ঢাবি ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ বলেন, আমরা সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অনেকক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার। আমাদের এক একটা ইয়ারের ফলাফল আসতে প্রায় এক বছর পর্যন্ত সময় লেগে যায়। ক্লাস রুটিন, সিলেবাস, মানোন্নয়ন, পরীক্ষা, সিজিপিএসহ সকল ক্ষেত্রে আমাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। মানোন্নয়নের জন্য আমাদের থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা ফি নেওয়া হয়। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাত্র ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দিতে হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও ১ হাজার টাকার বেশি দিতে হয় না। শুধু আমাদের বেলায় কেন এই বৈষম্য? আমরাও চাই আমরা পড়ার টেবিলে থাকতে। আমরাও চাইনা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে।
সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী রাসেল মাহমুদ বলেন, আমাদের সমস্যাগুলো দীর্ঘদিনের। ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করেছে তখন থেকেই সমস্যার শুরু। আসলে যে উদ্দেশ্যে সাত কলেজকে ঢাবির অধিভুক্ত করা হয়েছে সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সঠিক তদারকি করছেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত সকল সমস্যার ব্যাপারে আমাদের কলেজগুলোর প্রশাসনকে জবাবদিহি করা। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সমস্যা সমাধান না করে একজন আরেকজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাহলে সমস্যার সমাধান কোথায়?
ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী অনামিকা আক্তার বলেন, আমরা তো অটো প্রমোশন চাচ্ছি না। আমরা চাই তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়নের সুযোগ দিয়ে পরবর্তী বর্ষে উঠার সুযোগ করে দেওয়া। আমরাও তো শিক্ষার্থী। আমরাও তো রাজপথে নেমে মানুষের ভোগান্তির কারণ হতে চাই না।
ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা যে সংকটে আছে, সেটি নিরসনে কোন ছাত্র সংগঠন কখনো কথা বলেনি। আমরা যারা ছাত্র রাজনীতি করি আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে ছাত্রদের সমস্যার কথা শুনা এবং সেগুলোর সমাধান খুঁজে বের করা। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করতে পারে, তাহলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পারবে।
সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটিতে আমরা সাত কলেজ বিষয়ক সম্পাদক নামে একটি পদ তৈরী করবো। অধিভুক্ত শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য আমরা একটি সেল তৈরী করবো। তাদের যেকোনো ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা প্রস্তুত। রেজিস্টার বিল্ডিং কেন্দ্রিক সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের যে কোন সমস্যায় যোগাযোগ করলে মুহূর্তেই সমাধান করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সাত কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি হওয়ার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
 
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের একাডেমিক সংকট নিরসনকল্পে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বেলা ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে(টিএসসি) এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
সাত কলেজ থেকে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী এ সভায় অংশ নেয়। শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের নানান সমস্যার কথা তুলে ধরলে এসব সমস্যার সমাধানে কাজ করার আশ্বাস দেন ঢাবি ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ বলেন, আমরা সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অনেকক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার। আমাদের এক একটা ইয়ারের ফলাফল আসতে প্রায় এক বছর পর্যন্ত সময় লেগে যায়। ক্লাস রুটিন, সিলেবাস, মানোন্নয়ন, পরীক্ষা, সিজিপিএসহ সকল ক্ষেত্রে আমাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। মানোন্নয়নের জন্য আমাদের থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা ফি নেওয়া হয়। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাত্র ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দিতে হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও ১ হাজার টাকার বেশি দিতে হয় না। শুধু আমাদের বেলায় কেন এই বৈষম্য? আমরাও চাই আমরা পড়ার টেবিলে থাকতে। আমরাও চাইনা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে।
সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী রাসেল মাহমুদ বলেন, আমাদের সমস্যাগুলো দীর্ঘদিনের। ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করেছে তখন থেকেই সমস্যার শুরু। আসলে যে উদ্দেশ্যে সাত কলেজকে ঢাবির অধিভুক্ত করা হয়েছে সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সঠিক তদারকি করছেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত সকল সমস্যার ব্যাপারে আমাদের কলেজগুলোর প্রশাসনকে জবাবদিহি করা। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সমস্যা সমাধান না করে একজন আরেকজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাহলে সমস্যার সমাধান কোথায়?
ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী অনামিকা আক্তার বলেন, আমরা তো অটো প্রমোশন চাচ্ছি না। আমরা চাই তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়নের সুযোগ দিয়ে পরবর্তী বর্ষে উঠার সুযোগ করে দেওয়া। আমরাও তো শিক্ষার্থী। আমরাও তো রাজপথে নেমে মানুষের ভোগান্তির কারণ হতে চাই না।
ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা যে সংকটে আছে, সেটি নিরসনে কোন ছাত্র সংগঠন কখনো কথা বলেনি। আমরা যারা ছাত্র রাজনীতি করি আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে ছাত্রদের সমস্যার কথা শুনা এবং সেগুলোর সমাধান খুঁজে বের করা। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করতে পারে, তাহলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পারবে।
সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটিতে আমরা সাত কলেজ বিষয়ক সম্পাদক নামে একটি পদ তৈরী করবো। অধিভুক্ত শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য আমরা একটি সেল তৈরী করবো। তাদের যেকোনো ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা প্রস্তুত। রেজিস্টার বিল্ডিং কেন্দ্রিক সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের যে কোন সমস্যায় যোগাযোগ করলে মুহূর্তেই সমাধান করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সাত কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি হওয়ার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
